yo বিরাজবোঁ বেশ ! কামারের জাতার মাথে জ্বলন্ত কয়লা যেমন করিয়া গজিয়া জ্বলিয়া ছাই হয়, বিরাজের প্রজ্বলিত মস্তিকের মাখে ঠিক তেমনই করিয়া তাহার অতুল্য অমল্য হৃদয়- , খানি জ্বলিয়া পড়িয়া ছাই হইয়া গেল। সে স্বামী ভূলিল, ধৰ্ম ভুলিল, মরণ ভুলিল, একদস্টে প্রাণপণে ও-পারে ঘাটের পানে চাহিয়া রহিল। আবার কড়মড় করিয়া BDBDBD DDDBB BD uuuDu BBD BBBD DDBS BDBD BDB DDD সংকুচিত হইয়া নিজের প্রতি ফিরিয়া আসিল, একবার মািখ বাড়াইয়া জলের পানে চাহিল, একবার ঘাড় ফিরাইয়া বাড়ির দিকে দেখিল । তাহার পর লঘহস্তে নিজের বাঁধা বাঁধন খলিয়া ফেলিয়া চক্ষের নিমেষে অন্ধকার বনের মধ্যে মিশিয়া গেল । তাহার দ্রুত পদশব্দে কত কি সরসর খসখসে করিয়া পথ ছাড়িয়া গেল, সে ভ্ৰক্ষেপও করিল না- সে সন্দেরীর কাছে চলিয়াছিল। পঞ্চানন ঠাকুরতলায় তাহার ঘর। পাজা দিতে গিয়া কতবার তাহা দেখিয়া আসিয়াছে ! এ গ্রামের বধ্য হইলেও শৈশবে এ গ্রামের প্রায় সমস্ত পথঘােটই সে চিনিত, অলপ কালের মধ্যেই সে সন্দেরীর রন্ধ জানালার थांद्र शिक्षा 'फुाशेल । ইহার ঘণ্টা-দাই পরেই কাঙালী জেলে তাহার পানসিখানি ওপারের দিকে ভাসাইয়া দিল। অনেক রাত্রেই সে পয়সার লোভে সন্দেরীকে ওপারে পৌছাইয়া দিয়া আসিয়াছে, আজিও চলিয়াছে, আজ শািন্ধ একটির পরিবতে দটি রমণী নিঃশব্দে বসিয়া আছে। অন্ধকারে বিরাজের মািখ সে দেখিতে পাইল না, পাইলেও চিনিতে পারিত না। তাহদের ঘাটের কাছে আসিয়া দরে হইতে অন্ধকার তীরে একটা অস্পষ্ট দীঘ ঋজাদেহ-দাঁড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া বিরাজ চোখ বজিয়া রহিল। সন্দেরী চুপি চুপি আবার প্রশ্ন করিল, কে অমন ক’রে মারলে বোমা ? বিরাজ অধীর হইয়া বলিল, আমার গায়ে হাত তুলতে পারে সে ছাড়া আর কে, সন্দরী, ষে বার বার জিজ্ঞেস কচ্চিস ? সন্দরী অপ্রতিভ হইয়া চুপ করিয়া রহিল। আরে ঘণ্টা-দুই পরে একখানি সমসজ্জিত বজরা নোঙর তুলিবার উপক্ৰম করিতেই বিরাজ সন্দরীর পানে চাহিয়া বলিল, তুই সঙ্গে যাবিনে ? না বোমা, আমি এখানে না থাকলে লোক সন্দেহ করবে। যাও মা, ভয় নেই, আবার দেখা হবে । বিরাজ আর কিছর বলিল না। সন্দেরী কাঙালীর পানসিতে উঠিয়া ঘরে ফিরিয়া are জমিদারের সশ্ৰী বজরা বিরাজকে, লইয়া তীরে ছাড়িয়া ত্রিবেণী অভিমখে যাত্রা করিল। ঘাঁড়ের শব্দ ছাপাইয়া বাতাস চাপিয়া আসিল । দরে একাধারে মৌন রাজেন্দ্র নতমখে বসিয়া মদ খাইতে লাগিল, বিরাজ পাষাণ-মতির মত জলের দিকে চাহিয়া রাহিল। আজ রাজেন্দ্র অনেক মদ খাইয়াছিল। মদেৱ নেশা তাহার দেহের
