পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুবৰ্ণ গ্রাম লয়ছিলেন। ধে দলিগখানা পাওয়া গিয়াছে, তাছা এই জমির পুনরুদ্ধার সম্বন্ধে। দলিল হষ্টতে জানা যায় যে, মগেয়া হুবর্ণগ্রাম লুণ্ঠন করে এবং সাদীপুরবংশীয়দিগের দলিলপত্রাদি লইয়। খায়। কাজেই তাঙ্গার সম্রাট প্রদত্ত লাখেরাজ জমি হইতে বঞ্চিত চষ্টয়nছন। দুইজন স্থানীয় কাজী এবং কয়েকজন অধিবাসী এই আ৭েwনপীর স্বাক্ষীস্বরূপ নাম স্বাক্ষর করিয়াছিলেন । ইহাতে কোন তারিখ নাই। তবে দিল্লী-সরকার হইতে ১৬২৩ খৃষ্টাব্দে ইহার যে উত্তর পাওয়া গিয়াছিল, তাছাতে শাহজাহানের নাম স্বাক্ষয় আছে । সম্ভবতঃ তদানীন্তন সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতিনিধিস্বরূপই তিনি ইহাতে স্বাক্ষর করিয়াছিলেন । ইহা ছষ্টতে অসুমান করা যায় যে, মৃগ প্রভৃতি দম্যুদিগের উৎপাতই মুবর্ণগ্রাম জনশূন্ত হইবার একটি প্রধান কারণ। ৪৭৮৫ খৃঃ অব্দে মেজর রেনেলের ভ্রমণবৃত্তান্ত প্রকাশিত হয় । তাহা হইতে জানা যায় সেই সময়ে সুবর্ণগ্রাম সামান্ত একটি গ্ৰামমারে পর্য্যবসিত হত য়াছিল । ১৮০৯ খুঃ অব্দে ডাক্তার বুকানন এই স্থান পরিদর্শন করিবার জন্ত আগমন করেন। তিনি সোণারগাঁও পরগণা পরিদর্শন করেন এবং সুবর্ণগ্রাম নগর সম্বন্ধে অবগত হন যে ই হ৷ ব্ৰহ্মপুত্রের জলে একেবারে বিলীন হইরা গিয়াছে। কিন্তু এই সংবাদ মিথ্য। সুবর্ণও'ম নহে,—শ্ৰীপুরের কথাই তিনি শুনিয়াছিলেন । চতুর্দশ শতাব্দীতে ইবন বতুতা স্ববর্ণগ্রাম পরিদর্শন করিতে আসিয়া দেখিতে পান যে, এখান হইতে একথান চীনদেশীয় অর্ণপোত ঘবদ্বীপে যাইবার উদ্যোগ করিতেছে । ইহা হইতে অনুমান করা যায় যে, তখনও সুবর্ণগ্রাম একটি প্রধান বাণিজ্যস্থান বলিয়া পরিগণিত ছিল । বর্তমানে ইহা একটি সামান্ত গ্রামমাত্র, তাল প্রভৃতি বৃক্ষাদিদ্বারা একেবারেই অাৰুত এবং ষ্টষ্টার চতুদিকে একটি প্রাচীন গড় এখনও শুষ্ক ক্ষীণ দেহে বিরাঞ্জ করিতেছে । এখানে এবং ইছার চতুষ্পাশ্ববর্তী স্থানে এখনও বহু প্রাচীন কীৰ্ত্তির ধ্বংসাবশেষ বিঞ্চমান আছে । তfহাদিগের বর্তমান অবস্থা এইরূপ— ১। মহল্লা বাঘগপুরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত পাচপীরের দরগ—এখানে পাঁচটি মুসলমান পীরের সমাধিস্থল পরস্পর সমস্তরাল ভাবে বিস্তৃত । এইগুলি জমি হইতে প্রায় চারি ফিটু উচ্চ । &ক সময়ে ব্ৰহ্মপুত্র যে ইহাদের নিকট দিয়া প্রবাহিত হুইত, তাঙ্গ বেশ বুঝিতে পারা যায়। ইচ্ছাদিগকে বেষ্টন’ করিয়া কয়েক ফিট উচ্চ কয়েকটি অৰ্দ্ধসমাপ্ত স্তম্ভ দেখিতে পাওয়া যার, তাহা ইষ্টতে বোধ হয় যে, কোন এক সময়ে এই কবরগুলির উপরে একটি ছাদ তুলিবার চেষ্ট হুইয়াছিল । " এই সকল [ १8 } সুবর্ণগ্রাম পৗরদিগের