পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাগত ᎼbrᎼ বাজলো, বাবা, এখন বাসায় চল দিকি ! বাসায় এসেও কি তাই নিস্তায় আছে ? নীরজা ডাকবেন তার ঘর থেকে—ও দিদি, একটু গীতাপাঠ করি শোনো – নিতান্ত অনিচ্ছার সঙ্গে তাকে যেতে হয়। গীতা-টতা ওসব তিনি বোঝেন না। স্ববচনীর ব্ৰতকথা, সত্যনারায়ণের পাচালী, শিবরাত্রির ব্ৰতকথা এসব শোনা তার অভ্যাস আছে, বেশ দিব্যি বুঝতেও পারেন—এসব শক্ত শক্ত কথার কি কাগুমাও, এক বর্ণও যদি তিনি বোঝেন । আর মাগীর চোখ উন্টে, কান্না কান্না মুখের ভাব করে পড়বার ভঙ্গিই বা কি ! দ্রব ঠাকরুণ না পারেন হাসতে, না পারেন হাসি চাপত্বে ! এমন বিপদেও মানুষ পড়ে গা ! নীরজা পড়তে পড়তে বলবেন—আহা-হা ! কি চমৎকার। দ্রব ঠাকরুণ বসে ঢুলতে ঢুলতে ভাববেন—থামলে যে বাচি– সকালে উঠে নীরজা বল্লেন-আজ আমার গুরুদেব আসবেন, দিদি দু’খানা লুচি ভেজে দিও তো আমার ঘরে বসে । বেলা দুটোর সময় এক সন্নিসি এসে হাজির । বেশ মোট জুড়িওয়ালা, এই লম্ব দাড়ি । নীরজ সাষ্টাঙ্গ হয়ে প্রণাম করে দু'বার মাথা ঠুকলেন গুরুদেবের পাদপদ্মে । আহারাদির যোগাড় করতেই কাটলো সারাদিন—তিনসের দুধ মেরে একসের হ’ল, ঘরে রাবড়ি মালাই তৈরি হ'ল। লুচি ভাজা হ’ল। সন্ধ্যার সময় নীরজা বললেন গুরুর কাছে কি সব ক্রিয়া শিখতে। আসন না মাথামুণ্ডু তাই শিখতে। স্বত বা এ বকে, তত বা ও বকে। মনে হ’ল বুঝি কানের পোকা সব বেরিয়ে যায়। গুরুদেব বাঙালী। রাত ন’টার পরে দ্রব ঠাকরুণকে ডাক দিলেন। বল্পেন—তোমার বাড়ী কোথায় ? —গোপীনাথপুর, যশোর জেলা— —কে আছে বাড়ীতে ? —নাতির আছে, তাদের ছেলে বেী আছে। —তুমি কাশীবাস করতে এসেচ ? 一专了11 —নাম কি ? দ্রবময়ী দেব্যা— –দীক্ষা হয়েচে ? -मो । নীরজা চোখ কপালে তুলে বল্পেন—কি সৰ্ব্বনাশ ! দীক্ষা হয়নি এতদিন । তা তো জানতাম না ? গুরুদেব বল্পেন—দীক্ষা নিতে হবে মা তোমাকে । —আমার পয়সা নেই, দীক্ষা নিতে গেলে খরচ আছে। নাতিরা এগারো টাকা করে