পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাণ [ sas J §: বাণ ১ ব্রাহ্মণ। বড়বায়াং ঘোটক্যাং জাতঃ বড়বা-অণ, । ২ বড়বানল, পৰ্য্যায়-উৰ্ব্ব, সংবর্তক, অন্ধ্যগ্রি, বড়বামুখ। ( হেম ) ৩ বড়ৰীসমূহ। ( অমর) (ত্রি ) ও বড়বলম্বন্ধী। (স্বশ্ৰত ১tee ) বাড়বকর্ষ ( ) উত্তরদেশস্থ গ্রামভেদ । ( পা ৪/২/১৯s ) ; বাড়বহরণ (কী) বড়ৰা লইয়া পলায়ন। বাড়বহারক (পুং ) বড়ৰ অপহরণকারী। (ত্রিকা ১২২২ ) বাড়বহার্য্য (কী) বড়বান্ধত নামক ক্রীতদাসের কার্য। বাড়বাগ্নি (পুং) বড়বানল। (জটাধর) বাড়বাগ্নিরস (পুং) হেল্যাধিকারে রসেৰধ বিশেষ ; প্রস্তুত প্রণালী—বিশুদ্ধ পারদ, গন্ধক, তাম্র, তাল (হরিতাল ) এই সকল দ্রব্য সমপরিমাণে লইয়া অর্কক্ষীরে একদিন মর্দন করিয়া গুঞ্জ প্রমাণ বটিকা করিবে। এই ঔষধ মধুদ্বারা লেহন করিলে স্থৌল্যরোগ প্রশমিত হয় । “শুদ্ধস্থতং সমং গন্ধং তাম্রং তালং সমং শুভম্। অর্কক্ষীরৈনিং মর্দ্য ক্ষেীত্ৰৈলেৰ দ্বিগুঞ্জকৰ্ম্ম ॥” (রসরত্ন” ) বাড়বানল (পুং) বড়বানল, বাড়বাদি। বাড়বেয় (পুং) বড়ব ( নাদিতো ঢক। পা ৪২৯৭) ইতি ঢকৃ। বড়বানল, বড়বাসম্বন্ধী। বাড়ব্য (কী) বাড়বানাং সমুহ (ব্রাহ্মণমানববাড়বায়ন। পা ৪।২৪২ ) ইতি সমুহার্থে ধনু । বাড়ৰসমূহ। বাড়েয়াপুত্র (পুং) বৈদিক भाषैर्षाख्न (শতপথত্ৰা”১৪৷৯৷৪৩e) বাডেউৎস (পুং ) বডেীৎসের পুত্র। ( রাজতন্ত্র ৮১৩-৮) বাড়লি (পুং ) ঋধিভেদ । ( পা ৬৩।১০৯ ) বাঢ়যু (অব) অধিকন্তু, অতিশয়,প্রচুরপরিমাণ, উত্তম, অলম্। বাঢ়বিক্রম (ত্রি) অতিশক্তিসম্পন্ন, বলবান, দৃপ্তবীৰ্য্য। বাণু (পুং ) বাণ শব্দ শুদস্তাস্ততি ৰাণ-অচ, ১ | ধনুকের বাণ কোন প্রকার হইলে ভাল হয়, এবং তাহা দ্বারা যুদ্ধাদি কাৰ্য্য করা যাইতে পারে, তদ্বিযয়ে ধনুর্বেদে এইরূপ লিখিত হইয়াছে,-প্রথমে যথানিয়মে ধমুক নিৰ্ম্মাণ করিয়া তৎপরে বাপ প্রস্তুত করিতে হইবে । সুলক্ষণসম্পন্ন শরের অগ্রভাগে যে লৌহনিৰ্ম্মিত ফলক সংলগ্ন করা হয়, তাহাকে বাণ কছে। বাণ লৌহ দ্বারা নিৰ্ম্মিত হয়। শুদ্ধ, বজ্র ও কান্ত প্রভৃতি বছৰিধ লৌহ আছে। তন্মধ্যে শুদ্ধ ও বঞ্জ লৌহ দ্বারাই অস্ত্রনিৰ্ম্মাণ বিধেয়। কিন্তু বাণ শুদ্ধ লৌহ দ্বারা করিলেই ভাল হয়। এই শুদ্ধ লৌহ লইয়া বিবিধ প্রকার ফল প্রস্তুত করা যাইতে পারে। যে সকল ফল সুধার, তীক্ষ ও অক্ষত করিতে হয়, তাছাতে বস্ত্ৰলেপ প্রদান করা আবগুৰু । ফল সকল পক্ষ-প্রমাণের অনুরূপ প্রমাণবিশিষ্ট করির পরে লক্ষণাক্রান্ত শরে সংযুক্ত করিতে হয়। এই ফলা সকল জাকারভেদে বহুবিধ। আরামুখ, ক্ষুন্নপ্র, গোপুচ্ছ, অর্ধচন্দ্র, স্বচীমুখ, ভর, বৎসদস্ত, তিল্প, কণিক ও কাকতুও ইত্যাদি বহুবিধ নামে এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন আকারের ফলা আছে । “ফলপ্ত শুদ্ধলৌহস্ত ক্ষুধারং তীক্ষমঙ্কতম্t যোজয়েৎ বজলেপেন শরে পক্ষীকুমানতঃ ॥ জারামুখং ক্ষুরপ্রঞ্চ গোপুচ্ছং চাৰ্দ্ধচন্দ্ৰকম্। হুচীমুখঞ্চ ভল্লঞ্চ বৎসদস্তং ভিল্লকম্ ॥ কাৰ্ণিকং কাকতুগুঞ্চ তথান্তান্তান্তনেকশঃ। ফলানি দেশে দেশেষু ভবস্তি বহুরূপতঃ ” (বৃহৎশাঙ্গ” ) ফলকের যে আকারগত বৈলক্ষণ্যের বিষয় নির্দিষ্ট হইয়াছে, তাহা কেবল বৃপ্তের জন্ত নহে, তাহ দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন কাৰ্য সকল সাধিত হইয়া থাকে। আরামুখ নামক বাণ দ্বারা বৰ্ম্ম ভেদ করা যায় । অৰ্দ্ধচন্দ্ৰ বাণে প্রতিযোদ্ধার মস্তক, এবং আরামুখ বা স্বচীমুখ বাণে ঢাল বেধ করা যায়। কালুক ছেদের জন্ত ক্ষুরপ্র বাণ, হৃদয় বিদ্ধ করিবার জন্ত ভল্ল নামক বাণ, ও ধনুকের গুণ ও আগম্যমান শর কাটিবার জন্য দ্বিভন্ন নামক ৰাপই প্রশস্ত । কাকতুগুীকার ফলার দ্বারা তিন অঙ্গুল পরিমিত লৌহ বিদ্ধ করা যায়। গোপুচ্ছাকার শর দ্বারা নানা কাৰ্য সাধিত হয়, এবং লৌহকণ্টকমুখ বাণ দ্বার অঙ্গুলিত্রয়পরিমিত ছিদ্র করিতে পারা যায়। ফল প্রস্তুত করিবার সময় উত্তমরূপে পায়ন ( পান ) দিতে হয়, ছেদ ভেদ প্রভৃতি বহুবিধ কাৰ্য্যের জন্ত উপযুক্ত বহুবিধ আকারের ফল প্রস্তুত করিয়া তাহাতে অস্ত্রবিদ্যার মতাচুলাৱে পান দিতে হয়। পানের গুণেই অস্ত্র স্বধার ও দৃঢ় হইয়া থাকে। ফলায় পান দিবার বিধি বৃহৎ শাঙ্গাধর এইরূপ নির্দেশ করিয়া—উৎকৃষ্ট ওষধি লিপ্ত করিয়া যে ফলকের পায়ন বিধান আছে, সেই বিধানামুসারে পান দিয়া ফলক নিৰ্ম্মাণ করিলে তাহ। দ্বারা দুর্ভেন্ত লৌহবৰ্ম্মও বৃক্ষপত্রের স্তায় ছেদন করিতে পারা যায়। পিপুল, সৈন্ধব লবণ ও কুড় এই সকল দ্রব্য উত্তমরূপে গোমূত্রে পেষণ করিয়া ফলকে লেপন করিতে হয়, উছা দ্বারা ঐ লিপ্ত ফলক অগ্নিতে উত্তপ্ত করিবে, পরে ইহা অগ্নিবৎ হইলে, আগুন হইতে তুলিলে পর যখন ইহার বর্ণ স্বাভাবিক হইৰে অথচ সম্পূর্ণ রূপে উত্তাপ থাকিবে, তখন এই ফলা তৈলের মধ্যে নিক্ষেপ করিবে। এই প্রণালী অনুসারে পান দিলে অতি উত্তম পান হয়। অন্তবিধ—সর্ষপ ও মধু উত্তমরূপে পেষণ করিয়া ফলকে লেপ দিয়া অগ্নিতে পোড়াইতে হইবে, যখন অগ্নিমূখ্য হইতে এই ফলকের ময়ুর পুচ্ছের মত রং দেখা যাইবে, তখন অগ্নি হইতে উছ তুলিয়া জলে নিক্ষেপ করিলে এই ফলক অতিশয় তীক্ষ थाब्रवृंख्७ झुछ इन। -