পাতা:বিভূতি রচনাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९br বিভূতি-রচনাবলী বিপিনের ইচ্ছা, মানীয় সম্বন্ধে কথা বলে । অনেকদিন মানীর বিষয়ে সে কথা বলে নাই, তাহাকে দেখেও নাই, তাহার মনটা অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছে, অন্তত মানীর বিষয় লইয়া কিছু বলিয়াও স্বখ। কিন্তু ধোপাখাগির প্রজাদের নিকট তো আর জমিদায়বাবুর মেয়ের সম্বন্ধে আলোচনা করা চলে না ! কামিনীর কথার উত্তরে বিপিন যাহা বলিয়া গেল, তাহা বৃদ্ধার প্রশ্নের সঠিক ਚੋਂ নয়, মানীর রূপগুণের একটি দীর্ঘ বর্ণন।। কামিনী চুপ করিয়া শুনিতেছিল, বিপিনের কথা শেষ হইয়া গেলে বলিল, বেশ মেয়ে । তোমার সামনে বেরোয় ? —কেন বেরুবে না 7 ছেলেবেলায় একসঙ্গে খেলা করেছি, আমার সামনে বেরুবে না ? —-একটা কথা বলি, তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তোমারও ঘরে সোনার পিরতিমের মত বউ । আমার একটা কথা শোন বাবা । তুমি তার সঙ্গে আর দেখাগুনে ক’র না। ভূমি কালকের ছেলে; কি জান আর কিই বা বোঝ! তোমার মাথায় এখনও অনেক রকম পাগলামি ঢুকে আছে । তোমায় জানতে আমার বাকি নেই বাবা, কৰ্ত্তামশায়ের তো ছেলে ! তুমি ও মেয়ের খ্রিসীমানায় ঘেবো না, নিজে কষ্ট পাবে, তাকেও কষ্ট দেবে। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ আরও দুই দিন কাটিয়া গেল । ছুপুরের পরে বিপিন কাছারিতে বসিয়া হিসাবপত্র দেখিতেছে, নিৰায়ণ গোয়ালায় ছেলে পাচু আসিয়া বলিল, নায়েববাবু, কামিনী পিলী একবার আপনাকে ডেকেছে। বিপিন গিয়া দেখিল, কামিনীর অস্থখ বাড়িয়াছে। গায়ের উত্তাপ খুব বেশি, জয়ের ধষকে বৃদ্ধ ধেন ইপিাইতেছে, বেশি কথা বলিবার শক্তি নাই। বিপিন বলিল, কি খেয়েছ ? কামিনী ক্ষীণশ্বরে বলিল, নিবারণের বউ একটু জলসাৰু ক’রে দিয়ে গেল, ছপুরের জাগে তাই একচুমুক—মুখে ভাল লাগে না কিছু। —আচ্ছ, আচ্ছ, চুপ করে গুয়ে থাক । —তুমি জামায় আজ দেখতে আস নি কেন ? কথাটা কেমন ৰেন গোঙাইয়া গোঙাইয়। বলিল ; ৰেশ একটু অভিমানের স্বয়ও ৰটে । ৰিপিন মনে মনে অস্থতপ্ত হইল। দেখিতে আলি খুৰ উচিত ছিল ; সকালে কাছারিতে