পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিৰ্ব্বাণ পরমার্থজ্ঞানের অনুশীলনে সংসারাভিমান ও আত্মাভিমানরূপ বিপৰ্য্যাসের ধ্বংস ও নিৰ্ব্বাণ লাভ হয় ।

  • ৯। শতকগ্রন্থে লিখিত আছে,“ধৰ্ম্ম সমাসতোংহিংসাং বর্ণয়স্তি তথাগতাঃ । শৃষ্ঠঠামেব নিৰ্ব্বাণং কেবলং তদিহোভয়ম্।।” (শতক )

বৌদ্ধগণ অহিংসাকেই সংক্ষেপতঃ ধৰ্ম্ম বলিয়। বর্ণনা করিয়াছেন এবং শুষ্ঠতাকেই নিৰ্ব্বাণ বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন। যে অবস্থায় সংসারের ধ্বংস হইয়াছে, আমার নিজের অস্তিত্বও বিলুপ্ত হইয়াছে, সেই অবস্থায় থাকে কি ? যদি লৌকিক ভাষায় বলিতে হয়, তাছা হইলে অবগুই স্বীকার করিতে হইবে, তখন শুন্যতামাত্র অবশিষ্ট থাকে, এই শূন্যতাই নিৰ্মাণ । ১• । মাধ্যমিকস্তৃত্তিকার চন্দ্র কীৰ্ত্তি লিথিয়াছেন,--- “তদশেষপ্রপঞ্চোপশমশিবলক্ষণং শুষ্ঠতামাগম্য যম্মাদশেষকল্পনালতাপ্রপঞ্চবিগমো ভবতি । প্রপঞ্চবিগমাচ্চ বিকল্পনিবৃত্তিঃ । বিকল্পনিকৃত্তা চ অশেষকৰ্ম্মক্লেশনিবৃত্তিঃ । কৰ্ম্মক্লেশনিবৃত্তা চ জন্মনিবৃত্তিঃ । তস্মাৎ শূন্ততৈব সৰ্ব্বপ্রপঞ্চনিবৃত্তিলক্ষণত্বাং নির্বাণমিত্যুচ্যতে।” (মাধ্যমিক বৃত্তি) শূন্যতার জ্ঞানদ্বারা অশেষপ্রপঞ্চের উপশমরূপ শ্রেয়োলাভ হয়। প্রপঞ্চের বিগমে বিকল্পের নিবৃত্তি, কৰ্ম্মক্লেশের ক্ষয় ও জন্মের উচ্ছেদ হয়, অতএব সৰ্ব্বপ্রপঞ্চের নিবৰ্ত্তক শৃষ্ঠতাই নিলাণ নামে অভিহিত হইয়া থাকে। উপরি উক্ত মতসমূহের পর্যালোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, নিৰ্মাণকালে আমিত্ব ও সংসারের লোপ হয় । সংস্কারসমূহের ক্ষয় হইলেই আমিত্বের লোপ হয়, এবং এই সংস্কারের ক্ষয়েই, আমার সহিত সংসারের যে সম্বন্ধ ছিল, তাহারও বিচ্ছেদ হইয়া যায় । তখন আমার পক্ষে সংসারের অস্তিত্ব ও অভাব উভয়ই সমান । নিৰ্ব্বাণকালে সংসারও থাকিল না, আমিও থাকিলাম না। আমার অস্তিত্ব অার কখনও হইবে না, সংসারের সহ আমার পুনঃ সম্বন্ধ ঘটবে না এবং আমার পুনর্জন্মের নিবৃত্তি হইল। আমার ও সংসারের চরমধ্বংস ছইল। আমি ও সংসার উভয়েই শূন্ততায় নিমগ্ন হইলাম। এই শূন্ততাই নির্বাণ । এখন দেখা যাউক, এই শূন্তত কি পদার্থ। মাধ্যমিকসূত্রে নাগাৰ্জ্জুন এইরূপ বুদ্ধবাক উদ্ভূত করিয়াছেন— "মনক্ষরস্ত ধৰ্ম্মস্ত শ্রীতিঃ কী দেশন চ কা । শ্রীয়তে যন্ত তচ্চাপি সমারোপাদনক্ষর ॥" যে পদার্থ, কোন