পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ণস্বরোদয় নরপতিজরচর্যারোদস্থত ব্ৰক্ষামলে উদ্ভূত মাছ মাতৃকার স্বরের সংখ্যা ষোড়শ বলিয়া নির্দিষ্ট । এই বেশ স্বরের মধ্যে অস্ত্যম্বর দুইট—অং, অঃ। এই স্বর দুই ভাগ করিয়া লইতে হইবে । ষোড়শ স্বরের চাটি স্বর ক্লাব, যথা-eখ, ঋ, ৯, ৯ । সুতরাং এ চারিট স্বরও তাজ্য। অবশিষ্ট দশটা স্বরের মধ্যে দুই দুইটা করিয়া পাট। যুগ্ম হইবে । এই পঞ্চ যুগের আদি পাঁচটি স্বর-আ, ই, উ, এ, ও । ইহার হ্রস্বস্বর মধ্যে গণনীয় । সুতরাং এই পাঁচটি স্বরই স্বরোদয়ে অৰলম্বনীয় । এই স্বরোদয় হইতে লাভালাভ, সুখদুঃখ, জীবন-মরণ, জয়-পরাজয় ও সন্ধি এই সকল বিষয় বিদিত হওয়া যায়। মাতৃকাবর্ণেই চরাচর পরিব্যাপ্ত, কিন্তু মাতৃকাবর্ণগুলি স্বর ভিন্ন উচ্চারণ করা অসম্ভব, সুতরাং এই চরাচর নিখিলজগৎ স্বর হইতে উদ্ভূত হইয়াছে, তাই স্বরোদর দ্বারাই সমস্ত জ্ঞাত ॐ ट्रेड १{!} श्रृंध्र ! * অকারাদি পাচটি স্বব, ব্রহ্মাদি পঞ্চ দেবতা বলিয়া কথিত । স্থ। —আকারে ব্রহ্মা, ইকারে বিষ্ণু, উকারে রুদ্র, একারে পবন, ওকারে সদাশিব। এইরূপ ঐ অঞ্চারাদি পঞ্চস্বরে নিবৃত্তি, প্রতিষ্ঠা, বিদ্যা, শাস্তি ও শাস্ত্যতীত এষ্ট পাঁচটি কলা এবং ইচ্ছা, প্রজ্ঞা, প্রভা, শ্রদ্ধা ও মেধা এই পাঁচটি শক্তি নির্দিষ্ট আছে । ঐ পঞ্চস্বর অকারাদিক্ৰমে চতুরস্ক, অৰ্দ্ধচন্দ্র, ত্রিকোণ, মুড় বিন্দুযুত, গোলাকার ও শুদ্ধ গোলাকার এই পঞ্চক্র, পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু, আকাশ এই পঞ্চভূত ; গন্ধ রস রূপ স্পর্শ শব্দ এই বিষয়পঞ্চক এবং সম্মোহন, উন্মাদন, শোষণ, তাপন ও স্তম্ভন এই পাচটি পঞ্চ বাণের বাণরূপে নির্ণীত ।

  • অকারাদি স্বরা; পঞ্চ ব্রহ্মাষ্ঠা: পঞ্চদেবতাঃ । নিবৃত্তাদ্যা; কলাঃ পঞ্চ ইচ্ছাদ্যং শক্তিপঞ্চকৰ্ম্ম । মায়াপ্তাশ্চক্ৰভেদাশ্চ ধরাপ্তং ভূতপঞ্চকম্। গন্ধান্ত বিষয়স্তে চ কামবাণী ইতীরিতা: ॥”(স্বরোদয় )
  • "মাতৃকায়াং স্বয়া; প্রোক্তা: স্বরা; বোড়শসংখ্যক: । ८ठ्श|१ श्रीविग्भो उ;|.च]ौ प्र्ङ्गlश्न* मंमदtः ॥ শেষ দশ স্বরান্তেয়ু স্তাদেকৈকে দ্বিকে দ্বিকে । ক্সের অতঃ স্বরাদ্যশি ছুশ্বীঃ পঞ্চ স্বরোদয়ে । লাভালাগুং মুখং দুঃখং জীবিতং মরণং তথা । জয়ঃ পরাজয়ঃ সঞ্চিঃ সৰ্ব্বং জ্ঞেয়ং স্বরোদয়ে । স্বরাহি মাতৃকোচ্চার মাতৃব্যাপ্তং চরাচরম। তস্মাং স্বরোস্তুৰং সৰ্ব্বং ত্ৰৈলোক্যং সচরাচরঙ্গ "

