পাতা:বিরাজবৌ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম দৃপ্ত ] বিরাজ-বে। లిS) ভোলানাথ । না:, আর বসে কী করব একা একা। চল, তোমার কলমের বাগানটা কেমন করলে দেখি । পীতাম্বর । আসুন । ( যাইতে যাইতে ) আশীৰ্ব্বাদ করুন এমনি নিঝঞ্ঝাট থেকেই যেন কাটিযে যেতে পাবি, অধৰ্ম্মের পথে যেন কখনও পী না দিই, তাতে খেতে পাই ভাল, না পাই তাও ভাল । উহার কথা কহিতে কহিতে বাহির হইতেছে। এমন সমযে উহাদের স্বমুখদিক হইতে কলিকাতাবাসা নুতন জমাদার পুত্র রাজেন্দ্র প্রবেশ করিল। তাহার হাতে বন্দুক, মাথার পিছনে সোলাহাট ঝুলিতেছে । পরপে হাফ প্যান্ট ও হাতকাটা সার্ট, প্যান্টের পিছনে হিপ পকেটে মদের ফ্রাঙ্ক দেখা যাইতেছে। রাজেন্দ্র ইহাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিল না, তাহার উৎসুক দৃষ্ট চণ্ডীমণ্ডপের পাশ দিয়া যে পথে অন্তঃপুর সেই দিকে নিবন্ধ । ধ"rর ধীরে সে অপর দিকে বাহির হইয়া গেল । পীতাম্বর ও ভোলানাথ সসন্ত্রমে পথ ছাড়িয়া দাড়াইয়াছিল। পীতাম্বর নমস্কার করিল, রাজেন্দ্র দেখিলও না । রাজেন্দ্র অস্তহিত হইলে ভোলানাথ কলিল— ভোলানাথ । আলাপ হয়েছে নাকি তোমার সঙ্গে ? তা ভাল । পীতাম্বর । না, আলাপ আর কী । ওরা হল থাস কলকাতার বডলোক, তাঁয নতুন জমীদার, আর আমি কোথাকার কে পাড়াগেযে মুখ ধু বামুন বই ত নয। তবে এই পথেই রাতদিন ওর যাওয়া আসা, চেtখাচোথি ত হয, হাজার হোক রাজা প্রজা সম্বন্ধ । তোলানাথ। তা বই কি । আচ্ছ, কী সৰ্থ বাপু । সারাদিন বন্দুক নিয়ে টো টো করে বেড়াচ্ছে, শুনলুম কাছারীতে একদওও বসে না— বলিতে বলিতে উভয়ের প্রস্থান ক্ষণকাল পরে ধীর ক্লাস্তপদে নীলাম্বর প্রবেশ করিল। তাহার মুখ স্নান, দেহে ও বেশভূষায় অযত্বের চিহ্ন, কপালে দুশ্চিন্তার ও অকাল জীর্ণতার রেখা। তখন সন্ধ্যার ছায়। ঘনাইয়া আসিয়াছে। চওঁীমওপের দাওয়ার একটা ছেড়া মাছুরের উপর নীলাম্বর চুপ ෆ