পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कब [ ২০৩ ] কর্ণ মৃত্যু হইবে।” কর্ণ ক্ষুণ্ণ মনে আশ্রমে ফিরিয়া আসিলেন । কিছুদিন থাকিতে থাকিতে তিনি পরশুরামের নিকট হইতে । ব্ৰহ্মাঙ্ক লাভ করিলেন । 輸 একদিম পরশুরাম উtহার উরুর উপর মাথ রাখিয়া মিত্র যাম। সেই সময়ে অলৰ্কজাতীয় অষ্টপাদ কীট আসিয়া কর্ণের উরুদেশের একদিক্‌ ভেদ করিয়া অপরপারে বাহির ছয় । কর্ণ গুরুর নিদ্রাভঙ্গ হইবে তাবিয়া সেই অসহ্য যন্ত্রণ সছ করির রছিলেন। কিন্তু সেই দারুণ দংশনে উরু বিদীর্ণ হইয়া রুধিরস্রোত প্রবাহিত হইতে লাগিল। গাত্রে রক্ত লাগিবামাত্র পরশুরাম জাগরিত হইলেন, তিনি চক্ষু উম্মীলন করিবামাত্র কীট মরির গেল । তখন তিনি কর্ণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘বৎস! তুমি এ অসহ কীট দংশন কিরূপে সহ করিলে ? ব্রাহ্মণশরীরে কখনই এরূপ সহ হর না । অতএব শীঘ্র সত্য করিয়া বল, তুমি কে ।” কৰ্ণ অবনত হইয়া বিনীতভাবে উত্তর করিলেন “গুরো ! অামাকে ক্ষমা করুন, আমি মিথ্যাবাদী হইরা আপনার নিকট বড়ই অপরাধ করিরছি । আমি ব্রাহ্মণ নই, সামান্ত স্তুতপুত্র । সুতকস্তা রাধ। আমার মা, আমার নাম কর্ণ।” তখন পরশুরাম ক্রুদ্ধ হইয়। বলিলেন, “দেখ কৰ্ণ । তুমি ব্ৰহ্মাস্ত্র পাইবার জন্ত আমার সঙ্গে প্রতারণা করিরtছ, এই জন্ত যুদ্ধকালে ঐ অস্ত্র তোমায় মনে পড়িবে না। এথন শীঘ্র আমার সম্মুখ হইতে দূর হও ।” কর্ণ হস্তিনীয় ফিরিয়া আসিলেন । কিছুদিন পরে দুৰ্য্যোধনের সহিত কলিঙ্গ-রাজ্যে গমন করেন। এখানে কলিঙ্গরাজ চিত্রাঙ্গদকস্তার স্বয়ম্বর । স্বয়স্বরসভায় ছুৰ্য্যোধন কুর বীরগণের সাহায্যে রাজকন্যাকে হরণ করিলেন । তৎকালে কর্ণের সহিত জরাসন্ধের ঘোরতর যুদ্ধ হয় । সেই যুদ্ধে জরাসন্ধ তাহার বীরত্ব দর্শনে সন্তুষ্ট হইয় তাহাকে মালিনী-নগরী প্রদান করেন । এইবার কর্ণের বিবাহ হইল, তাহার পত্নীর নাম পদ্মাবতী । তিনি পাওবগণকে মারিবার জন্ত সৰ্ব্বদাই দুর্য্যোধনকে কু-পরামর্শ দিতেন, কিন্তু কৃতকার্য হইতে পারেন নাই । ভীষ্ম কর্ণের আচরণে অসন্তুষ্ট হইয়া যখম তথন তাহার নিমা করিতেন। তাহ কর্ণের পক্ষে অসহ বোধ হইত। তিনি ঘোষযাত্রার দুর্ঘটনার পর একদিন তুৰ্য্যোধনকে বলেন, “মিত্র । অামার একটা কথা তোমাকে শুনিতে হইবে । ভীষ্ম সৰ্ব্বদাই আমাদের নিন্দ এবং পাওবগণের সুখ্যাতি করেন । বিশেষতঃ তোমার जभtत्र जर्सीलाई श्रांभांग्न अदछ। क८ब्रन ।। ५६भन श्रांभांग्न অমুমতি কর, আমি একাই সমস্ত পৃথিবী