পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাগত ፶፭og সকালে উঠে নীরজা নিজেই গঙ্গাস্নান করে এসে স্বপাক হবিন্যান্ন চড়িয়েচেন এবং প্রতিদিনের অভ্যাসমত ইষ্টমন্ত্র জপ শেষ করে গাল-বাঞ্চ সহকারে শিবপূজা করচেন। দ্রব ঠাকরুণের একটু বেলা হয়েচে আজ উঠতে। মনও খুব ভার। র্তার আপনার জন পড়ে রইল—তার মুংলি, র্তার খয়েরখাগী গাছটা, তার ডুমুর গাছ—আর তিনি কোথায়! আর ৭ ৭ই মাগীর জালায়--- নীরজার গাল-বাদ্য থামলো । দ্রব ঠাকরুণকে বল্লেন-আজ বড় স্থখবর পেলুম দিদি – গঙ্গাস্বানে গিয়ে গুপ্তিপাড়ার সইয়ের সঙ্গে, দেখা—সেও আমার মত কাশীবাস করচে– বাঙালীটোলায় থাকে, বল্পে, গুরুদেব আসচেন সামনের সোমবারে । হরিদ্বার থেকে ফেরবার পথে আমার এখানে পায়ের ধুলো দিয়ে তবে যাবেন! সইও একই গুরুর কাছে মন্ত্র নিয়েচে কিনা। আজ বড় শুভদিন আমার , গুরুর পাদপদ্ম আশ্রয় করেই বেঁচে আছি, এবার এলে আপনাকে দীক্ষা নিতেই হবে দিদি, আমি ছাড়বে না। গুরুদীক্ষা না হ’লে দেহ পবিত্র হয় ন, ভবসাগর পার হতে হ’লে গুরুর চরণরূপ ভেলা চাই আগে—নইলে হাবুডুবু খেয়ে মরতে হবে যে দিদি ? দ্রব ঠাকরুণ বল্পেন—ত৷ তো ঠিক, তা তো ঠিক— গুরুদেবের আগমনের পূর্বেই শনিবার সকালের গাড়ীতে কায় এসে হাজির হ’ল। দ্রব ঠাকরুণ নাতির কাছে কেঁদে পড়লেন—তুই আমায় গুপীনাথপুরে নিয়ে চল ভাই, আমার আর কাশীবাসে কাজ নেই—বাবা বিশ্বনাথ মাথায় থাকুন। ও মাগীর কাছে অাপ &’ম ৷ থাকলে অামি পাগল হয়ে যাবো । ফলে সোমবার কাশীতে গুরুদেবের শুভাগমনের দিন দুপুরের ট্রেনে দ্রব ঠাকরুণ দেশের হস্তিাশনে তার বেঁচেক'-তোরঙ্গ নিয়ে নাতির সঙ্গে এসে নামলেন । নঠাকরুণ শুনে ছুটে এলেন—ও দিদি–দিদি— —ষ্ট্য। ন'বেী—আমার মুংলি ভালো আছে ? ro —ভালো নেই দিদি । ওঠে না, থায় না –তোমার যাওয়ার পর থেকেই, গোয়ালে শুয়েই থাকে। —সে আমার মন বলেচে ভাই, তুমি কি বলবে। তাকে রাত্তিরে স্বপ্ন দেখেই তো আর টিকতে পারলাম না, চলে অ্যালাম । কাচুকে বল্লাম, নিয়ে চলু ভাই গুপীনাথপুর, মাথায় থাকুন বাবা বিশ্বনাথ—মুংলি কোথায় ? ওকে কচি বঁাশপাত খাওয়াবো নিজের হাতে, স্বপ্ন দেখিচি । একটু পরে ন’ঠাকরুণ দ্বড় ধরে মুংলিকে নিয়ে এলেন। সত্যিই তার সে চেহারা নেই। সব কাজ ফেলে দ্রব ঠাকরুণ ছুটে গিয়ে তার গায়ে-মুখে হাত বুলিয়ে আদর করতে লাগলেন। মুংলির চোখে জল পড়ে, তারও চোখে জল পড়ে। - * > নষ্ঠাকরুণ বল্লেন-আর-জন্মে ও তোমার মেয়ে ছিল দিদি-আর-জন্মের মায়ার বাধন—