নাম, কেচ দেশ হইতে র্তাহার আধিয়াছিলেন এবং কবে কঁহাকে কবরস্থ করা হইয়াছিল, সে সম্বন্ধে কোনই লিখিত বিবরণ মাই। লোকের মুখে শুনা যায় যে তাহার পশ্চিম হইতে আসিয়াছিলেন। এই স্থানটির চতুর্দিকে একটি প্রাচীর ছিল ; এখন তাঙ্কার স্থানে স্থানে ভাঙ্গিয়া গিয়াছে এবং সমাধিগুলির সন্নিকটেও অনেক বড় বড় বৃক্ষ জন্মিয়াছে। এই প্রাচীরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি ধ্বংসোন্মুখ মসজিদ আছে । এই দরগাট অন্তি পবিত্র স্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ ; হিন্দুগণও এখানে সেলাম করিয়া থাকেন এবং বহুদূর হইতে ধৰ্ম্ম প্রাণ মুসলমানেরা এখানে আগমন করির থাকেন। ২। গিয়াস্থদ্বীন আজমশার সমাধি-উক্ত দরগার প্রায় পাঁচশত গজ দক্ষিণপূৰ্ব্বকোণে,’ ‘মঘদীঘি নামক একটি জঞ্জল ময় থানার পারে বঙ্গাধিপ রাজা গিরামুদ্দীন আজমৃশার সমাধিস্তম্ভ অবস্থিত। একটি প্রকাও প্রস্তরখণ্ডের চতুৰ্দ্দিকে প্রায় পাঁচ ফিট, উচ্চ কতকগুলি স্তম্ভ এখনও দণ্ডায়মান আছে। প্রস্তরগুলির উপর অনেক কারুকার্য ছিল। সেগুলি এখনও নুতন বলিয়া বোধ হয়। প্রস্তরগুলি খুব কঠিন ও কৃষ্ণবর্ণ। সমাধিস্থানের শীর্ষদেশে একটি ভূপতিত স্তম্ভ দেখিতে পাওয়া যার । খাড়া অবস্থায় ইহা বোধ হয় বাতিদানুস্বরূপ ব্যবহৃত হইত। মুসলমানের শিল্পজ্ঞানের ইহা অপেক্ষ উৎকৃষ্ট নিদর্শন পুৰ্ব্ববঙ্গে আর নাই ; এবং রীতিমত সংস্কার করিলে ইহা এখনও বহু শতাব্দী পৰ্য্যস্ত কালের সংহারিণী শক্তি উপেক্ষা করিয়া দাড়াইয়। থাকিতে পরিবে । ইহার সন্নিকটে আরও কয়েকটি সমাধিচিহ্ন বিদ্যমান আছে । স্থানীয় লোকের সে গুলিকে বঙ্গাধিপের মঞ্জিবর্গের সমাধিস্থান বলিয়া নির্দেশ করির থাকে। ৩ । দমদমা—বর্তমান সোণার-গাওয়ের সংলগ্ন মগ্রাপাড়। নামে যে গ্রাম আছে, অধিবাসীদিগের বিশ্বাস, এখানেই পূৰ্ব্বে সুবর্ণগ্রাম নগর প্রতিষ্ঠিত ছিল । ইহার অতি নিকটে এখন ও কতকগুলি প্রাচীন অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওরা যায়, এবং একটা সমুন্নত স্তান দেখাইয় লোকে এখনও ইহাকে ‘দ্বমূদমা (দুর্গ) বলিয়া পরিচর দিরা থাকে । এই উচ্চ স্থানটি গোলা- ' কার ; কিন্তু ইহার উপরে এখন জুর্গের কোনই নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যার না। প্রকাও একটি ত্ৰিশুিড়ীবৃক্ষ তাহার.স্থান অধি कांत रुतिम्र! मैंऍिक्लाइं★ ब्रश्ध्निltछ् । १छ् निन श्छेtऊ भङ्द्रम উপলক্ষে মুসলমানগণ ইহা তাছাদিগের "আস্করথান স্বরূপ ব্যবহার করিয়া আসিতেছিলেন। দশম দিবসে, তাজিয়াম পরি বৰ্ত্তে যে সকল মালা ও অলঙ্কায়াদি নিৰ্ম্মিত হইত, লে সকল আনিয়া এখানে মজুত করা হইত। -- মুল্লাশ দরবেশের সমাধি-ইছ মায়াপাড়ার রাজারে অৰ