পথের পাঁচালী sig LD YYS BBLS LB BB S S BBB L B D GL BBDS DrE gBE বঁাশঝাড়ে কত কী পাখীর ভাক শুরু হয়, উঠি-উঠি করিয়াও বইএর পাতার এক ইঞ্চি ওপরে চোখ রাখিয়া পড়িতে থাকে-ঘাতক্ষণ অক্ষৱ দেখা যায় । এই রকম বই তো সে কখনো পড়ে নাই ? কোথায় লাগে সীতার বনবাস আর ডুবালেং ঘাতী আসিলে তাহার মা বকে-এমন হাবল ছেলেও তুই ? পরের মাছ চৌকি দিস।। -গিয়ে সেই একলা বনের মধ্যে ব’লে একখানা বই পড়বার লোভে ? আচ্ছা বোকা পেয়েছে <亦卒世 কিন্তু বোকা অপুর লাভ ষেদিক দিয়া আসে, তাহার মায়ের সেদিক সম্বন্ধে কোন ধারণাই নাই। আজকাল সে দুইখানা বই পাইয়াছে 'মহারাষ্ট জীবন-প্ৰভাত’ ও ‘রাজপুত জীবনসন্ধ্যা’-উইচিৰি, বৈঁচেবনের প্ৰেক্ষাপটে নিস্তািন্ধ দুপুরের মায়ায় দুখের পর দৃশ্য পরিবত্তিত হুইয়া চলে-জেলেখা নদীর উপর বসিয়া আহত নরেনের শুশ্ৰষা করিতেছে, আওরঙ্গজেবের দরবারে নিজেকে পাঁচহাজাৱী মনসবদারের মধ্যে স্থান পাইতে দেখিয়া শিবাজী রাগে ফুলিয়া ভাবিতেছেন-শিবাজী পাঁচ-হাজাৱী ? একবার পুনায় যাও তো, শিবাজীয় ফৌজে কত পাঁচ হাজাৱী মনসবদার আছে গণিয়া আসিবে! -- রাজবারার মরুপর্বতে, দিল্পী আগ্ৰায় রঙমহালে শিশুমহালোঁ, ওড়না-পেশোয়াজ-পরা সুন্দরীদলের সঙ্গে তাহার সারাদিনমান কাটে। এ কোন জগৎ-যেখানে শুধু জ্যোৎঙ্গা, তলোয়ার-খেলা, স্বাদশ মুখেৱ বন্ধুত্ব, আহেরিযা-উৎসবে দীর্ঘ বর্শা হাতে ঘোড়ায় চডিয়া উবর উপত্যকা ও ভুট্টাক্ষেত্র পার হুইয়া ছোট ?-- বীরের যাহা সাধ্য, রাজপুতের স্বাহ সাধা, মানুষের ব্যাহা সাধ্য-প্ৰতাপসিং ত্যাহা করিয়াছিলেন। হলদিঘাটের পাৰ্ব্বত্য বন্ধুেত্ব প্ৰতি পাষাণ-ফলকে তাহার কাহিনী লেখা আছে। দেওয়ারের রণক্ষেত্রের দ্বাদশ সহস্র রাজপুতের হৃদয়-রক্তে তাহার কাহিনী অক্ষয় মহিমায় লেখা আছে { বহুদিন পরেও প্ৰাচীন ঘোস্থ্যগণ শীতের রাজিতে অগ্নিকুণ্ডের পাৰ্থে বসিয়া পৌজপৌত্ৰিগণের নিকট হলদিঘাটের অদ্ভুত বীরত্বের কথা বলিত!!-- অদৃশ হস্তনিক্ষেপ্ত একটি বর্শ আসিলা।--অপু এই গ্রামের চিরপ্তাম বনভূমির ছায়ায়, লতাপাতায় নিবিড়তায়, ভিজা মাটির গন্ধে মানুষ হইয়াছে—তবুও সে জানে রাজপুতনায় আঁীল প্রদেশের বা আরাবন্ত্রী-মেবারের প্রত্যেকটি স্থান, নাহারা মগারোর অপূর্ব বঙ্ক সৌন্দৰ্য্য সে ভাল করিয়াই চেনে।--পৰ্ব্বত হইতে অবতরণশীল শাস্ত্রপাণি তেজসিংহের মূৰ্ত্তি কি জন্ধের هده في قناة “সেই চপ্পন প্রদেশে অনেক দিন অবধি সেই অশ্লীল গ্রামের নিজন কন্দরে ও উন্নত শিখরে রাজনী বিগ্রহরের সময় একটি রমণী-কণ্ঠ-নিঃস্থত গীত শ্রত হইতােণ অতি প্ৰত্যুষে নির্জন গ্ৰাম্ভাৱে, পথিকগণ কখনও কখনও একটি ফ্ৰমণীর পাণ্ডুর মুখ ও চঞ্চল-নয়ন দেখিতে পাইত ; লোকে