জয় কfয়।” দুৰ্য্যোধনের অনুমতি লইয়া কৰ্ণ দিগ্বিজয়ে বহির্গত হইলেন। তিমি ক্রপদ, ভগদত্ত, এবং বঙ্গ, কলিঙ্গ, মণ্ডিক, মিথিলা, মগধ, ককৰ্থও, অবনীপুর, অহিচ্ছত্র, বৎস, কেরলী, মৃত্তিকবতী, মোহন, ত্রিপুর, কোশল, রুক্মী, চেদি, অবস্তি, ম্লেচ্ছ, ভদ্রক, রোহিতক, আগ্নেয়, মালব, শশক ও আটবিক প্রভৃতি নীনাদেশীর রাজগণ এবং অপরাপর সভ্য ও অসভ্য জাতিকে জয় করিয়া অভি অল্পকাল মধ্যেই হস্তিনার ফিরিয়া আসিলেন । ছুৰ্য্যোধনের সপক্ষীয়ের কর্ণকে শত শত ধন্যবাদ প্রদান করিলেন । তৎপরে দুৰ্য্যোধন বৈষ্ণষযজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন, এই সময়ে কর্ণ র্তাহাকে বলেন, “অদ্য হইতে ষে যাহা চাহিবে, আমি তাহীকে তাহাই প্রদান করিব । এই আমার প্রতিজ্ঞ। যতদিন না আমি অর্জুনের প্রাণবধ করিতে পারিব, ততদিন এই ব্রত পালন করিব।” ইতিপূৰ্ব্বে বৃষকেতু নামে তাহার এক পুত্র জন্মে। একদিন ঐকৃষ্ণ কর্ণ কেমন দাতা পরীক্ষা করিবার জন্ত বুদ্ধ ব্রাহ্মণবেশে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন এবং কছিলেন, তোমার পুত্র বৃষকেতুর মাংস খাইতে ইচ্ছা করি । কর্ণ তাহাই করিলেন। তাহার স্ত্রী বৃষকেতুর মাংস রন্ধন করিয়া কৃষ্ণকে থাইতে দিলেন । কৃষ্ণ কর্ণের আচরণে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন এবং মৃতসঞ্জীবনীবিদ্যাপ্রভাবে বৃষকেতুর পুনরায় প্রাণদান করিলেন । এই অলৌকিক দানের জন্ত কর্ণ ‘দাতা কর্ণ’ নামে বিথ্যfত হন । একদিন তিনি নিদ্রিতাবস্থার স্বপ্ন দেখিলেন, ষেন সুর্য্য আসিয়া তাহাকে বলিলেন, "কর্ণ ! ইন্দ্র পাওবগণের হিতসাধনে ব্রাহ্মণবেশে তোমার নিকট কবচ ও কুণ্ডল চাহিতে যাইবেন, অতএব সাবধান ! তাহtকে উহ। দিও না ।” কিন্তু কৰ্ণ উত্তর করেন যে, প্রাণ গেলেও তিনি আপন প্রতিজ্ঞ লঙ্ঘন করিতে পারিযেন না । তখন সুর্য্য র্তাহীকে কুওলক বচের পরিবর্তে ইন্দ্রের শক্তিমন্ত্র গ্রহণ করিতে অনুরোধ করিলেন । প্রভাত হইল। ইন্দ্র ব্রাহ্মণবেশে আসিয়া কর্ণের নিকট কুগুলদ্বর প্রার্থনা করিলেন। কর্ণ বলিলেন, “দেষরাজ ! আপনাকে আমি চিনিয়াছি, আমি কবচ ও কুগুল দিতে প্রস্তুত আছি, কিন্তু আমিও আপনার श्रृंझमनौि श्रृंक्ति (7ोर्शन क ि।” हेलङ्ग ठोहोर७हे जब्रज्र হইলেন । শেষে যাইবার সময়ে বলিলেন, ‘কৰ্ণ ! এই শক্তি দ্বারা আমি শত শত শত্রু বিনাশ করিতাম, কিন্তু তোমার হস্তনিক্ষিপ্ত হইলে একটি শত্রু বিনাশ করিয়া অামার নিকট গমন করিৰে ।” এ দিকে পাওবগণের অজ্ঞাতবাস ফুরাইয়। আসিল ।