স্থবিদূনারায়ণ হন। এখন দেখা যাউক স্ববিদনারায়ণ ঠিক কোন সময়ে রাজত্ব করিয়াছিলেন । ১ । স্ববিদূনারায়ণের মৃত্যুর পর, তদীয় জাতিচু্যত পুত্রচতুষ্টয়ের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তি রাজকীয় কৰ্ম্মচারী দ্বারা বিভক্ত হয় । “তজকিরা চৌধুরাষ্ট” নামক রাজকীয় কাগজে এই বিভাগের বিবরণ পাওয়া যায়। তজকীর চৌধুরাই ১৯৩৫ সনের দলিল। জাতিধ্বংসকালে রাজপুত্রের শিশু ছিলেন, এজন্ত পলায়লেও সমর্থ হন নাই। এই দলিলে দেখা যায় যে, স্ববিদ্নায়ায়ণ খৃষ্টীয় বোড়শ শতাব্দীর শেষ তাগের লোক । ২ । ভট্টকবিতা ও রাজা সুবিদূনারায়ণকে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সমসাময়িকই বলিতেছে । ইহা প্রায় ২০০ বৎসর পুৰ্ব্বে রচিত ও প্রচারিত হইয়াছে। নিম্নস্থ পংক্তিগুলির প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেই পুৰ্ব্ব ধারায় সঙ্গে বেশ মিলে। যথা— “দিলীপের ( ১ ) বাদশাহ আছিল। (২) জাহাঙ্গীর। ধার দৰ্পে পৃথিবীতে ঐরী ( e ) নছে স্থিয় । তাহার ( ৪ ) আমলে হৈলা সুবিদূনারাইশ রাজা । আপন সস্তান তাবি পালিলেন প্রজ। ॥” (ভট্টকবিতা ।) ইহা হইতে রাজা স্ববিদূনারায়ণের সময়ের প্রজাবৎসল্যও বিশেষরূপে প্রমাণিত হয় । ৩ । সমাট আকবরের রাজত্বকালে রাজা টোডবমল কর্তৃক ১৫৮২ খৃষ্টাব্দে মোগলরাজ্যের যে রাজস্ব-হিসাব লিখিত হয়, তাহাতে সরকার শ্রীহট্টে রাজা সুবিন্দ্রনারায়ণের রাজ্যসীমার বহিভূত ( ) প্রতাপগড় ও পঞ্চথও, (২) বানিয়াচল, (৩) জয়ন্তীয়া, (৪) বাজিয়া বাজু, (৫) হাবেলি শ্ৰীহট্ট, (৬) সতর খণ্ডল, (৭) লাউড়, ও (৮) হরিনগর, এই ৮টী মহালের নাম পাওয়া যায় । আইন-ই-আকবরী পাঠে দেখা যায়,১৫৮২ খৃষ্টাব্দে ও রাজা স্নবিদনারায়ণের রাজ্য মোগলসাম্রাজ্যভুক্ত নহে । সুবিদূনারায়ণের মৃত্যুর পর তাহার রাজ্য মোগলাধিকৃত হইয়াছে। খৃষ্টীয় ১৬১২ আৰো রাজা সুবিদূনারায়ণের রাজ্য দিল্লীলাম্রাজ্যভুক্ত হর । (৪) রাজনগরবিজেতার নাম “খোয়াজ উস্মান” । শ্রীহট্টের গ্রাম্য ভাষায় “খোরাজ উসমান” বাক্য খোয়াছচমান” রূপে পল্লিবৰ্ত্তিম্ভ হইয়াছে। স্বপ্রসিদ্ধ তিহাসিক গোলাম হুসেন ও চালসইয়ার্ট ইহাকে ওসমান খা নামে বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু মিঃ, বি, সি, এলেন প্রভৃতি ঐতিহাসিকগণ খোয়াজ ওসমান नtgभहे *ब्रि6ग्न शेिअt८छ्न । বঙ্গের মোগল মুবাদার, খ জাহান, তাড়ার যুদ্ধে পাঠান (s) त्रैिर्न्नौंग्र-निग्नौङ् । (१) चtष्णिl-द्द्रिशत्र । (७) वॆद्मि =चत्रि (s) खाइन=छैशंङ्ग । [ s • J স্থবিদূনারায়ণ দিগের অধিকাংশকেই বিনাশ করিলে, কতিপয় আফগানসেনানী