পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূতিকারোগ [ করাইলে স্থতিকারোগ আগু বিনষ্ট হয়। ইহা ভিন্ন জর, গ্ৰহণী, ও অতীসার রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাইলে তাহার মধ্যে জর প্রধান কি অতীসার প্রধান, তাহ নিরূপণ করিয়া সেই সেই অধিকারে যে সকল ঔষধ লিখিত হইয়াছে,তাহা প্রয়োগ করিবে । প্রস্থত নারী দুষ্ট রক্তপ্ৰাৰ দ্বারা শুদ্ধ হইলে একুশ মাস পর্য্যস্ত আহাল্পবিহাল্লাদিতে সাবধান হইবে এবং স্নিগ্ধ অথচ অল্প পরিমাণে ভোজন ও স্নেহু-অভ্যঙ্গ প্রত্যহু আচরণ করিষে। ভগবান ধন্থগুরি বলেন যে, প্রস্থত। নারী ১৫ দিম অস্তে বা পুনরায় রজোদর্শন হইলেই স্থতিক হইতে মুক্ত হয় । স্থতিকারোগিণার সমস্ত উপদ্রব বিনষ্ট এবং বর্ণ প্রসন্ন ও বলাধান হইলে ও তাহার চাঙ্গিমাল পরে পথ্যাদির কঠোর নিয়ম পরিত্যাগ করিতে হয়। ( ভাবপ্র” স্বতিকারোগাধি” ) স্থশতে লিখিত আছে যে, প্রস্থত স্ত্রীর অঙ্কুচিত আহার বিছারাদিজন্ত অর্থাৎ শরীরে অধিক বাতাস ও হিম লাগাম, অপরিস্কার দ্রব্য ভোজন, অজীর্ণ সত্ত্বে ভোজন ও ক্ষীণাঞ্জি অবস্থায় গুরুপাক দ্রব্য ভোজন প্রভৃতি কারণে নানা প্রকার স্থতিকারোগ জন্মিয় থাকে। কুৎসিত স্থতিকাগৃহও স্থতিকারোগের একটা প্রধান কারণ । জর, শোথ, অগ্নিমান্দ্য, অতীসার, গ্ৰহণী, শূল, আনাহ, বলক্ষয়, কাস,পিপাসা, গাত্রভার, গাত্রবেদন এবং নাক মুখ দিয়া কফম্রাব প্রভৃতি যে সকল পীড়া, প্রসবের পর উৎপন্ন হয়, তাঁহাই স্থতিকারোগ। জরাদি নিদানের লক্ষণানুসারে এই সকল রোগের মধ্যে কোন রোগ প্রধান, তাহ স্থির কপ্লিভে হইবে । স্বতিকাজরে স্থতিক-দশমুল, বা সহচরাদিপাচন, স্থতিকারিরসু, বৃহৎ স্বতিকাবিনোদ এবং জররোগোক্ত পুটপাকের বিষম জরাস্তক-লৌহ প্রভৃতি ঔষধ প্রয়োগ করিবে । গাত্ৰবেদন শাস্তির জন্ত দশমূল-পাচন এবং লক্ষ্মীবিলাসরস প্রভৃতি ঔষধ প্রয়োগ করা উচিত । কfসশাস্তির জন্ত স্থতিকান্তক রস এবং কাসরোগোক্ত শৃঙ্গারাভ্র প্রভৃতি ঔষধ, অতীসার, গ্ৰহণী প্রভৃতি • রোগে অতীসারাদি রোগোত্ত কতিপয় ঔষধ এবং জীরকাদি মোদক, জীয়কাগুব্লিষ্ট সৌভাগ্যগুষ্ঠামোদক, প্রভৃতি প্রয়োগ করিবে । স্থতিকারোগে যে যে রোগের আধিক্য দেখিতে পাওয়া যায়, সেই সেই রোগনাশক ঔষধ বিবেচনাপূৰ্ব্বক প্রয়োগ করা অৰিগুক । পথ্যাপথ্য—স্থতিকারোগে রোগবিশেষামুলারে সেই সেই রোগোক্ত পথাপথ্য প্রতিপালন করিতে হয়, অর্থাৎ স্থতিকারোগে জয় প্রবল হইলেক্সররোগে যে সকল পথ্য নিষিদ্ধ, ইহাতেও প্তাহ নিষিদ্ধ জানিক্তে হইবে । এইরূপ সকল বিষয়েই বুঝিতে হইবে। সাধারণ স্থতিকাবস্থায় পুরাতন শালি তণ্ডুলের

