মহারাষ্ট্র [ 8 og J प्रशंब्रॉड़े এই উত্তেজনাময়ী বাণী রামদাসের ওজস্বিনী ভাষায় কবিতাকারে তাহার শিষ্যগণ কর্তৃক যখন মরাঠাগণের দ্বারে ৰায়ে গীত হইতে লাগিল, তখনই নুত্তন মহারাষ্ট্র-সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপিত হইল। মহাত্ম শিবাজীর ভায় উদ্যমশীল ক্ষত্রিয়-যুবক রামদাসের শিষ্যত্ব স্বীকার করিলেন, স্বধৰ্ম্ম ও স্বদেশরক্ষার প্রবলাকাঙ্ক। সমগ্র মহারাষ্ট্র জাতিকে উন্নত করিয়া তুলিল । শিবাজীর নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রবাসী দক্ষিণ-পথ হইতে ববন রাজ্যের মূল উৎখাত করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর হইলেন। জ্ঞানেশ্বর ও মুকুন্দরাজ পরমার্থজ্ঞান ও ভক্তিস্বত্র অবলম্বনে মহারাষ্ট্র-সাহিত্যের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, পর, বৰ্ত্তী কবিগণের চেষ্টায় তাহা ক্রমশঃ পরিপুষ্ট হুইয়া পরিশেষে রামদাসের অসামান্ত প্রতিভাবলে অপুৰ্ব্ব নিজমুল্লতে বিভূষিত হইল। তদানীন্তন মহারাষ্ট্র-সাহিত্যের এই পূর্ণবিকাশকালে বহুসংখ্যক ভক্তরমণী সাত্ত্বিকভাবপুর্ণ কবিত। রচনা দ্বারা মাতৃভাষাকে অলঙ্কত করিয়াছিলেন। শেখ মহম্মদ নামক এক মুসলমান কবি যোগসংগ্রাম-নামক গ্রন্থের রচনা ও তুকারামের স্তায় পণ্যরপুরের বিটুঠলদেবের উপামনায় দেছমন সমর্পণ করিয়াছিলেন । এই সময়ে মরাঠা গদ্যরচনারও স্বত্রপাত হয়। মরাঠাসদারগণের অনুষ্ঠিত যুদ্ধাদির বিজয়বাৰ্ত্ত অবলম্বনে গীতিকবিতা রচনার প্রথাও এই সময়েই প্রবত্তিত হয়। ফলতঃ মহারাষ্ট্রীয়দিগের জাতীয় অভু্যদয়ের অব্যবহিত পুৰ্ব্বে মহারাষ্ট্র-সাহিত্যের এইরূপ সৰ্ব্বাঙ্গীণ উন্নতি সাধিত হইয়াছিল। অভু্যদয় । মহারাষ্ট্রীয় জাতির অভু্যদয়ের উপাদান সামগ্ৰীগুলি কিরূপে মুসলমানদিগের শাসনকালেই উদ্ভূত ও পরিপুষ্ট হহয়৷ উঠিয়াছিল, ধৰ্ম্ম ও সাহিত্যগত উন্নতির ফলে কিরূপে মহারাষ্ট্রজন-সাধারণের চিত্ত স্বসংস্কৃত ও আত্মনিভরশীল হইয়া উঠিয়া ছিল, কিরূপেই বা মুসলমানদিগের আত্মকলহ ও চুব্বলতাস্বত্রে মরাঠাগণ দেওয়ানি, ফৌজদারী ও দেশরক্ষা প্রভৃতি ব্যাপারে কার্য্যদক্ষত ও বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ দ্বার ক্রমশঃ পদোন্নতি লাভ করিয়া, মুসলমানদিগের দক্ষিণহস্তস্বরূপ হইয়। উঠিলেন, তাহা এতক্ষণ বিবৃত হইল । এইরূপ অবস্থায় রামদাস পার্থিবজ্ঞানপূর্ণ অপূৰ্ব্ব বীররস প্রধান সাহিত্যের স্বষ্টি করিয়া কিরূপে স্বদেশবাসীর হৃদয়ে স্বাধীনতার বীজ উত্তপ্ত করিলেন, তাহাও পাঠক দেখিয়াছেন। এক্ষণে যেরূপে বিভিন্ন নেতার অধীনে এই মহাজাতি উন্নতিপথে অগ্রসর হইতে লাগিলেন, किक्रcन्तरे