পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষী [ »२४ ] লক্ষী হয় । পরে রাজেন্দ্র, মঙ্গল, কেদার, বলদেব, সুবল, ধ্রুব, ইন্দ্র, বলি, কগুপ, দক্ষ প্রভৃতি সকলে তাহার পূজা করিয়াছিলেন। এইরূপে সেই সৰ্ব্বসম্পৎস্বরূপিণী সকল ঐশ্বৰ্য্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মী সৰ্ব্বদা সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্বজন কর্তৃক বন্দিত ও পূজিত হইতেছেন। লক্ষ্মীদেবী বৈকুণ্ঠে পূর্ণভাবে এবং চরাচর ব্রহ্মাণ্ডে ংশভাবে বিরাজিত আছেন।” নারদ নারায়ণের নিকট লক্ষ্মী দেবীর উৎপত্তি প্রভৃতির" বিবরণ শুনিয়া তাহার মনে একটী মহা সংশয় উপস্থিত হয়, এই সংশয় নিবারণের জন্ত তিনি ভগবানের নিকট প্রশ্ন করেন যে, লক্ষ্মীদেবী রাসমণ্ডলে আবির্ভূত হন, কিন্তু লোকে তিনি সিন্ধুতনা নামে কিরূপে খ্যাত হইলেন ? সাগরমন্থন করিয়া দেবগণ কিরূপেই বা লক্ষ্মীকে লাভ করেন ? আপনি আমার এই সংশয় নিরাকরণ করিয়া কৃতাৰ্থ করুন।” তখন ভগবান নারদের প্রশ্নে ঈষদ হাস্ত করিয়া কহিলেন, নারদ । পুৰ্ব্বে দুৰ্ব্বাস মুনির অভিশাপে দেবরাজ, দেবসমূহ ও মর্ত্যবাসী সকলে ঐদ্রষ্ট হইলে লক্ষ্মীদেবী রুষ্ট হইয়া পরম দু:খিতাস্ত;করণে স্বর্গাদি পরিত্যাগপূৰ্ব্বক বৈকুণ্ঠধামে গমন করিয়া মহালক্ষ্মীতে লীন হইলেন। একদা দেবরাজ ইন্দ্র অতিশয় কামোন্মত্ত-ভাবে রস্তাকে লইয়া শৃঙ্গারে প্রবৃত্ত ছিলেন। এমন সময়ে অকস্মাৎ দুৰ্ব্বাসামুনি শঙ্করকে পুজা করিবার জন্ত সেইস্থান দিয়া গমন করেন, দেবেন্দ্র মুনীন্দ্রকে দেখিয়া জ্ঞানশূন্ত অবস্থায় তাহাকে প্রণাম করাতে মহামুনি দুৰ্ব্বাসা তখন তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া পারিজাতপুষ্প প্রদান করেন এবং বলিয়া-দেন যে, এই পুষ্প সকল পাপনাশক ও সকল প্রকার মঙ্গলনিদান। তিনি আরও বলেন যে, যিনি ভক্তিপূর্বক শ্ৰীহরির চরণে নিবেদিত এই পুষ্প মস্তকে ধারণ না করেন, তিনি স্বগণের সহিত শ্ৰীশ্ৰষ্ট হন । * ইন্দ্র তখন অতিশয় কামোন্মত্ত ছিলেন, তাহার কর্তব্যাকৰ্ত্তব্য বোধ ছিল না । সুতরাং দুৰ্ব্বাসা প্রস্থান করিলে পর তিনি ভ্রমবশতঃ ঐ পুষ্প লইয়া ঐরাবতের মস্তকে প্রদান করেন। ঐরাবত ঐ পুষ্প মস্তকে ধারণ করিয়াই ইস্ত্রকে পরিত্যাগ করিয়া বনে গমন করিল, ইন্দ্র তৎক্ষণাৎ স্বজনগণের সঠিত শ্ৰীশ্ৰষ্ট হইল, ইন্দ্রকে ঐশ্ৰষ্ট হইতে দেখিয়া রম্ভাও তখন তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া গেল, তখন ইন্দ্রের চমক ভাঙ্গিল। ইন্দ্র" নিরানন্দভাবে অমরাবতীতে গমন করিলেন। অমরাবর্তীতে ধাইয়া ༈་༅།། পুরী অমরাবতী নিরানন্দময়, শক্রসমূহে পরিপূর্ণ, দীনভাবাপন্ন এবং বন্ধুবান্ধববর্জিত দেখিলেন, পরে দূতমুখে সমস্ত বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া দেবগণের সহিত