বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধবক্ষ মধ্যাহে সৰ্ব্বদ যম্মাম্মদী ভবতি ভাস্করঃ । . তন্মাদুস্তফলদস্তত্রারম্ভে বিশিষ্যতে ". ( মৎস্যপুও শ্রাদ্ধক০ ২২ অ• ) মধ্যাহ্নকালে পিতৃগণের উদ্দেশে শ্রাদ্ধ করিতে হয়। সাধারণ বিধি, যদি কোন তিথি উভয় দিনই মধ্যাহ্নব্যাপিনী হয়, তাহা হইলে কোন দিন হইবে, ইত্যাদির মীমাংসার জন্ত কুতব-রোহিণ ও সঙ্গব প্রভৃতি মধ্যাহ্নের বিভাগ আছে। [ ইহার বিশেষ বিবরণ শ্ৰাদ্ধ দেথ । ] ২ ত্রিধ বিভক্ত দিনের মধ্যভাগ, মধ্যাস্থের ইহাই সাধারণ অর্থ। দিবামান ৩০ দণ্ড হইলে প্রথম দশদণ্ড বাদ দিয়া যে দশ দণ্ড তাহাই মধ্যাহ্ন। দিনমানের কমি বেশী স্থলে ভাগহার দ্বারা মধ্যাহকাল নির্ণয় করিতে হয়। পূৰ্ব্বাৰু, মধ্যাহ্ন ও অপরাহু এইরূপে দিনমানের তিনটা ভাগ কল্পিত হইয়াছে। পূৰ্ব্বহুকাল দেবপূজার জন্য, মধ্যাহ্নকাল পিতৃত্বত্য অর্থাৎ শ্ৰাদ্ধাদি এবং অপরাহু কালে কেবল সপিণ্ডীকরণশ্রাদ্ধের জন্য বিহিত হইয়াছে। ৩ পঞ্চধা বিভক্তদিনের তৃতীয় ভাগ। দিবামীনকে পাচ ভাগে বিভাগ করিয়া প্রথম দুইভাগ বাদ দিয়া তৃতীয়ভাগের নাম মধ্যাহ্ন। এই কাল ১২ দণ্ডের পর ৬ লণ্ড । “প্রাতঃকালে মুহূৰ্ত্তাংস্ত্রীন সঙ্গবস্তাবদেবতু। মধ্যাহস্ত্রিমুহূৰ্ত্তং স্যাৎ” ( দক্ষস • ) মধ্যেগঙ্গ (অব্য ) গঙ্গায়াঃ মধ্যং (পারে মধ্যে ষষ্ঠ্য বা । প। ২১।১৮) ইত্যব্যয়ী ভাবসমাসঃ । গঙ্গার মধ্য । অব্যয়ীভাবসমাস হইলে অব্যয় হয়, এই জঙ্ক এই শব্দ অব্যয়। মধ্যেগুরু (ত্রি) মধ্যে গুরুঃ, (মধ্যাগ,রে । পা ৬৩।১১ ) ইতি সপ্তম্য অলুক । মধ্যদেশে গুরুশব্দযুক্ত । মধ্যেজ্যোতিস (স্ত্রী । ত্রিইভ ছন্দের নামান্তর। মধ্যেনগর (অব্য• ) নগরস্য মধ্যং । নগরের মধ্যভাগ। মধ্যেমদি (অব্য• ) নষ্ঠা: মধ্যং। নদীর মধ্যভাগ । মধ্যেপৃষ্ঠ ( অব • ) পৃষ্ঠস্য মধ্যং । পৃষ্ঠের মধ্যভাগ । মধ্যেমাগ ( অব্য• ) মাগস্য মধ্যং মার্গের মধ্যভাগ, পথের মধ্য । মধ্যে বারি (অধ’ ) বারিণে মধ্যং। জলের মধ্যভাগ। মধ্যেসভ ( অব্য ) সভায়াঃ মধ্যং। সভার মধ্যভাগ । মধ্যোদাত্ত (ত্রি ) মধ্যবর্ণে উদাত্তযুক্ত। ae (পুং ) ইহার প্রকৃত নাম মধু মধ্বসম্প্রদায়ের প্রবর্তক। [ মধবাচার্য্য দেখ। ] মঞ্চবক (পুং ) মৌমাছি । মধ্যক্ষ (ত্রি ) মধুর স্তায় অক্ষিযুক্ত । 