মাহ্মদ খাঁ তোগলক [ . - আলিয়া রাণাকুম্ভের আশ্রয় গ্রহণ করিলে, রাণা তাহার দুঃখে কাতর হইয়া নাগোরস্থ মুসলমানদিগকে বিপৰ্য্যন্ত এবং তন্নগর লুণ্ঠন করেন। মুসলমানের নির্য্যাতনে ক্রুদ্ধ হইয়া, সুলতান কুতবউদ্দীন ৪৬০ হিঃ রাণার রাজধানী কমলমীর আক্রমণ করেন। এই যুদ্ধে রাণী পরাজিত হইয়া প্রাণভিক্ষা করিয়াছিলেন। পর বৎসর ৮৬১ হিঃ (১৪৫৭ খৃঃঅঃ) কুতবউদ্দীন ও মাঙ্গুদ থিলিজি একযোগে চিতোর আক্রমণ করেন। অবশেষে সন্ধি স্থাপিত হইলে যুদ্ধ নিবৃত্তি হয় ও মাহ্মদ মন্মশোর প্রদেশ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। -- অতঃপর ৮৬৬হিঃ ( ૨૭૭ খৃঃ অঃ ) নিজাম উলমূলকের প্ররোচনার উত্তেজিত হইয়৷ মাদ খিলিঙ্গি দাক্ষিণাত্যবিজয়ে অগ্রসর হন। তিনি হুমায়ুন শাহের পুত্র নিজাম শাহকে বিদরযুদ্ধে পরাজিত করিয়া দুর্গ অবরোধ করিলেন। এই সময়ে নিজামের প্রার্থনায়ুসারে গুর্জরপতি মাস্ক, ৰিগাড়া মালবরাজের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। মাদ খিলিজি এই সংবাদে গোণ্ডবানার পথে স্বরাজ্যে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন। কিন্তু পথিমধ্যে গোড়জাতি র্তাহাকে আক্রমণ করায় তিনি ক্রোধপরবশ হুইয়া গোও বানাপতিকে নিহত করিয়াছিলেন। ১৪৬৩ খৃষ্টাব্দে মা, খিলিজি পুনরায় দক্ষিণাত্য আক্রমণ করেন। এবারের আক্রমণে তিনি বিশেষরূপ লাভবান্ হন নাই । কিছুকাল নিরুদ্দেশ থাকিয়া তিনি পুনরায় ৮৭০ হিঃ ইলিচপুর আক্রমণ ও লুণ্ঠন করেন। এই যুদ্ধের পর শাস্তি । স্থাপিত হইলে, নিজামশাহ তাহাকে কেরলা প্রদেশ मान করিয়া অব্যাহতি পান। যাহা হউক, গুর্জরপতি মাহ্মদের মধ্যস্থতায় এবং তাহার শাসনভয়ে মালবপতি দাক্ষিণাত্য আক্রমণে বিরত হইলেন । ১৪৬৯ খৃষ্টাব্দে (৮৭৩ ছি: ) মাঙ্ক, ৰিলিজি লোকান্তর গমন করেন। তৎপুত্র মুলতান গিয়াসউদ্দীন মালবসিংহাসনে বসিলেন। গিয়াসের পুত্র মুলতান ২য় মাহ্মদের রাজ্যকালে ১৫৩১ খৃষ্টাব্দে গুর্জরাধিপতি বাহাদুরশাহ মালব জয় করিয়া স্বরাজ্যভুক্ত করেন। মাহ্মদ খ তোগলক, দিল্লীর তোগলক-(পাঠান ) বংশীয় শেষ সম্রাট। ফিরোজ শাহ তোগলকের পৌত্র এবং মহম্মদ শাহের পুত্র। মহম্মদ বিন ফিরোজ শাহের মৃত্যুর পর, তৎপুত্র হুমায়ুন শাহ ১মাস ১৬দিন মাত্র রাজত্ব করিয়া গতাস্ব হইলে, তীয় কনিষ্ঠ ভ্রাত মাক্ষ,দখ ১৩৯৪ খৃঃাদের এপ্রিল মাসে দশম ৰূর্বে নাশির উদ্-দুনিয়ার উদ্দীন মাক্ষ দশাহ নাম গ্রহণপুৰ্ব্বক দিল্লীসিংহাসনে আরোহণ করেন । 