ব্ৰহ্মার নিকট গমন করিলেন। ব্রহ্ম সমুদয় বৃত্তান্ত অবগত হইয়া ইন্দ্রকে কহিতে লাগিলেন, দেবেন্দ্ৰ ! তুমি আমার প্রপৌত্র, নিরন্তর ঐর আশ্রয়ে তুমি উজ্জল দীপ্তি ধারণ করিয়াছিলে, , তুমি লক্ষ্মীসদৃশী শচীর ভর্তা, তথাচ সৰ্ব্বদা তুমি পরীতে লোভ করিয়া থাক, পূৰ্ব্বে তুমি গৌতমের অভিশাপে ভগাঙ্গ ইইয়াছিলে, পুনৰ্ব্বার লজ্জাবিহীন হইয়া পরস্ত্রীরমণে লোভ করিয়াছ। যে পরস্ত্রীরমণ করে, তাহার শ্রী ও যশ নষ্ট হয়। ইত্যাদিরূপে ইঞ্জকে তিরস্কার করিয়া লোকপিতামহ ব্ৰহ্মা ইজকে কহিলেন, এখন ভগবান বিষ্ণুকে আরাধনা কর, তাহা হইলে তিনি তোমাকে পুনরায় লক্ষ্মীপ্রাপ্তির উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিলেন । অনস্তর ইন্দ্র অতি কঠোর-ভাবে নারায়ণের উদ্দেশে তপস্তারস্তু করিলেন। নারায়ণ ইন্দ্রের তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়া লক্ষ্মীকে সিন্ধুকন্যারূপে জন্ম লইতে আদেশ করিলে দেব ও দানবগণ মিলিয়া সমুদ্ৰ-মন্থন করিয়াছিলেন । এই সমুদ্রমন্থনে ইন্দ্র সম্পৎস্বরূপিণী লক্ষ্মী লাভ করেন। নারায়ণের আজ্ঞায় তাহার নিজাংশ হইতে সিন্ধুকস্তারূপে লক্ষ্মী প্রাচুভূত হন। সমুদ্র হইতে উৎপন্ন হইয়া লক্ষ্মী দেবগণ প্রভৃতিকে বরদান করেন, লক্ষ্মীর রূপায় ইন্দ্র রাজ্য ও ঐযুক্ত হইয়াছিলেন। তখন সকলে মিলিয়া লক্ষ্মী দেবীর স্তব করেন। (ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তপু• ৩৩-৩৬ অ• ) লক্ষ্মী8fল্পত । লক্ষ্মী কোন কোন স্থানে অবস্থান করেন এবং কোথায় বা অবস্থান করেন না, তাহার বিষয় পুরাণাদিতে এইরূপ বর্ণিত হইয়াছে -এই লক্ষ্মীচরিত্র পরম পবিত্র, যিনি ভক্তিপূৰ্ব্বক শ্রবণ করেন, তাহার অশেষ প্রকার কল্যাণ সাধিত হয়। লক্ষ্মী দেবী সমুদ্র হইতে উৎপন্ন হইলে পরে অঙ্গিরা, মরীচি প্রভৃতি ঋষিগণ র্তাহাকে পূজা ও স্তব করিয়া বলিয়াছিলেন, মাতঃ ! আপনি দেবতাদিগের গৃহে ও মর্ত্যলোকে গমন করুন। জগজননী লক্ষ্মী মুনীন্দ্রদিগের সেই বাক্য শুনিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, আমি ব্রাহ্মণদিগের অনুমতি ক্রমে দেবগণের গৃহে ও মর্ত্য। লোকে গমন করিব। হে মুনীন্দ্রগণ ! ভারত মধ্যে আমি যাহাদিগের গৃহে গমন করিব, তাহার বিষয় শ্রবণ কর। আমি পুণ্যবান সুনীতিজ্ঞ গৃহস্থ এবং রাজাদিগের গৃহে স্থির ভাবে থাকিয় তাহাদিগকে পুত্রের দ্যায় প্রতিপালন করিব। গুরু, দেবতা, মাতা, পিতা, বান্ধব, অতিথি এবং পিতৃলোক যাহাদিগের প্রতি রুষ্ট থাকেন, আমি তাহাদিগের গৃহে গমন করিব মা । যে ব্যক্তি সৰ্ব্বদা চিন্তা করে এবং সদা ভয়ভীত, শত্ৰগ্ৰস্ত, যে অতি পাতকী, যে ঋণগ্রস্ত বা অতিশয় কুপণ, সেই সকল পাপিষ্ঠের গৃহে পদার্পণ করিব না । যে ব্যক্তি দীক্ষ গ্রহণ করেন নাই, যে সৰ্ব্বদা শোকপীড়িত, মন্দবুদ্ধি, যে