পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r fའི་རྩྭ་ཅེ་ལྷ་མiགh། লে মনে মনে ভাবিল-বিত্ত খেলা ছেড়ে চলে যাচ্ছে-গেলে খেলার খেলুড়ে কমে যাবে, তাই ‘অমলাদি ঐরকম বলচে, আমি গেলে আমাকেও বলবে, ওর চেয়েও বেশী বলবে। হঠাৎ সে B DDDDB BDD DB DBBDYDB BBB DBBsS DD DS DB S LBLBL BDD কথা বলিল না, কেবল কামারদের ছেলে নাড়গোপাল বলিল-আবার ও-বেলা এসো ভাই! অপুখানিক দূর গিয়া একবার পিছনে চাহিল—তাহাকে বাদ দিয়া কাহারও কোন ক্ষতি হয় নাই, পুৱামে খেলা চলিতেছে, অমলা মহা উৎসাহে খুঁটির কাছে বুড়ী দাড়াইয়াছে।--তাহার দিকে ফিরিয়াও চাহিতেছে না । অপু আহত হইয়া অতিমানে বাড়ী আসিয়া পৌছিল, কাহারও সঙ্গে কোন কথা বলিল না। অগরি তো আমলাদি । না। চাহিল। তাহাকে-তাতেই বা কি ? -- দিন দুই পরে হরিহর ছেলেকে লইয়া বাড়ী আসিল । এই মোট কয়দিন, এরই মধ্যে সর্বজয়া ছেলেকে না দেখিয়া আর থাকিতে পারিতেছিল না। দুর্গার খেলা কল্পদিন হইতে ভালম্বকমা জমে নাই, আপুৱা বিদেশ-যাত্রার দিনকতক আগে দেশীকুমড়ায় শুকনো খোলার নৌকা লইয়া ঝগড়া হওয়াতে দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হইয়া গিয়াছিল-এখন আরও অনেক কুমড়ার খোলা জমিয়াছে, দুৰ্গা কিন্তু আর সেগুলি জলে ভাসাইতে যায় না-কেন মিছামিছি এ নিয়ে ঝগড়া ক’রে তার কান ম’লে দিলাম ? আমাক সে ফিরে, আর কক্ষনো তার সঙ্গে ঝগড়া নয়, সব খোলা সে-ই নিয়ে নিক্‌ ৷ বাড়ী আসিয়া অপু দিন পনেরো ধরিরা নিজের অদ্ভুত ভ্ৰমণকাহিনী বলিয়া বেড়াইতে লাগিল। কত আশ্চৰ্য্য জিনিস যে দেখিয়াছে এই কয়দিনে! রেলের রাস্তা, যেখােন দিয়া সত্যিকারোয় রেলগাষ্ঠী যায়। মাটির আতা, পেঁপে, শস-অ-বিকল যেন সত্যিকার ফল ! সেই পুতুলটা, যেটার পেট টিপিলে মৃগী রোগীর মত হাত পা ছুডিয়া হঠাৎ খঞ্জনী বাজাইতে শুরু করে! অমল-দি ? কতদূর যে সে গিয়াছিল, কত পদ্মফুলে ভরা বিল, কত অচেনা নতুন গা পাব হুইয়া কত মাঠের উপরকার নির্জন পথ বাহিয়া, সেই যে কোন গাঁয়ে পথের ধায়ের কামার BDB BBB BBB YDB ELB BB LBBOBS BBES TBDBD B KL T লাইয়া গিয়া স্বত্ব করিয়া পিড়ি পাতিয়া বসাইরা দুধ, চিড়ি, বাতাসা খাইতে দিয়াছিল! কোনটা ফেলিয়া সে কোনটার গল্প করে! রেলরাস্তার গল্প শুনিয়া তাহার দিদি মুগ্ধ হুইয়া যায়, বার বার জিজ্ঞাসা করে-কত বড় নোয়াগুনো দেখালি অপু তার টাঙানো বুকি ? খুব লম্বা ? রেলগাড়ী দেখতে পেলি ? গেল ? না-রেলগাড়ী অপু দেখে নাই। ঐটাই কেবল বাদ পড়িয়াছে—সে শুধু রাবায় দোষে।। মোটে ঘণ্টা চার পঁাচ রেলরাস্তার ধারে চুপ করিয়া বসিয়া থাকিলেই রেলগাড়ী দেখা যাইতকিন্তু বাবাকে সে কিছুতেই বুঝাইয়া উঠিতে পাৱে নাই। বেলা হুইয়া যাওয়াতে ব্যস্ত অবস্থায় সৰ্ব্বজয়া খাড়াতাড়ি অঙ্গমনক্ষভাবে সদায় অল্পজা দিয়া