পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

�ኯgፃጻ ←ኯsኮቃስ বুড়ী সকালে উঠিয়া মহা খুশিতে ভিতর উঠান বঁট দেয, আগাছার জঙ্গল পরিষ্কার করে। দুর্গার মনে হয় এতদিনে আবার সংসারটা যেন ঠিকমত চলিতেছে, এতদিন যেন কেমন ঠিক for at ॥ দুগুৱে আহায় করিয়া বুড়ী খিড়কীর পিছনে বঁাশবনের পথের উপর বসিয়া কঞ্চি কাটে। সেদিকে আর নদীর ধায় পৰ্য্যস্থ লোকজনের বাস নাই, নদী অবশ্য খুব নিকটে নয়, প্ৰায় একপোয় পঞ্চ--এই সমস্তটা শুধু বড় বড় আমবাগান ও ঝুপসি বঁাশবন ও অন্যাঙ্গ জঙ্গল। কঞ্চি কাটার সময় দুৰ্গা আলিযা কাছে বসে, আবোল-তৰোল বকে। ছোট এক বোঝা কাটা কফি জড়ো হইলে দুৰ্গা সেগুলি বহিয়া বাড়ীর মধ্যে রাখিযা আসে। কিঞ্চি কাটিতে কাটিতে মধ্যান্ধের অলস আমেজে শীতল বঁাশবনের ছামাষ বুড়ীয় মান কথা মনে আসে । সেই কতকাল আগেকার কথা সব । সেই তিনি বার-তিনেক আসিযাছিলেন-স্বপ্নের মত মনে পড়ে। একবার তিনি পুটুলির মধ্যে কি খাবার আনি যাছিলেন । বিশ্বেশ্বন্ধ তখন দুই বৎসৱেয় । সকলে বলল, ওলীচিনির তোলার মত। ঘটীয় জলে গুলিবা সেও একটু খাইষাছিল । সেই একজন লোক আসিল-পুরানো সেই পেম্বারা গাছটার কাছে ঠিক সন্ধ্যাব শমধ্য আসিযা দাড়াইল, শ্বাস্তৱবাড়ীর দেশ হইতে আসিযাছে, একখানা চিঠি । চিঠি পঢ়িবার লোক নাই, ভাই গোলোকও পূর্ব বৎসর মারা গিযাছে।--রািজ কাবাৱ চণ্ডীমণ্ডপে পাশার আড়ষ সে নিজে পত্তিরখানা লইয়া গেল। সেদিনের কথা আজ স্পষ্ট মনে হয়-না-জেঠী, মেজ জেঠী, এজ বাক, ও-পাড়ার পতিত রায্যের ভাই ঘন্ধু রায়, আর ছিল গোলোকেত্ব সম্বন্ধী ভজহরি। পত্তির পড়িলেন। সেজ জেঠা । অবাক হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন-কে আনলে এ চিঠি রে ইন্দিয় ? তাহার পর ইন্দির ঠাকুরুণকে বাড়ী আসিয়া তখনহ হাতের নৌযা ও প্ৰথম যৌবনের সাধের জিনিস বাপমায়ের দেওয রুপার পৈছেজোড়া খুলিয়া, রাখিয়া কপালের শিশ্চম মুছিয়া নদীতে স্নান করিয়া আসিতে হইল। কত কালের কথা—সে সব স্বল্প হুইয়া “যোছে, তবু যেন মনে হয় সেদিনের is giga নিবারণের কথা মনে হয-নিবারণ, নিবাস্ত্ৰণ ৷ ব্ৰজ কাকাৱ ছেলে নিবারণ । বোল। বৎসরের বালক, কি টুকুটকে গায্যের রং, কি চুল। ঐ ষে চণ্ডীমণ্ডপের পোতা জঙ্গলে ঢাকা পডিয়া আছে, বাশবনের মধ্যে-ওই ঘরে সে কঠিন জন্বয়োগে শয্যাগত হইযা যায়-যান্য হইযও দুই-তিন দিন রহিল। আহা, বালক সৰ্ব্বদা জল জল করত, কিন্তু ঈশান কবিরাজ জল দিতে বারণ করিয়াছিলেন-মৌধুরীর পুটুলি একটু কৱিযা চুষনে হইতেছিল। নিবারণ চতুর্থ দিন রাত্রে মারা গেল, মৃত্যুর একটু আগেও সেই পািল জল তার মুখে বুলি-তবুও একবিন্দু জল তাহার মুখে ঠেকানো হয় নাই। সেই ছেলে মাঝা যাওযার পর পাঁচদিনের মধ্যে বড় খুড়ীর মুখে কেউ জল দেওঘাইতে পারে নাই-পাঁচদিনের পাব ভাণ্ডব রামর্টােব্দ চকোক্তি নিজে ব্রাতৃবন্ধুৱে ঘরে গিয়া হাত জোড় করিয়া বলিলেন, তুই চলে গেলে আমার কি দশা হবে? এ বুডো বয়সে কোথায় বাবে মণী ? বড় খুড়ী বানিযায়ী ধনী ঘরের মেয়ে ছিলেন-জগন্ধাত্রীয় মত রূপ,