পাতা:বিশ্বকোষ তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামরূপ নারন্থাগার মধ্যে চওঁীবর শিরোমণির বংশে | কুমুম্বর শিরোমণি ভূরার এক পুত্র জন্মে। ইহার নাম শঙ্কর ভুয়াশিরোমণি র৷ শ্ৰীশঙ্করদেব। ইনি বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া নানা তীর্থাদি দর্শন করিয়া কদলী নামক এক ব্যক্তির নিকট সংস্কৃত শিক্ষা” করেন। সংস্কৃত শিখিয়া ভাগবত হইতে “কীৰ্ত্তন দশম” নামক পুস্তক অনুবাদ ও সঙ্কলন করেন। (কাহারও মতে ইনি মহাপ্রভু চৈতন্তের শিষ্যত্ব স্বীকার করেন।) শঙ্কর বৈষ্ণব হইয়া:স্বদেশে বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রচার করিতে আরম্ভ করেন। ইনি দেশীয় ভাষায় বৈষ্ণবধর্মের নানাবিধ গ্রন্থ ও সঙ্গীত রচনা করিয়া ধৰ্ম্মপ্রচারের সুবিধা ও ভাষার শ্ৰীবৃদ্ধি করেন। ইহা হইতেই কামরূপে পৌরাণিক ইতিবৃত্তের অভিনয়াদি (যাত্রাদি ) প্রচলিত হয়। বাঙুক নামক স্থানের দীর্ঘলগিরির পুত্র মাধব শঙ্করের শিষ্য হইয়া গুরুকে বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রচারে যথেষ্ট সাহায্য করেন। আহমেরা ইহারই উপদেশে বৈষ্ণব হয় ; কিন্তু তৎপূৰ্ব্বে তাহারা বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্রচারে বিরক্ত হইয়া শঙ্করদেবের জামাতা হরিকে অতি সামান্ত অপরাধে বধ করে এবং মাধবদেবকে বন্দী করে। শঙ্কর এই সূত্রে আহম অধিকার পরিত্যাগ করিয়া পাটবাউসী নামক স্থানে বাস করেন ও মাধব কোন উপায়ে মুক্ত হইয়া তাহার সহিত মিলিত হন। শাক্ত ও অনাচারী ব্রাহ্মণের কয়েকবার রাজা নরনারায়ণের কাছে ইহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, কিন্তু কোন ফল হয় নাই। দিন দিন দলে দলে লোক বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করিল। তৎপরে রাজার আস্থা হওয়ায় কুচবিহারেও এই ধৰ্ম্ম প্রচারিত হয়। ১৪৯০ শকে শঙ্করদেব স্বৰ্গলাভ করেন। ইনি কামরূপ অঞ্চলে আজিও চৈতন্যদেবের দ্যায় অবতার বলিয়া কীৰ্ত্তিত হন । শঙ্করের পর মাধবদেব তাহার ধৰ্ম্মকে জাগাইয়া রাখেন। মাধবদেব “মহাপুরুষ গুরু” নামে বিখ্যাত। ইহার মতে পুজাদির আবগুক নাই, একমাত্র হরিনামকীৰ্ত্তনেই সকল কামনা সিদ্ধ হইতে পারে। এই জন্য সৰ্ব্বত্র সঙ্কীর্তন করিবার জন্ত সত্র বা ধৰ্ম্মালয় আছে। এই সকল সত্রে অধিকারী ও মহস্তের বাস করেন। এই সকল সত্রের মধ্যে মাধবদেব প্রতিষ্ঠিত বড়পেটার সত্ৰই প্রধান। মহন্তের বাঙ্গালার গুরুব্যবসায়ী গোস্বামীগণের স্তায় শিষ্যগণের প্রদত্ত অর্থে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করেন। শিষ্যেরা এইরূপে অর্থ না দিলে সমাজচ্যুত হয়। মাধবের পর কয়েক জন ব্রাহ্মণ বৈষ্ণব হইয়া ধৰ্ম্মপ্রচার করেন। তাহারা মাধবের ধৰ্ম্ম হইতে কিছু ভিন্নভাবে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম প্রচুর করেন বলিয়া তাহদের মতকে “বায়ুনীয়া" [ : &a૭ ] 徽 * ও মাধবের মস্তক্ষে “মহাপুৰুষীয়া” মর্শ বলে। মহাপুকীয়ার भश७ “#ांकूर्द्रौब्रा” नांरभ uरुभाष जांदइ। मांशदांकि श्रहब्र শিষ্যগণ অনেকানেক গ্রন্থ ও সঙ্গীতাদি রচনা কয়েন। বৈষ্ণবের পৌরাণিক ক্রিয়াকলাপের প্রতি ততটা জাস্থাবান নয়। বৈষ্ণব ব্যতীত এখানে তান্ত্রিকমতও প্রচলিত আছে। অরীতিয়া বা পূর্ণসেবা নামে আজকাল একটি মত গোপনে এদেশে চলিতেছে। এই সম্প্রদায়ীরা জাতিভেদ মানে না। ইহারা সকল জাতীয় লোক একত্র মদ্যমাংসাদি পানাহার করে। এই সম্প্রদায়ের উপাসনায় ভক্তিমাতা নামে একটা স্ত্রীর প্রয়োজন হয়। এই স্ত্রীই সকলের পূজ্য। পূর্ণসেবাচারীরা বলে, তাহাদের এই ধৰ্ম্ম শঙ্করদেবের প্রচারিত ধৰ্ম্মের পূর্ণমত। ইহা তান্ত্রিক বামাচারী ও বৈষ্ণব মণ্ঠের মিশ্রণে উৎপন্ন। - এখানকার মুসলমানের সুন্নি মতাবলম্বী। গ্রাম্য মুসলমানের বিষহরি প্রভৃতি হিন্দুদেবতার পূজা করে। হাজে নামক স্থানে "পোয় মক্কা" নামে একটি মুসলমানদিগের তীর্থস্থান আছে। বৌদ্ধাচারী লোক আর এখন নাই। আজকাল নানাধৰ্ম্মের লোকই আসামে আছে। সামাজিক প্রথা —ব্রাহ্মণাদিবর্ণের মধ্যে কস্তার কুমারীকালে বরকে আহবান করিয়া বিবাহ দিবার নিয়ম অাছে। অন্ত জাতির মধ্যে নাই। শুদ্রাদি জাতিতে রজঃস্বল হইবার পর কন্যার বিবাহ হয়। ব্রাহ্মণাদির মধ্যে বিধবাবিবাহ প্রচলিত নাই, অন্ত জাতিতে আছে। গন্ধৰ্ব্ববিবাহের স্থায় একপ্রকার বিবাহ এখানে শূদ্রাদির মধ্যে প্রচলিত আছে। কোন প্রাপ্তবয়স্ক বিধবা তাহার পিতামাতার বা অভিভাবকের সন্মতি লইয়া স্বীয় সমাজের কোন লোকের সহিত আহারাদি ও সহবাস করিতে পারে। এই গর্ডের সস্তানাদি বিবাহিতার গর্ভজাত সস্তানের স্থায় পিতামাতার ধনাধিকারী ও সমাজে গণ্য হয়। কোন কোন স্থলে এরূপ দম্পতীকে সধবার ধান্তদুৰ্ব্ব দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করে—ইহাকে “অগ চাউল দিয়া” বলে। এক প্রকার স্বয়ম্বর প্রথাও এইদেশে প্রচলিত আছে। কোন পুরুষ বা স্ত্রী ইচ্ছানুসারে কোন স্ত্রী বা পুরুষের গৃহে স্বামীীরূপে বাস করে। এই সকল ব্যবহারে ইহাদের সমাজে কোন দোষ হয় না। হিন্দুধৰ্ম্ম মতে যাহাদের বিবাহ হয়, তাহাদের মধ্যে স্বামীত্যাগ করিয়া পত্যজ্ঞরগ্রহণ করিবার প্রথা নাই ; কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত অন্ত সকল প্রথানুসারে তাছা আছে। ইহাদের মতে শরীরগুদ্ধি করিবার জন্যই বিবাহ আবশ্যক, এজন্য বিবাহসম্বন্ধে ইহাদের তাদৃশ দৃঢ় নিয়ম নাই। কোন