পাতা:বিরহ শতক কাব্যগ্রন্থ - মতিলাল দাস.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিরহ-শতক

১৫

বাতাস লাগি নিভে গেছে শিয়রে দীপশিখা,
বাতায়নের ফাঁকে হেরি নিশীথ-ললাটিকা,
রুদ্ররোষে অন্ধকারে জ্বলিছে রক্ত-আঁখি,
সুখের স্বপন মিলায়ে যায় অন্তর-তটে লিখা।

১৬

নীরব রাতি, নীরব দিশি,। না গাহে কোথা পাখী
তোমায় যেন স্বপন মাঝে, জড়ায়ে বুকে রাখি;
ভাঙিলে ভুল, দুঃখ অতুল, বলিতে নাহি ভাষা,
ব্যথার পাষাণ বক্ষে চাপি, সরমে স্তব্ধ থাকি।

১৭

বিরহী প্রাণ না জানে গান, না জানে কোনো আশা,
ভয় পোতের যাত্রী যেন বাঁধিনু চরে বাসা,
যেদিক চাহি, সেদিক শুধু, গরজে জল-রাশি,
এ তীর পানে রাত্রি-দিনে না কারে যাওয়া-আসা।