কুটুম্বিনীর বােঝায় না। তারা মরুক বাঁচুক আর ভিক্ষা করুক তাতে আমার কি। এইরূপ শিক্ষা ইংরেজের কাছে পাওয়া যায়।
ইংরেজের সভ্যতা আচার ব্যবহার ও শীলের কথা পরে আরও লিখিব। এখন একটা কথা বােলে চিঠিটা শেষ করি।
আমি এক দিনের জন্য সুপ্রসিদ্ধ ষ্টেড্ সাহেবের (Mr. Stead) অতিথি হয়েছিলাম। তাঁহার আপিসে একটি সভা হয় সেখানে আমি বক্তৃতা করি। মিষ্টার ষ্টেড্ আমার সঙ্গে অনেক গল্পগাছা করেন। তিনি বোল্লেন যে তাঁর একটি ডবল (Double) আছে অর্থাৎ তাঁহার শরীর হইতে হুবাহু আর একটি ষ্টেড্ সাহেব বাহির হয়। এই ডবলটি যথেচ্ছ বিচরণ করে। তিনি বােল্লেন যে একবার তাঁর কোন এক রমণী বন্ধুর জ্বর (Influenza) হয়। সেই ডবল—তাঁহাকে তিন দিন তিন রাত সেবা করে। ঐ রমণী সুস্থ হোয়ে মিষ্টার ষ্টেড্ সাহেবকে ধন্যবাদ দিতে আসে। ষ্টেড্ সাহেব একেবারে অবাক্। তিনি ঐ ব্যাপারের বিন্দুবিসর্গও জানিতেন না। এইরূপে এই ডবলটি অবাধ্য ছেলের মত যেখানে খুসী ঘুরে বেড়ায়। আমার শুনে পীলে চম্কে গেল। ষ্টেড্ সাহেব কি আন্তে একবার ঘর থেকে বাহিরে গিয়েছিলেন। তার পর যখন ঘুরে ঢুক্ছেন আমার ভারি আতঙ্ক হােলাে। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম যে আপনি আস্ছেন না আপনার ডবল আস্ছেন। তিনি হেসে বােল্লেন—আমি—আমার ডবল নহি। আমি আবার ভয়ে ভয়ে বলিলাম কি করে জান্বাে। তিনি উত্তরে বলিলেন যে আমার চুল পাকা আর আমি চুরুট খাই কিন্তু আমার ডবলের চুল পাকা নহে আর সে চুরুটও খায় না। আরও যে কতরকম ভুতুড়ে গল্প করিলেন তাহা লিখিলে বঙ্গবাসী ভোরে যায়। আমিত সকাল বেলাই চম্পট দিলাম। আর ভূতের ভয়ে তাঁর সঙ্গে বড়