অক্ষর দ্বার প্রকাশ করা যায় না, সেই হজ্ঞেয় পদার্থের সম্বন্ধে কি বিবরণ দেওয়া যাইতে পারে ? [ ১৯e J নিৰ্ব্বাণ अनक्रग्न अर्थt९ रु, ५, १, हेडाॉनि अक्रद्र दांब्रl cधका* कद्रां যায় না, এই মাত্র বিবরণ যাহা দেওয়া হইল, তাহাও পারমার্থিক পদার্থে মিথ্যা অক্ষরের আরোপ দ্বারা দেওয়া হইল । এই শুষ্ঠতাপদার্থ অতি দুৰ্ব্বোধ। ইহা ভাব-পদার্থও নহে, অভাব-পদার্থও নহে। শূন্ততা নামক এমন কোন দ্রব্য নাই, যাহা আমরা নিৰ্ব্বাণকালে লাভ করিয়া থাকি এবং এই সংসার ও আমিত্বের ধ্বংস বা অভাবও শূন্তত নহে। যদি শূন্তত নামক কোন দ্রব্য বা ভাব-পদাৰ্থ থাকিত, তাহা হইলে, তাহ অবগুই ধ্বংসশীল হুইত, সুতরাং সেই শূন্ততার অধিগমে নিত্যনিৰ্ব্বাণ লাভ হইত না। সংসার ও আমিত্বের অভাবকেই বা কিরূপে শূন্তত বলা যায় ? সংসার ও আমি উভয়েই মিথ্যা পদার্থ। যেহেতু ইহাদের পারমার্থিক অস্তিত্ব কখনও ছিলনা, স্বতরাং শিরঃশূন্ত পদার্থের শিরঃপীড়ার দ্যায় ইহাদের অভাব কিরূপে হইবে ? রত্নাবর্তীগ্রন্থে লিখিত আছে,— “ন চাভাবোহপি নির্বাণং কুত এবাস্ত ভাবত । ভাবাভাবপরামর্শক্ষয়ে নির্বাণমুচ্যতে ॥" ( রত্নাবর্তী ) নিৰ্ব্বাণ(শূন্ততা)কে অভাব-পদাৰ্থ বলা যায় না । ইহাকে কিরূপে ভাবপদার্থ বলিতে পারা যায় ? ভাব ও অভাব জ্ঞানের ক্ষয়ই নিৰ্ব্বাণ নামে অভিহিত হয়। ভাব ও অভাব পদার্থ পরস্পর সাপেক্ষ । কিন্তু যে পদার্থের (শূন্যতার ) অধিগমে নিৰ্ব্বাণ লাভ হয়, তাহা কাহারও সাপেক্ষ নহে, সুতরাং নিৰ্ব্বাণ বা শূন্যত ভাব-পদার্থও নহে, অভাব-পদার্থও নহে। এই নিৰ্ব্বাণ বা শূন্যতা অনিৰ্ব্বচনীয় পদার্থ। যাহার নিৰ্ব্বাণ লাভ করিয়াছেন, তাহারা ভাব ও অভাব পদার্থের অস্তিত্ব ও নাস্তিত্বের অতীত হইয়াছেন। তাহদের অবস্থা কোনক্রমেই বর্ণন করিতে পারা যায় না । এই শুষ্ঠতা বা নির্বাণসম্বন্ধে নিয়ে কএকটা মত উদ্ধত হইল। ১ । হিন্দু-দার্শনিক মাধবাচার্য বৌদ্ধদৰ্শনের মত সমালোচনা করিতে যাইয়া বলিয়াছেন,--- "অস্তি নাস্তি উভয় অযুভয় ইতি চতুষ্কোটিবিনিমুক্তং শূন্যতম্।" ( সৰ্ব্বদর্শনসংগ্রহ ) অস্তি, নাস্তি, উভয় এবং অনুভং, এই চতুষ্কোটি বিনিমুক্ত পদার্থই শূন্ততা । ২ । সমাধিরাজসুত্রে লিখিত আছে— "অস্ট্রীতি নান্তীতি উভেইপি মিথ্যা শুম্ভীতি অশুন্ধীতি ইমেইপি অস্কাঃ । তস্মাগ্লুভেইস্তবিবর্জয়িত্ব। মধ্যে২পি স্থানরকরোতি পণ্ডিতঃ ” ( সমাধিরাজস্বত্র )