  • xxii

১১e ] সূতিকাষষ্ঠী অল্প মস্বরের খুষ, বেগুণ, কচিমূল, ডুমুর, পটোল, কাচকলার তরকারী, দাড়িম এবং অগ্নিদীপক ও বাতশ্লেষ্মনাশক দ্রব্য আহার করিবে । নিষিদ্ধকৰ্ম্ম— গুরুপাক, তীক্ষ্ণবীর্যা, খাদ্য ভোজন, অগ্নিসত্তাপ, পরিশ্রম, শীতলসেবা ও মৈথুন স্থতিকারোগে বিশেষ নিষিদ্ধ । প্রসবের পর ৩ বা ৪ মাস পর্যন্ত প্রস্থতার বিশেষ সাধধানে থাকা নিতান্ত অবিশুক । (স্বপ্রভ ) ভৈষজ্যরত্নাবলীতে স্থতিকারোগাধিকারে স্থতিৰা-দশমূলপাচন, সহচরীদি, অমৃতাদি, দেবদার্বাদি কাথ, বজ্রকাঞ্জিক, অত্রকটাত্মবলেহ, পঞ্চজীরকগুড়, সৌভাগ্যগুষ্ট, বৃহৎ সৌভাগ্যশুষ্ঠা, জীরকাগুমোদক, বৃহৎ স্থতিকাবিনোদ, স্থতিকারিয়স, স্বতিকামরস, স্থতিকাৰকয়ল, মাত্রবটা, রসশাৰ্দ্দল, মহারসभार्क ज्ञ, उप्झा९कप्लान्न:शुङ, थाङरूमि ८ङण ७ औब्ररूोन्नब्रिडे ७हे সকল ঔষধ কথিত হইয়াছে। রোগীর অবস্থানুসারে এই সকল ঔষধের মধ্যে যে কোন ঔষধ সেবন করিলে স্বতিকারোগ আণ্ড প্রশমিত হয় । ( ভৈষজ্যরত্না- স্থতিকারোগাধি ) [ এই সকল ঔষধের বিষয় তত্তদশব্দে দ্রষ্টব্য । ] সূতিকাবল্লভরস (পুং) স্থতিকারোগাধিকারোক্ত ঔষধবিশেষ। প্রস্তুত প্রণালী-পারদ, গন্ধক, স্বর্ণমাক্ষিক, অভ্ৰ, কপূর, স্বর্ণ, হরিতাল, রৌপ্য, অহিফেন, জয়িত্রী ও জায়ফল এষ্টসকল দ্রব্য সমভাগে গ্রহণ করিয়া মুতা, বেড়েল ও শিমুলমুলের রসে ভাবন দিবে। এই ঔষধ ২ রতি মাত্রায় বটিক প্রস্তুত করিবে । অল্পপান রোগীর বলাবল ও উপদ্রব বুঝিয় স্থির করিতে হয়। এই ঔষধ সেবন করিলে স্থতিকা, গ্ৰহণী, অতীসার প্রভৃতি রোগ আশু প্রশমিত হয় । ( ভৈষজ্যরত্ন” স্থতিকারোগাধিকা” ) এই ঔষধ বৃহৎস্থতিকাবল্লভ নামেও অভিহিত হয় । সূতিকাবাস ( পুং ) স্থতিকায় আবাসঃ । প্রসবগৃহ। “স্থতিকাবাসনিলয়া জন্মদা নাম দেবতাঃ । তাসাং যাগনিমিত্তত্ত্ব শুদ্ধিজ মুনি কীৰ্ত্তিতা ॥” (শুদ্ধিতত্ত্ব) সূতিকাষষ্ঠী ( স্ত্রী ) স্থতিকায়াঃ ষষ্ঠ বা স্থতিকাগৃহপূজা ষষ্ঠী, રજ মধ্যপদলোপিকৰ্ম্মধারয়ঃ । স্থতিকাগারে জাত বালকের ষষ্ঠ দিনে পূজনীয় দেবীবিশেষ। পুত্র বা কস্তার জন্ম হইলে ৬ দিনের দিন স্থতিকাগৃহে যে ষষ্ঠীর পুজা করা হয়, তাহাকেই স্থতিকাষষ্ঠ কহে । ৬ দিনের দিন স্থতিকাষষ্ঠীপূজার বিধান শাস্ত্রে লিখিত হইয়াছে, কিন্তু অধিকাংশ স্থলেই দেখিতে পাওয়া যায় প্রসূত।" স্ত্রীর অশৌচাপগমে এই ষষ্ঠীপূজা হইয়া থাকে। শাস্ত্রে লিখিত আছে যে, অশোঁচে কোন কার্যা করিতে নাই, কিন্তু এই যষ্ঠপুঞ্জ অশৌচমধ্যে হইলেও দোষাবহ হুইবে না, বরং অশৌচমধ্যেই করিবে, এইরূপ বিধান আছে।