( মরপডিচধ্যশ্বরোদয়স্কৃত ব্ৰহ্মযামল ) XVII ( 8 [ 9 ) L ঘণস্বরোদয় অকারাদি পঞ্চস্বর আটভাগে বিভক্ত। যথা-মাত্রা, বর্ণ, গ্রহ, জীব, রাশি, নক্ষত্র, পিও এবং যোগস্বর। - যখন মাত্রাস্বর বলবান থাকে, তখন মন্ত্রসাধন, যন্ত্রসাধন ও অন্যান্ত অধোমুখ কাৰ্য্য করিবে।’ বর্ণস্বর প্রবল থাকিলে শুভাশুভ কৰ্ম্ম করিবে, বর্ণস্বর সকল সময়ে বিশেষতঃ যুদ্ধকালে সিদ্ধিপ্রদ * 海 গ্রহশ্বর বলবান থাকিলে মারণ, মোহন, স্তম্ভন, বিদ্বেষণ, উচ্চাটন, বশীকরণ, বিবাদ, যুদ্ধ, প্রহার ও সংহার এই সমুদায় কার্য্য কৰ্ত্তব্য ।* জীবস্বর বলবান থাকিলে বস্তু, অলঙ্কার, ভূষণ, বিষ্ঠারম্ভ, বিবাহ, যাত্রা ও পানাদি কাৰ্য্য করিবে ।” রাশিম্বর বলবান থাকিলে প্রাসাদ, হৰ্ম্মা,উষ্ঠান, দেবতাস্থাপন, বাজ্যে অভিষেক ও দীক্ষাকাৰ্য্য করিবে ।" নক্ষত্রস্বর বলবান হইলে শান্তিক, পোষ্টক, গৃহাদি প্রবেশ, বীজবপন, বিবাহ ও যাত্রা কাৰ্য্য বিধেয় ।” পিগুস্বর প্রবল হইলে শত্রুপক্ষের দেশভঙ্গ, সেনাপতি ও মন্ত্রিনিয়োগ এই সকল কাৰ্য্য করিবে ।” আর যোগস্বর প্রবল হইলে জ্ঞানসম্ভব আণব অর্থাৎ অণিমাদি অঃৈশ্বৰ্য্যপ্রাপ্তিবিষয়ক, শাস্তব ও শাক্তেয় ইত্যাদি শারীরিক যোগ সাধন করিবে ৮ যে নাম ধরিয়া নিদ্রিত ব্যক্তিকে ডাকা যায়, যে নাম লইয়৷ ডাকিলে মানুষ গমন করে, সেই নামের আদাবর্ণে যে মাত্রা অর্থাৎ স্বর হইবে, তাহার নামই মাত্রাস্বর। যেমন রজনীকা? ( ১ ) “সাধন: মগ্নয়েশ্নঃ যন্ত্রযোগঞ্চ সৰ্ব্বদ । অধোমুখানি কাৰ্য্যাণি মাত্রাস্বরবলে কুরু ” ( ) “বৰ্ণস্বরবলে সৰ্ব্বং কৰ্ত্তব্যঞ্চ শুভাশুভম্। সিদ্ধিদঃ সৰ্ব্বকাৰ্য্যেষু যুদ্ধকালে বিশেষত: ” (৩) “মরশং মোহনং স্তম্ভং বিশ্বেম্বোচ্চাটনে বশ । বিবাদং বিগ্রহং ঘাতং কুৰ্য্যাদগ্রস্বরোদয়ে ॥. (৪) “যাত্রপানাদিকং সৰ্ব্বং বস্ত্রীলঙ্কারভূষণম্। বিদ্যায়স্তং বিহুঙ্ক কুৰ্য্যজীবস্বরোদয়ে ।" ( ) “প্রাসাদারামহৰ্ম্মাণি দেবতাস্থাপনালি চ। রাঞ্জাতিষেচনং দীক্ষা কৰ্ত্তব্যং রাশিকে স্বরে " ( ) “শাস্তিকং পে'ষ্টকঞ্চৈব প্রবেশে ধীজধাপন। স্ত্রীবিবাহস্তথা যাত্ৰা কৰ্ত্তব্য ভস্বরে িদয়ে !" (৭) "শত্রাং দেশভঙ্গঙ্ক কুটযুদ্ধঞ্চ বেষ্টনম । সেনাধ্যক্ষপ্তথা মন্ত্ৰী কৰ্ত্তব্যং পিগুকোদয়ে " (৮) “যোগেন সাধয়ে যোগং দেহস্থং জ্ঞানসম্ভবম্ । আশবং শাস্তবঞ্চৈৰ শায়েঞ্চ তৃতীয়ক " (স্বরোদয় )