পাতা:বিরাজবৌ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ দৃশু নীলাম্বরের বাটী একখানি মাত্র ঘর খাড়া আছে। রান্নাঘরের স্থানে একটা মাটার গুপ। তাহারই একধারে তালপাতা দিয়া একটি ক্ষুদ্র চালা কোনরকমে তৈয়ারী করা হইয়াছে। সেইখানেই রান্নার কাজ হয়। উঠানে ক্ষীণ চাদের আলো আসিয়া পড়িয়াছে। ব্লকের উপর প্রদীপটি জ্বলিতেছে। সিড়ির পৈঠাতে স্বীয় অভ্যস্ত আসনে নীলাম্বর বসিয়া আছে। যেন আচ্ছল্পের মত । হঠাৎ চোথ খুলিয়া একবার ডাকিল-বিরাজ । কাহারও সাড়া ন পাইয়া আবার ঢুলিতে লাগিল। বিরাজ প্রবেশ করিল, তাহার আঁচলে ক্ষুদ্র চালের পুটুলি। পদশৰো নীলাশ্বর একবার মুখ তুলিয়া দেখিল । বিরাজ কাছে আসিয়া প্রদীপ উজ্জ্বল করিয়া সেটি হাতে লইয়া স্বামীর মুখের সামনে ধরিয়া বলিল— বিরাজ। সাবাদিন খাওযা হয় নি ত ? নীলাম্বর মুখ তুলিয়। চাহিল, কিন্তু বিরাজের তীয় দৃষ্টর সামনে মাথা নীচু করিল বিবাজ । দেখি চোথ দুটি । নীলাম্বর মুখ তুলিল নী তা বেশ । বলিয়। বিরাজ প্রদীপ লইয়া রান্নাঘরের দিকে যাহতেছিল, নীলাম্বর সহসা ডাকিল— নীলাম্বর । শোনো । এত রাত্তিরে একা কোথায় গিয়েছিলে ? বিরাজ। ( দাড়াইয়া পড়িয়া এক মুহূৰ্ত্ত হতস্ততঃ করিয়া ) ঘাটে । নীলাম্বর । ( অবিশ্বাসের স্বরে) না, ঘাটে তুমি যাও নি। বিরাজ। তবে যমের বাড়ি গিয়েছিলুম। ৰলিয়। সে চলিল