বাঙ্গালার পাশ্বদেশের বনমধ্যে ( শ্রীহট্টে ) আশ্রয় গ্রহণ করে। খ' জাহানের কার্যভৎপরতায় উড়িষ্যা, কটক, বগারস এবং সমগ্র বিহার ও বঙ্গ মোগলসাম্রাজ্যভুক্ত হয়। অবশিষ্ট পাঠানের আশ্রয়াভাবে দূরবর্তী পৰ্ব্বত-সন্ধুল শ্ৰীহট্টে আশ্রয় গ্রহণ করে। ওসমান, সহসা বিপুল সৈন্ত সহ অতর্কিতভাবে রাজনগর আক্রমণ করে। বৈদিকসংবাদিনী এবং বৈদিকপুরাবৃত্তগ্রন্থদ্বয়ে লিথিত আছে যে, রাজা স্ববিদূনারায়ণের কনিষ্ঠ কন্ত। পদ্মিনীর অসামান্ত রূপলাবণ্যের কথা শুনিয়াই ওসমান থ সহস্য সসৈন্থে রাজনগর আক্রমণ করেন। কথিত আছে যে, মধ্যাহে যখন রাজা ইষ্ট পূজায় ব্যাপৃত ছিলেন, কোনও শত্রুর আগমনের আশঙ্কা ছিল না, স্বতরাং সৈন্তগণ অপ্রস্তুত ছিল, ঠিক সেই সময়ে ওসমান খাঁ রাজনগর আক্রমণ ও অধিকার করেন। রাজা স্ববিদনারায়ণ দেবালয়ে যোগাৰলম্বনে দেহ ত্যাগ করেন। মহিৰী লীলাবতী এবং রাজকন্ত পদ্মিনীও মহারাজ মুৰিদনারায়ণের অনুগামিনী হন । শিশু রাজপুত্ৰচতুষ্টয় যবনহস্তে পতিত হইলেন, অদ্যান্ত সকলে ধৰ্ম্মনাশভয়ে পলায়ন করিলেন । ওসমান, রাজপুত্রগণকে মহম্মদীয় ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়া ক্রমে জামাল খা, কামাল খা, হাজি খাঁ ও ইছা খা নাম রাখিলেন। পৈতৃক ধন-রত্ন ও ভূমিসম্পত্তি হইতে রাজপুত্ৰগণ বঞ্চিত হইলেন, রাজ্যের সমস্ত অংশই পাঠানসেনাপতিগণের করকবলিত হইল । কাল যাহার রাজভোগে লttল ত পালিত হইয়াছেন, আজ তাছার পথের ভিখারী, পরের অন্নমুষ্টির প্রত্যাণী । বিধাতার এ অপূৰ্ব্ব চাতুরী বা বিড়ম্বন কে বুঝিবে ? বয়ঃপ্রাপ্তির পর রাজকুমারের কেবলমাত্র ইট ও ইন্দেশ্বর পরগণা দুটা মোগলসম্রাট হইতে “চৌধুরী” উপাধির সহিত জমিদারীস্বরূপ প্রাপ্ত হন । ১৬১২ খৃষ্টাবেী ওসমানের মৃত্যু হইলে রাজা সুবিদূনারায়ণের রাজত্ব মোগলসাম্রাজ্যভুক্ত হয়। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে, রাজা স্ববিদনারায়ণের প্রধান দুর্গ পৰ্ব্বতোপরি স্থাপিত ছিল । অধিকাংশ সৈন্তই তথায় থাকিত, বৈদিকপুরাবৃত্তকার বলেন, রাজভ্রাতৃদ্বয় সেনাপতি ছিলেন ; সুতরাং তাছারাও প্রধান দুর্গেই ছিলেন। কাজেই এত সহজে ওসমান রাজনগর অধিকার করিতে পারিয়াছিলেন। বিশেষতঃ হিন্দুজাতি অন্যায় যুদ্ধকে অধৰ্ম্মজনক মনে করিতেন, আর পাঠানের ছল, প্রবঞ্চন, কূটযুদ্ধ, চৌর্যাবৃত্তি, নিরস্ত্রকে আক্রমণাদি কোনও কৰ্ম্মকেই অষ্ঠায় মনে করিত না । এজষ্ঠ প্রার যুদ্ধেই মুসলমানের অগস্তাৰিতরূপে জয় লাভ করিয়াছে। সৰ্ব্বত্র ঘূহ ঘটিয়াছে, এক্ষেত্রে তাছা ন হইবে কেন ? ধৰ্ম্মনায়ায়ণ বLরামনায়ায়ণ প্রডিকায়ের সময়ও পান নাই। -
