পাতা:বিলাতযাত্রী সন্ন্যাসীর চিঠি - ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
বিলাত-প্রবাসী

পুরাণ ওপান‍্সে হয়ে যায় অমনি চঞ্চলতা এসে গৃহের মঙ্গল লক্ষ্মীকে দূর করে দেয়। হিন্দুর আদর্শ ভিন্ন। হিন্দু পিতৃঋণ-পরিশোধার্থে বিবাহ করে। তাহাদের বিবাহ সম্ভোগের জন্য নয়। পিতৃত্ব ও মাতৃত্বরূপ মঙ্গলভাব করণের জন্য। হিন্দু তাই চঞ্চলস্বভাব যুবক যুবতীর হাতে পরিণয়ের গুরুভাব দেয় না। পিতা মাতাই ভাল কুলশীল দেখে পাত্রপাত্রী স্থির করে। কতকগুলি পাদ‍্রী গূঢ় কথা বুঝতে পারে না। তাই মিথ্যা মিথ্যা আমাদের নিন্দা করে। এই বক্তৃতার পর কামব্রিজ সহরে খুব একটা গোল হয়ে গেছে। আমার কালেজেতে বক্তৃতার দিন এক পাদরী কি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে বল‍্তে উঠেছিল অম্‌নি সভাপতি তাকে দুই ধমক দিলেন আর শ্রোতৃবর্গের হাততালির চোটে তাকে একেবারে দাঁড়িয়ে মাটি করে দিলে।

 এখানে মেয়েদের বড় কষ্ট। চেহারা ভাল না হোলে বিয়ে হয় না। বাজের টাকা থাক‍্লে সুবিধে হোতে পারে কিন্তু বড়ই মুস্কিল। যদি টিপ্ কপালী বা চিরুণ দাঁতী হয় তা হোলে কেউ তাদের গ্রাহ্য করে না। যুবতী প্রৌঢ়া ও বৃদ্ধা কুমারীর দল এত বেশী যে পায়ে ঠেকে। বিলেতে মেয়ের সংখ্যা অধিক শতকরা ৬০। এই অবিবাহিতা মেয়েদের অধিকাংশকে খেটে খেতে হয়। গৃহস্থের মেয়েরা তাই লেখাপড়া শেখে ও মেয়ে স্কুলে ডাকঘরে তার-ঘরে দোকানে ও অন্যান্য জায়গায় চাকরি পায়।

 কিছু দিন আগে অক্ষফোর্ডে ও কামব্রিজে মেয়েদের পড়িতে দিত না। এখন পড়িতে দেয় কিন্তু উপাধি B. A, M.A, Degree দেয় না। একজন বিদুষি-স্ত্রীলোেক এই জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্তৃপক্ষদের নিন্দা করছিলেন। আমি তাঁকে বল্লাম যে ঘরে একেত তোমাদের শাসনে পুরুষ অস্থির আকার উপাধিধারিণী ফেলো হোলে সেনেট সিন‍্ডিকেটে