釁 ৭১৯ ] মাঙ্কদ খ! তোগলক - বালকরাজার রাজত্বকালে শাসনবিশৃঙ্খলতা এবং ওমরাহগণের অন্তবিপ্লবহেতু রাজ্য মধ্যে সামন্ত-রাজগণের একটা বিদ্রোহ উপস্থিত হয় । এই স্বত্রে অনেক সামন্তরাজ দিল্লীর অধীনতাপাশ উন্মোচন করিতে সমর্থ হইয়াছিল। সুযোগ বুঝিয়। এই সময়ে মোগলপতি আমীর তৈমুর ভারত আক্রমণ করেন। মোগল-সৈন্তের সহিত যুদ্ধে পরাজিত হইয়া মাঙ্গ দশাহ গুজরাতের পত্তনাভিমুখে পলায়ন করেন। ঐতিহাসিক ফিরিস্তার মতে ১৩৯৯ খৃষ্টাব্দের ১৫ই জানুয়ারী এবং সরফউদ্দীন বেজ দ্বীরের মতে ১৩৯৮ খৃষ্টাব্দের ১৭ই ডিসেম্বর এই যুদ্ধ ঘটে। মাস্থ্যকে পলায়নপর দেখিয়া তৈমুর শাহ যুদ্ধজয়ের অব্যবহিত পর দিবসেই দিল্লীসিংহাসন অধিকার করিয়া লইলেন । তিনি জয়লব্ধ প্রভূত ধনরত্ন লইয়। অচিরেই পারস্তাভিমুখে প্রস্থান করিলেন । * এদিকে স্বলতান মাদশাহ গুজরাতে জাফরধার এবং পরে মালবে জালপ, খণর সাহায্যলাভে ব্যর্থমনোরথ হইয়। কনোজ-রাজধানীতে আগমনপুৰ্ব্বক অবস্থান করিতে লাগিলেন। তৈমুরের প্রস্থানের পর, ফিরোজশাহের পৌত্র এৰং ফতেখার পুত্র নসরৎখ নসরৎ শাহ নামধারণপূর্বক দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। এই সময় হইতে দিল্লী-দরবারে একবাল খার প্রভুত্ব বাড়িয়া উঠে। ১৪• • খৃষ্টাৰে দিল্লীসিংহাসন একবাল থার হস্তগত হয়। ১৪৯৫ খৃষ্টাকে আমার তৈমুরের মৃত্যুর পর একবাল ধ। স্বলতান মাহ্মদকে পরায়মানসে কনোজ আক্রমণ করেন। কনৌজদুর্গ অবরোধ ও মুলতানকে পরাজিত করিতে পারিলেন না দেখিয়া, তিনি পুনরায় দিল্লীতে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন । পর বংসর ১৪০৫ খৃষ্টাব্দে জাফর ধ। মুলতানের শগযার্থ সদলে দিল্লী-মভিমুখে অগ্রসর হন । হত্যবসরে তিনি শুনিলেন যে, খিfঞ্জর খণর সহিত ভীষণ যুদ্ধে একবাল থ’। নিহত হইয়াছেন। কাজেই তাহাকে আর কিছুই করেছে श्ञ नाझे । একবাল খণর মৃত্যুসংবাদে, অশান্বিত হইয়। সুলতান মাঙ্গদ শাহ দিল্লী-অভিমুখে অগ্রসর হইলেন এবং もエ বর্ষের ডিসেম্বর মাসে তিনি দ্বিতীয়বার দিল্লী-সিংহাসনে অরেহণ করেন। কিন্তু প্রাদেশিক শাসনকৰ্তৃগণ আর তাহার অধীনতা স্বীকার করেন নাই । তাহার। রাষ্ট্রবিপ্লবে যোগদান করিয়া পরস্পরে স্বাধীনতা অবলম্বন করিয়াছিলেন । ১৪১৩ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে সুলতান মাঙ্গদের মৃত্যু হয়। র্তাহ। श्हेप्ङहे झिँगाझाजा क्लर्क झाङिद्र श्ख्राकृझ ह३ग्राहिण पदः দোলস্তখণ লোদী সিংহাসন অধিকার করেন ।
পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৭১৯
অবয়ব