হরিদ্রা ষ্ট চার ব্যবহার বক্ত হউক পা না হউক, রঙ প্রস্তুতকার্থ্যে ইহার অাদর অত্যধিক । প্রতিবৎসর বাঙ্গাল হইতে, প্রায় জুই লক্ষ মণ ইংলও,ফ্রান্স ও আমেরিকার যুক্তরাজ্যে রপ্তানী হইয়া থাকে। কাশ্মীর ও উত্তরপশ্চিম ভারতসীমাস্তপথে কত মণ হলুদ প্রেরিত হয়, তাহার তালিক সংগ্রহের উপায় নাই। ভারতের অন্যাস্ত বন্দর হইতেও প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার ছন্দর হলুদ সমুদ্রপথে বিভিন্ন দেশে প্রেরিত হইয়া থাকে । দেশীয় লোকে বিবাহাদি উৎসবে বহুকাল হইতেই হরিদ্র ব্যবহার করিয়া আসিতেছে। গাত্রহরিদ্রাপর্ক তাহfর অন্ততম ; নিদর্শন। হলুদ বাটিয়া রঙ, প্রস্তুত করিতে অনেক পরিশ্রম লাগে এবং মেজেণ্ট জলে গুলিয়া লইলে অল্প পরিশ্রমে কাজ হয় বলিয়া ! আমাদের দেশীয় লোকে আর কষ্ট স্বীকার করিতে চাছে না । সামান্ত স্বথের অাশায় একটী স্বপ্রাচীন প্রথার লোপ হইতেছে, তাহা একবার ভাবিয়া দেখা উচিত। এখনও মাঘ মাসে সরস্বতী- | পুজার সময় হরিদ্রাবণে প্রথমে বস্ত্র রঞ্জিত করিয়া তেঁতুলের জলে | উহাকে পুনৰ্ব্বার মজ্জিত করিয়া বাসস্তী বর্ণের বস্ত্ররঞ্জন-প্রথা | প্রায় ভারতেয় সৰ্ব্বত্রই প্রচলিত রহিয়াছে। অনেক স্থানে । স্ত্রীলোকের গায় হলুদ মাথে। উড়িষ্যাবাসী স্ত্রীপুরুষ উভয়েই । গায় হলুদ মাখিয়া থাকে। র্তাহীদের বিশ্বাস গায় হলুদ মাখিলে ৷ কোনরূপ সংক্রামক ব্যাধি স্পর্শ করিতে পারে না। অনেক সময়ে জরে গাত্রের তাপ বৃদ্ধি হইলে ওড়িয়ার গীর । হলুদ মাথে । : হিন্দুর নিকট হলুদ অতি পবিত্র, শাস্ত্রীয় ক্রিয়া-কৰ্ম্মে ও } আচারাদির অনেক কাধ্যেই হলুদের ব্যবহtয় দেখা যায়। অন্নপ্রাশন, বিবাহ প্রভূতি কার্য্যে “শ্ৰী” প্রস্তুতকালে বরণডালায়, পঞ্চগুড়িকীর আসনে, শ্রীদ্ধে, পুণ্যাহ কৰ্ম্ম প্রভৃতিতে হলুদের । ব্যবহার আছে। বৈষ্ণবের হলুদের সহিত লেবুর রস মিশ্রিত তিরুচুৰ্ণম্ প্রস্তুত করিয়া থাকে এবং তাছার তিলক ধারণ করে। কুদৃষ্টির কুফল হইতে মানবকে রক্ষা করিবার জন্ত আরক্তি-উৎসবে হরিদ্র ও চুণ মিশাইয়া দেওয়া হয়। হলুদের বর্ণগুণ অধিক হইলেও উহা অধিক কালস্থায়ী হয় না। রেড্রিম্পর্শে উৎ শত্র উপিয়া যায়। ক্ষারবােগে | হলুদ লালবর্ণ ধারণ করে। যেমন চুণে হলুদের রঙ, লাল হয়, । ওজাপ উছাতে ফটকিরি দিলে রঙ, পরিষ্কার হয় এবং লালের মোট দাগগুলি দূয় হইয়া যায়। হলুদের সহিত সাজিমাট (Carbonate of soda) এবং নেবু, বা লেবুর রস মিশ্ৰিত করিলে । পাক বসন্তা রঙ হয়। হলুদের সহিত হরীতকী ও নীল ৰড়ি | দিলে সবুজযর্ণ ধারণ করে, বস্ত্র প্রথমে নীল রঙে ডুবাইয়া তৎপরে | হলুদের রঙে ডুবাইতে হয়। সিংগ্রহার, আলতা, জাল, [ 8న ఆ } হরিদ্রো কুমুমফুল, ও তুন প্রভৃতির বর্ণ উজ্জ্বল করিবার জন্য অনেক সময় হলুদ মিশাইরা দেওয়া হয়। ভারতে ছাপাকল্পের নিম্নোক্ত প্রকায়ে ছিট, ছাপিবার রঙ, প্রস্তুত করিয়া থাকে । চরিদ্র ২॥