लिम्नः পূৰ্ব্বে যে সকল লিঙ্গপুজার কথা লিখিত হইয়াছে, তাহার মধ্যে কলিকালে তাম্রাদিনিৰ্ম্মিত লিঙ্গপূজা করিতে নাই। যথা— “তাম্রলিঙ্গং কলেী নার্চেৎ রৈত্যন্ত সীসকস্ত চ | রক্তচন্দনলিঙ্গঞ্জ শঙ্খকাংস্তায়সং তথা | তুষ্টকাম সততং লিঙ্গ পিত্তলসম্ভবম্। কীৰ্ত্তিকামো যজেন্নিত্যং লিঙ্গং কাংস্তসমুদ্ভবম্ ॥ শত্রুমারণকামস্তু লিঙ্গং লৌহময়ং সদা । সদা সীসময়ং লিঙ্গমায়ুষ্কামোহৰ্চয়েল্লরঃ ॥” (মৎস্তস্বত্ত মহাতন্ত্র) তামনিৰ্ম্মিত লিঙ্গ, রৈত্য, সীসক, রক্তচন্দন, শঙ্খ, কাংস্ত, লৌহ এবং সীসকনিৰ্ম্মিত লিঙ্গ কলিকালে পূজা করিতে নাই। পাৰ্বদ দ্বারা শিবলিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া পূজা করিলে মহা ঐশ্বৰ্য্য লাভ হয় ।
- SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS
বতে লবণজং লিঙ্গং তালত্রিকটুকাস্থিতম্। গব্যস্তৃতময়ং লিঙ্গং সংপূজ্য বুদ্ধিবৰ্দ্ধনম্। লবণেন চ সৌভাগ্যং পার্থিবং সৰ্ব্বকামদম্। কমিদং তিলপিষ্ট্রোপ্তং তুষোথং মরণে স্মৃতম্ ॥ ভস্মোথং গুণদং ভুরি শর্করাথং স্থপ্রদম। বংশাকুরোথং বংশকরং গোময়ং সৰ্ব্বরোগদম্ ॥ কেশাস্থিসম্ভবং লিঙ্গং সৰ্ব্বশত্রুবিনাশনম্। ক্ষেভণে মারণে পিষ্টসম্ভবং লিঙ্গমুত্তমম । দারিদ্রদং দ্রমে ভূতং পিষ্টং সারস্বতপ্রদম্। দধিদুগ্ধোস্তবং লিঙ্গং কীৰ্ত্তিলক্ষীমুখপ্রদম্ ॥ ধন্যদং ধাস্ব্যঞ্জং লিঙ্গং ফলোথং ফলদং ভবেৎ । পুপোথং দিবাভোগায়ুম ক্তে ধাত্রফলোস্তব । নবনীতোস্তুষং লিঙ্গং কীৰ্ত্তিসৌভাগ্যবৰ্ধনম্। দুৰ্ব্বকাওসমুদ্ভুতমপমুতুনিপরিণম্ ॥ কপুরসস্তবং লিঙ্গং চল বৈ ভুক্তিমুক্তিদা। অয়ন্ধান্তং চতুর্ধ তু জ্ঞেয়ং সামান্তসিদ্ধি । মহামুক্তিপ্রদং হৈমং রাজতং ভূতিবৰ্দ্ধনম্। আরকুটং তথা কাংস্তং শৃণু সীমাস্তমুক্তিদম্ ॥ ত্রপুলসায়সং লিঙ্গং শত্র্যাং নাশনে হিতম্। কীৰ্ব্বিদং কাংস্তজং লিঙ্গং রাজতং পুষ্টিবৰ্ধনম | পৈত্তলং ভুক্তিমুক্ত্যৰ্থং মিশ্রজং সৰ্ব্বসিদ্ধিদম্ ॥ পিতৃণাং মুক্তয়ে লিঙ্গং পূজ্যং রজতসম্ভবম্ । হৈমন্ত্ৰং সত্যলোকস্ত প্রাপ্তয়ে পুঞ্জয়েং পুমান ৷ ঐ প্রদং বঞ্জজং লিঙ্গং শিলাজং সৰ্ব্বসিদ্ধিদম । ধাতুঙ্গং ধনাং সাক্ষাদাক্লজং ভৌগসিদ্ধিদম্ ॥ লিঙ্গং গোরোচনে খঞ্চ রূপকামত্ব পূজয়েৎ । কাস্তিকামন্ত্র সততং লিঙ্গং কুকুমসম্ভবম্ ॥ শ্বেতাগুরসমূদ্ভুতং মহাবুদ্ধিধিবৰ্ধনম্। ধারণাশক্তিপং লিঙ্গং কৃষ্ণাগুর সমুদ্ভুতম |" ( মৎস্তযুক্ত, মাতৃকাভেদতন্ত্র ) [ २७७ ] লিঙ্গ “পারদঞ্চ মহাভূত্যৈ সৌভাগ্যায় চ মৌক্তিকম্।।” (পদ্মপুরাণ) লিঙ্গ নিৰ্ম্মণপূর্বক তাহার সংস্কার করিয়া পূজা করিতে হয়। কেবল পার্থিব লিঙ্গের সংস্কার করিতে হয় না। নিম্নোক্ত প্রণালী অনুসারে সংস্কার করিবে । রৌপ্য বা স্বর্ণনিৰ্ম্মিত লিঙ্গ স্বর্ণপাত্রে তিন দিন দুগ্ধ মধ্যে রাথিয়া দিতে হইবে। পরে ‘ত্র্যম্বকং যজামহে’ ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা স্নান করাইয়া কালরুদ্রের পূজা করিবে, পরে বেদীতে ষোড়শ উপচার দ্বারা পাৰ্ব্বতীর পুজা বিধেয় । তৎপরে ঐ পাত্র হইতে লিঙ্গ তুলিয়া গঙ্গাজলে তিন দিন রাখিয়া দিতে হয়। পরে যথাবিধি সংস্কার অর্থাৎ প্রতিষ্ঠা করিয়া ঐ লিঙ্গ স্থাপন করিতে হইবে। "সংস্কার সংপ্রবক্ষ্যামি বিশেষ ইহ যাবৎ। , রৌপ্যঞ্চ স্বর্ণলিঙ্গঋ স্বর্ণপাত্রে নিধায় চ ॥ তন্মাদৃত্তোল্য তল্লিঙ্গং দুগ্ধমধ্যে দিনত্রয়ম্। ত্র্যম্বকেণ স্বাপয়িত্ব কালরুদ্রং প্রপুঞ্জয়েৎ ॥ ষোড়ুশে নোপচারেণ বেদ্যাস্তু পাৰ্ব্বতীং যজেৎ । তস্মাহুত্তোল্য তল্লিঙ্গং গঙ্গাতোয়ে দিনত্রয়ম্। ততো বেদোক্তবিধিনী সংস্কারমাচরেৎ সুধী: ॥” ( মাতৃকাভেদতন্ত্র ৭ পটল ) পার্থিব শিবলিঙ্গপূজনে মৃত্তিক ১ তোলা বা ২ তোল পরিমাণ লইয়া তাহার দ্বারা লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া পুঞ্জ করিতে হয় । “লিঙ্গপ্রমাণং দেবেশ কথয়স্ব ময়ি প্রভো । পার্থিবে চ শিখাদেী চ বিশেষে যত্র যে ভবেৎ ॥ মৃত্তিকাতোলকং গ্রাহমথবা তোলকদ্বয়ম্। এতদন্তম কুৰ্ব্বত কদাচিদপি পাৰ্ব্বতি ॥” ( মাতৃকাভেদতন্ত্র ৭ পটল ) পার্থিব লিঙ্গপূজনে মৃত্তিকাভেদের ব্যবস্থা দেখিতে পাওয়া যায়। লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ কালে ব্রাহ্মণ শুক্লবৰ্ণ মৃত্তিক, ক্ষত্রিয় রক্তবর্ণ মৃত্তিক, বৈহু পীতবর্ণমৃত্তিক এবং শূদ্র কৃষ্ণবর্ণ মৃত্তিক দ্বারা লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া পূজা করিবে। যে স্থলে ঐন্ধপ মৃত্তিকার অভাব হইবে, তথায় বিভিন্ন বর্ণের মৃত্তিক দ্বারা লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করিলে দোষ হইবে না । “চতুধ পার্থিবং লিঙ্গং মৃৎস্না ভেদেন পাৰ্ব্বতি । শুক্লং রক্তং তথা পীতং কৃষ্ণঞ্চ পরমেশ্বরি ॥ শুকুন্তু ব্রাহ্মণে শস্তং ক্ষত্রিয়ে রক্তমিষ্যতে । পীতন্তু বৈগুজাতে স্তাৎ কৃষ্ণং শুন্দ্রে প্রকীৰ্ত্তিতম্।” (লিঙ্গার্চনতন্ত্র ৩প' ) লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করিতে হইলে লিঙ্গের যেরূপ বিস্তার ও পরিমাণ শাস্ত্রে নির্দিষ্ট হইয়াছে সেইরূপ বিস্তার ও পরিমাণ করিতে হইবে।