象 [ so e ] মধবাচায্য মধ্বদ (ত্রি) মধু-অৰ্দ্দক্ষিপ, উদকপায়ী। “ধস্মিন বৃক্ষে মধ্বদঃ সুপর্ণ নিবিশস্তে” ( ঋক্ ১১৬৪২২ ) মধ্বদঃ উদকল্যাক্তার:’ (সায়ণ ) ২ মধুপানকারী । মধ্বমুখভঙ্গ (পুং ) ) অল্পম্বদক্ষিত-রচিত মধ্বাচার্যের মধ্বমুখমৰ্দ্দন (ক্লা) | মত্তখণ্ডনবিষয়ক গ্রন্থ । মধবর্ণস (ত্রি) মধুরজগযুক্ত। “মপিন্ধনু মধ্বসে ন্যশ্চভস্রঃ” (ঋক্ ১৬২৬) “মধবর্ণসে। মধুরোদকাশ্চতস্রো নদ্যঃ’ । মধ্বরিষ্ঠ ( ক্লী ) গ্রহণীরোগোক্ত অরিষ্টভেদ । (চক্রদত্ত চি০ ১৯ অe ) মধবল ( পুং ) মধু অলতীতি অল-অণ, সংখ্যাপূর্বকত্বাৎ বৃদ্ধ্যভাবঃ। মধুবার, অতিপান, পুনঃপুনঃ মুরাপানপরিপাটী মধ্বষ্ঠীল। (স্ত্রী ) মধুগুচ্ছ। - | মধবাচারী, মধবাচার্য্যের মতাবলম্বি-সম্প্রদায়ভেদ। (মাধব দেখ] মধবাচাৰ্য্য, মাধব বা মধ্বাচারি-সম্প্রদায়ের প্রবর্তক একজন মহাত্ম। ইনি দক্ষিণাপথের অন্তর্গত তুলুবনিবাসী মধিজীভট্টের পুত্র। প্রথমে তাহার নাম হইয়াছিল বসুদেবাচার্য্য । নারায়ণ-পণ্ডিতরচিত মধবাচাৰ্য্যবিজয় প্রভৃতি সাম্প্রদায়িক গ্রন্থে লিথিত আছে ;-স্বয়ং বায়ু নারায়ণের আদেশে ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থ আবিভূত হইয়। মধবাচাৰ্য্য নামে প্রসিদ্ধ হন। র্তাহার আবির্ভাৰকাল ১১২১ শক । তিনি বাল্যকালে অনন্তেশ্বরের মঠে বিদ্যাভ্যাস করিতেন। ৯ বর্ষ বয়ঃক্রমকালে সনককুলোদ্ভব অচু্যতপ্রেক্ষাচার্য্যের (অপর নাম শুদ্ধানন ) নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেন। দীক্ষার পর তিনি গুরুদত্ত পূর্ণপ্রজ্ঞ নাম লইলেন । দীক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই র্তাহার বৈরাগ্যোদয় হইয়াছিল। সংসারপরিত্যাগের পর তিনি আনন্দন্তীর্থ, আনন্দজ্ঞান, জ্ঞানানন্দ, আনন্দগিরি প্রভৃতি নামেও পরিচিত হইলেন । মধ্যবিজয়ে লিখিত অাছে, –তিনি গীতাভাষ্য প্রণয়ন করিয়া বদরিকাশ্রমে গমন করেন এবং তথায় ব্যাসদেবকে ঐ গ্রন্থ উপহার দিয়াছিলেন। ব্যাসদেবও প্রীত হইয় তাহাকে তিনটা শালগ্রাম শিলা অর্পণ করেন। এই শিলাত্রয় মধবাচায্যের যত্নে সুব্রহ্মণ্য, উদিপি, মধ্যতল এই তিন স্থানের মঠে প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত শালগ্রাম ব্যতীত তিনি উদিপিতে এক কৃষ্ণমূৰ্ত্তিও প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । এই কৃষ্ণমূৰ্ত্তিপ্রতিষ্ঠা সম্বন্ধেও এইরূপ উপাখ্যান আছে,— কোন বণিকের একখানি অর্ণবপোত দ্বারকা হইতে মলবারে গমনকালে তুলুবের নিকট গিয়া অকস্মাৎ ডুবিয়া যায়। সেই জলধানে এক কৃষ্ণবিগ্রহ গোপীচন্দন মৃত্তিকায় ঢাকা ছিল। মধবাচাৰ্য্য দৈবজ্ঞানবলে তাহী জানিতে পারিয়া