यां ॐांश्ॉनिcनंब्र गूनब्रॉब्र जबनडि इइंज, छाश्! পাঠকগণ শিবাজী, সাম্ভাজী, রাজারাষ, শাহু, পেঙ্গব मार्षद बां७, ब्रपूंनाथ ब्राe, गमाश्विद ब्रt७, भाथवब्रां७ लांब्राइ१. ৰাজী রাও, সিনো (সিন্ধিস্থ1), হোলকর প্রভৃতি শঙ্গে খ্রিস্তারিত ভাবে দেখিত্তে পাইবেন । এস্থলে লংক্ষেপে তৎসংক্রান্ত কয়েকটা প্রয়োজনীয় বিষয়ের উল্লেখ করা যাইতেছে। পুৰ্ব্ববর্ণিত ঘটনাপারস্পর্ঘ্যে পরিচালিত হইয়। র্যাহারা সৰ্ব্ব প্রথম স্বদেশের উদ্ধারকার্য্যে ব্ৰতী হইলেন, তাহাদিগকে বছ ৰাধাবিঘ্ন ক্ষতিক্রম করিতে হয় । স্বদেশে যে সকল মরাঠা মুসলমান সুলতানগণের অধীন থাকিয় সর্দার সুবেদার প্রভৃতি পদের সন্মান ও জাইগীর ভোগ করিয়া জুখে কালযাপন করিতেছিলেন, তাeাদিগের মধ্যে অনেকে শিবাজী প্রমুখ স্বদেশোদ্ধারকামী মরাঠাগণের বিরোধী হইলেন । কারণ অভু্যদয়াড়িলাধীদিগের চেষ্টা কতদূর সফল হইবে, সে বিষয়ে তাহাদিগের ঘোর সন্দেহ ছিল । কাজেই তাহার। নিশ্চিত সুখসম্মান পরিত্যাগ করিয়া অনিশ্চিত স্বাধীনতার জন্য বিদ্রোহে যোগদান করা সঙ্গত বলিয়া মনে করিলেন না। এই • সকল আত্মপ্রাধান্তাভিলাষী সর্দারদিগের মধ্যে মোরে, মরবে, দলবী, সাবস্ত, শিরকে প্রভৃতিকে বাহুবলে ও মোহিতে, মানে, গুজর প্রভৃতি অপর কএক জনকে কৌশলে স্বপক্ষে আনয়ন করিতে হয়। বৈদেশিক শত্রুর মধ্যে বিজাপুরের পাঠানবংশীয় সুলতান ও উত্তর-ভারতের মোগলের এই স্বাধীনভালোলুপ মহারাষ্ট্রীয়দিগের প্রধান বিরোধী ছিলেন। উভয় শক্তির সহিত এককালে যুদ্ধ করা অসঙ্গত বিবেচনায় শিবাজী প্রমুখ মরাঠাগণ প্রথমে বিজাপুরপতির বিরুদ্ধাচরণ ও মোগলদিগের আমুগত্য স্বীকারে প্রবৃত্ত হইলেন। ১৬১২ খৃষ্টাক্স পৰ্য্যস্ত বিজাপুরের মুলতানের সেনাদলকে কয়েক স্থানে পরাজিত করিয়া আত্মশক্তি প্রতিষ্ঠিত করিতে সমর্থ হওয়াম শিবাজীর দল মোগলদিগকে ও অল্পে অল্পে দক্ষিণাপথ হইতে অপসারিত করিতে যত্নবান হহলেন। কিন্তু সে চেষ্টা সহজে ফলবর্তী হইল না। শায়েস্ত থ মহারাষ্ট্রীয়দিগের হস্তে পরাজিত হইলেও মোগলপক্ষীয় সেনানী জয়সিংহের হস্তে তাহাদিগকে পরাজয় স্বীকার করিতে হইল। ফলে দলপতি শিবাজী দিল্লীগমনে বাধ্য হইলেন । সেখানে গিল্প। তিনি ধেরূপ বিপদে পড়িলেন, তাছাতে নবপ্রতিষ্ঠিত মহারাষ্ট্ররাজ্যের অঙ্কুরেই বিলোপ ঘটিত । কিন্তু কৰ্ম্মচারীদিগের বিশ্বস্ততা ও দেশীয় জনসাধারণের সহানুভূতি গুণে সেই ঘোর বিপদকালেও স্বাধীন মহারাষ্ট্রে কোনও গোলযোগ ঘটিল না। কিছু দিন পরে শিবাজী ও অসাধারণ চতুর্ধ্যবলে দিল্লী হইতে প্রত্যাৰণ্ডন করিলেন। জাৰায় মোগলদিগের সহিত যুদ্ধ আরম্ভ
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৪৩৫
অবয়ব