• লেক, দাড়িম্বের ছাল ১ সের ও ফট কিরি ॥y ছটাক একত্র ৪ গেলন জগে একরাঞ্জ পচাইয়া উপরের কতকটা জল ছাকিয়া ফেলিয় তাহাতে ১ পোয় নীল দেয়। পরে উহাকে চট কাইয়। গদ, স্তুত ও ময়দ যোগে গাঢ় করিয়া লওয়া হয় । উহার বর্ণ হরিতাভ-পীত, কিন্তু উই৷ স্থায়ী নহে । হলুদে যে বর্ণ পদার্থ আছে, রাসায়নিক পণ্ডিতেরা তাহাকে Curcumiu বলেন। ঐ বর্ণপদার্থের সাহায্যে দেশীয় ও য়ুরোপীয় বর্ণকারের নানা প্রকার রঙ করিতেছেন। কপি সবস্ত্র রঙ, করিবার জন্ত বিশেয কোনরূপ পরিশ্রম করিবার অবিশ্বক করে না । উহাতে কোনরূপ ক্ষারঞ্জল মিশ্রিত হইলেই লাল হইয়া যার । যদি আলুমিনিয়াম্ ও টিন্ ধাতুযোগে রঙ, প্রস্তুত করা যায়, তাহ হইলে বর্ণ একটু উজ্জ্বল হয়। টিনসংশ্রবে vezelsza33 Roeg NS gw, Potassium bi-chromate 8 Ferrous Sulphate Gottsi sfors, ai stū=inten Gsofs হইরা থাকে । ইহাতেই অনেকে পশম ও রেশম রঙ, করিয়া “to Boracic hydrochloric cotto oscha form ( লাল ) বর্ণে পরিণতি ঘটিয়া থাকে । আমোনিয়াসংযোগে উছ নীলবর্ণ হয় । উক্ত বর্ণ পদার্থের মুরাসারমিশ্রিত কাথ বোরাসিক এসিড যোগে উত্তপ্ত করিলে কমললেবুর রঙ হয়। উক্ত মিশ্রিত জল শীতল হইয়া আসিলে ও তাছাতে ঠাও জল নিক্ষেপ করিলে সিন্দুরবর্ণ গুড়িকাসমূহ নিম্নে পতিত হয় । উহা বোরসিক এসিড, ও বর্ণপদার্থ ভিন্ন আর কিছুই নহে। উপরি উক্ত সিন্দুরবর্ণ চুর্ণগুলি পরে পুনঃ পুনঃ জলে উত্তপ্ত করিলে বোরাসিক এসিড গলিয়া যায় এবং নিম্নে হরিদ্রাবর্ণ অভ্রবৎ পদার্থ পড়িয়া থাকে। উহা বর্ণ পদার্থ হইতে স্বতন্ত্র পদার্থ। ইহা পুনরায় হাইড়ে ক্লোরিক বা বোরসিক এসিড সংশ্রবে লাল হয় না, কিন্তু ক্ষারবোগে হরিতাভ ধূসর বর্ণ ( Greeuish grey ) ধারণ করে । ব্রোমে-কার্কিড-মিনের মুরাসার মিশ্রিত কাথে হাইড়ে ক্লোরিক এসিড দিয়া অগ্নির উত্তাপে ফুটাইলে উহ্য রক্তবর্ণ হয়। শীতল হইলে নিয়ে; এক নূতন পদার্থ অধঃক্ষিপ্ত হয় এবং বোরাসিক এসিড ঐ কাথেই মিশ্রিত থাকে। এই শেষোক্ত নিক্ষিপ্ত নুতন চুর্ণ প্রথমে এলকোহলমিশ্রিত জলে, পরে পরিষ্কার জলে উত্তম রূপে ধৌত করিলে উহা একবারে বোয়াগিক এসিড নিযুক্ত হয়। অতঃপর উছ৷ উত্তমরূপ শুষ্ক করিয়া দুই ভাগ এলকোহল ও ১ ভাগ
