鲨 বিরাজ-বেী হরিমতি দাদার পিছনে দাঁড়াইয়া আন্তে আন্তে বলিল, আমি মনে করেছি। দুধ দোয়া হয়ে গেছে। আর কোন দিন মনে ক’রো ! বলিয়া বিরাজ রান্নাঘরে ঢুকিতে যাইতেছিল, নীলাম্বর হাসিয়া বলিল, তুমিও একদিন ওর বয়সে মায়ের পাখী উড়িয়ে দিয়েছিলে। খাচার দোর খুলে দিয়ে মনে করেছিলে, খাচার পাখী উড়তে পারে না। মনে পড়ে ? বিরাজ ফিরিয়া দাড়াইয়া হাসিমুখে বলিল, পড়ে ; কিন্তু ও বয়সে নয়আরও ছোট ছিলাম। বলিয়া কাজে চলিয়া গেল। হরিমতি বলিল, চল না, দাদা, বাগানে গিয়ে দেখি, আম পাকল कि न । उांछे फ़ल विशि ! যদু চাকর ভিতরে ঢুকিয়া বলিল, নারাণ ঠাকুরদা বসে আছেন। নীলাম্বর একটু অপ্ৰতিভ হইয়া মৃদুস্বরে বলিল, এর মধ্যেই এসে ব’সে আছেন ? রান্নাঘরের ভিতর হইতে বিরাজ এ কথা শুনিতে পাইয়া দ্রুতপদে । বাহিরে আসিয়া চেচাইয়া বলিল, যেতে ব’লে দে খুড়োকে। স্বামীর প্রতি চাহিয়া বলিল, সকাল-বেলাতেই যদি ও সব খাবে ত আমি মাথা খুড়ে মরব। কি সব হচ্ছে আজ-কালি ! নীলাম্বর জবাব দিল না, নিঃশব্দে ভগিনীর হাত ধরিয়া খিড়কির দ্বার দিয়া বাগানে চলিয়া গেল । এই বাগানটির এক প্ৰান্ত দিয়া শীর্ণকায় সরস্বতী নদীর মৃদু স্রোতটুকু গঙ্গাযাত্রীর শ্বাস-প্ৰশ্বাসের মত বহিয়া যাইতেছিল। সৰ্বাঙ্গ শৈবালে পরিপূর্ণ ; শুধু মাঝে মাঝে গ্রামবাসীরা জল আহরণের জন্য কুপ খনন করিয়া রাখিয়া গিয়াছে। তাহারই আশে-পাশে শৈবালমুক্ত অগভীর তলদেশের বিভক্ত শুক্তিগুলি স্বচ্ছ জলের ভিতর দিয়া অসংখ্য মাণিক্যের
পাতা:বিরাজবৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭
অবয়ব