পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালী বধ করিয়াছ, তৰ্জ্জন্তু তোমার নাম চামুও বলিয়া বিখ্যাত হইবে। সচরাচর যে কালী বা শুrাম-মূৰ্ত্তি দেখা যায় তাহার সহিত এই মূৰ্ত্তির সম্পূর্ণ ঐক্য নাই, কতকটা সাপ্ত আছে বটে। রক্তবীজবধের সময়েই এই কালী জিহৰা বিস্তার করিয়া তদুপরি রক্তবীজের শরীর-বিনির্গত সমস্ত রক্ত ধারণ করিয়া পান করিয়াছিলেন । কৌষিকীর অস্ত্রপ্রহারে রক্তবীজ दिमठे झग्न । চওঁতেও কালীপূজার কোন বিধান নাই। গুস্ত নিশুম্ভবধের পর দেবী দেবতাদিগকে যে পূজাপদ্ধতি ৰলিয়াছেন ; তাহ শারদীয় মহাপূজার কথা । দেবীভাগবতের ৫ম স্বন্ধে ২৩শ অধ্যায়ে কোষিকী উৎপত্তির পর পাৰ্ব্বতীর শরীর কৃষ্ণবর্ণ হইয়া কালিকা নামে প্রসিদ্ধ হইবার কথা আছে ; কিন্তু এই কালিকার নাম কালরাত্রি বলিয়া কথিত হইয়াছে । চওঁীকথিত এই কালিকার কোন কার্য্য পাওয়া যায় না, কিন্তু দেবীভাগবতে ইহার সহিত ধূম্রলোচনের ঘোর সংগ্রাম ঘটিয়াছিল বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে ও যুদ্ধের পরে ইহারই হুঙ্কারে ধূম্রলোচন বিনষ্ট হয় । ইনি বরাবর কৌষিকীর পাশ্বে উপস্থিত ছিলেন। দেবীভাগবতেও চণ্ডমুণ্ড বধের সময় কৌষিকীর কপাল হইতে ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্মাম্বর, ক্ররা, গজচৰ্ম্মোত্তরীয়, মুওমালাধরা, ঘোরা, শুস্কবাপীসমোদর, খড়গপাশধরা, অতি ভীষণা, খট্রাঙ্গধারিণী, বিস্তীর্ণ-বদন, লোলজিহ্বা কালীর উৎপত্তি কথিত হইয়াছে। এই কালী চামুণ্ড নামে বিখ্যাত হন । ইনিই রক্তবীজের রুধিরপায়িনী । এতদ্ভিন্ন অন্যান্ত পুরাণেও কালী, ভদ্রকালী, মহাকালী ইত্যাদি নাম পাওয়া যায়, কিন্তু উৎপত্তি সম্বন্ধে বিশেষ কোন বিবরণ পাওয়া যায় না । { শক্তিপ্রধান কালীর পূজা, ধ্যান কবচাদি ও তান্ত্রিক রহস্তানি “শ্যামা” শব্দে এবং অন্যান্য বিষয় “দুৰ্গা” শব্দে झठेवा ! ] কালীমূর্তির রূপক ভাঙ্গিয়া দেখিলে বুঝা যায়, ইহা সৰ্ব্ববিধ্বংসী মহাকালের প্রণয়িনী-অনন্তকালরূপী শিব পদতলে দলিত হইতেছেন, সৰ্ব্বধ্বংসকারিণী শক্তিজ্ঞাপক অসি হন্তে ; ভূত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কালবাচক ত্রিনয়ন ইত্যাদি। এই স্থলে যতগুলি কালীমূৰ্ত্তির কথা দেওয়া হইল, তাহার কোনটাই খিৰান্ধয়া নহে, শবাসনার কখা ‘গুণমা’ শব্দে দ্রষ্টব্য। ०- भांकूकाँक्रिपब ॥ a छैमा ; जऊँौ हिमांगब्र श्रृंखैदङ दर्थम उिँोत्र जप्न अिश्ल काब्रम, उर्थम थर्थट्रय छिनि क्लकदक्रि८ो IW [ ७१ ] o e ौिशां প্রাচুভূত হইয়াছিলেন, তৎপরে উৰ্ব্বশী প্রভৃতি অন্সয়োগণ উাহাকে গৌরাঙ্গী করিয়াছিল। ( কালিকা পুং ৪• অঃ । ) ৫ ভীমসেনের পঞ্জীবিশেষ । (“যুধিষ্ঠিরাত্ত পৌরব্যাং দেবকে ২থ ঘটােৎকচ। ভীমসেনাৎ হিড়িম্বায়াং কাল্যাং সৰ্ব্বগতস্ততঃ।” তাগ" ৯২২) ৬ অগ্নিশিখাবিশেষ। ৭ রাত্রি। ৮ ত্রিবৃৎ । ৯ তুরী। ১• কালাঙ্গনী। ১১ নিন্দা, অযশ । ১২ নুতনমেঘসমূহ। ১৩ বৃশ্চিকালী, কেলেবিছাট । ১৪ লিখিবার উপকরণবিশেষ, মসী। ১৭ কৃষ্ণবর্ণ স্ত্রী । ১৮ কালরঙ্গ । [ মসী দেখ। ] কালীক ( পুং ) কে জলে অলতি পৰ্য্যাপ্নোতি প্রভবতি ইত্যর্থঃ ক-অল ইকন ; পৃষোদরাদিত্বাৎ দীর্ঘঃ । বক । , কালীকোঁড়া ( cwesw ) perfrofs (Guarea paniculata) কালীগোখুরা (দেশজ) কালরঙ্গের গোখুরা সাপ। কালীঘাট, কলিকাতার দক্ষিণপ্রান্তে প্রাচীন গঙ্গার চরের উপর অবস্থিত একট পীঠস্থান । অক্ষা ২২°৩১৩৯%উ:, দ্রাঘি ৮৮২৩ পূঃ । বৃহীলতন্ত্র ও শিবাচনতন্ত্রে এই স্থান কালীৰটু নামে উক্ত হইয়াছে। প্রবাদ এইরূপ, এখানে সতী অঙ্গ পড়িয়াছিল বলিয়া, বহুদিন হইতে এই স্থান পীঠ বলিয়া প্রসিদ্ধ। ভবিষ্যপুরাণীয় ব্রহ্মখণ্ডে লিখিত আছে— “গোবিন্দপুরপ্রাস্তে চ কালী সুরধুনীতটে " পূৰ্ব্বে গঙ্গার উপরেই কালীদেবী বিরাজ করিতেন। পূৰ্ব্বে সাগরযাত্ৰী হিন্দুবণিকগণ ইহার নিকট ঘাটে নামিয় কালীপূজা দিয়া যাইত, তখন হইতে এই স্থান কালীর ঘাট বা কালীঘাট নামে বিখ্যাত হয় । নিগমকল্পের পীঠমালায় কালীঘাটের এইরূপ সীমা নির্দিষ্ট श्हेग्राप्झ “দক্ষিণেশ্বরমারভ্য যাবচ্চ বহলাপুরী। ধনুরাকারক্ষেত্রঞ্চ যোজনস্বয়সংখ্যকম্ ॥ তন্মধ্যে ত্রিকোণাকারং ক্রোশমাত্রং ব্যবস্থিতম্। ত্রিকোণে ত্রিগুণাকারং ব্রহ্মবিষ্ণুশিবাত্মকম্ ॥ মধ্যে চ কালিকাদেবী মহাকালী প্রকীৰ্ত্তিতা । নকুলেশঃ ভৈরবে যত্র তত্র গঙ্গা বিরাজিত । কাশীক্ষেত্ৰং কালীক্ষেত্রমভেদোহস্তি মহেশ্বর ॥* দক্ষিণেশ্বর হইতে বহল পর্যন্ত ছুই যোজনপরিমিত ধনুরাকার স্থান কালীক্ষেত্র। ইহার মধ্যে এক ক্রোশ ত্রিকোণাকার স্থানে ত্ৰিগুণাত্মক ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর এবং মধ্যস্থলে মহাকালী নামে কালিকাদেবী বিরাজ করেন। পূৰ্ব্বে কালীঘাটের চারিদিকে নিবিড় জঙ্গল ছিল,