পাতা:বিশ্বকোষ দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আtউলেটণদ অসংখ্য অসংখ্য বিদ্রোহী বর্ষণধারার মত গোলা গুলি বুষ্টি করিতেছে । পরিশেষে লড ক্লাইড আসিয়া তাহার সঙ্গে যোগ দিলেন । তখন, আউটরাম সৈদ্য সমভিব্যাহারে গোমতী নদীর পূৰ্ব্বধারে গিয়া তুমুল সংগ্রাম করেন, তাহাতেই বিদ্রোহীর ছত্রভঙ্গ হইয় পড়ে। অতঃপর তিনি অযোধ্যার চিফ কমিশুনের হটয়াছিলেন এবং ১৮৫৮ সালে তাহাকে লেভটেনাণ্ট জেনারেল করা হয়। অবশেষে তিনি ভারতবর্ষের প্রধান সভার (Supreme Council) (ITS ET 1 SvE" NfTæt fEfT পীড়িত হইরা ইংলও যাত্রা করেন । ১৮৬১-৬২ সালের শীতঋতু মিশরে অতিবাহিত হয়, শেষে অল্পকাল ফান্সে অবস্থিতির পর ১৮৬৩ সালের ১১ মার্চ তিনি পারিস নগরে প্রাণত্যাগ করেন। ইহঁার প্রতিমূৰ্ত্তি কলিকাতার গড়ের মাঠে বিদ্যমান রহিয়াছে। মহাবীর আউটরাম অশ্বের উপরে নিষ্কাশিত আসি লইয়। পশ্চাদদিকে চাহিয়৷ আছেন, এ দিকে ঘোড়ার খুর লাগিয়া একটা কামান চূর্ণ হইয়া গিয়াছে । আউড় ( গ্রাম্য ) বাঙ্গালার অনেকস্থানে খড় বা বিচালীকে আউড় কহে । আউল । বৈষ্ণব সম্প্রদায় বিশেষ । ইহার কৰ্ত্তাভজার একটা শাখা মাত্র, তজ্জন্ত ইহাদিগকে সহজ-কর্তাভজাও কহে । ইহার প্রকৃতি লইয়া সাধন করিয়া থাকে । এক এক জন আউলেয় সঙ্গে অনেক প্রকৃতি থাকে, তাহাদের মধ্যে কেহ বেগুণ, কেহ বা কুলবর্তী। সকল জাতির প্রকৃতি পুরুষ এক সঙ্গে বসিয়া পান ভোজন করে, তাহাতে কোন জাতিবিচার নাই । কাহার স্ত্রীর কাছে অন্ত পুরুষ গমন করিলে মনুষ্যমাত্রেরই মনে ঈর্ষ্য। জন্মে, কিন্তু আউলদের মন অত্যন্ত উদার। ইহাদের একজনের প্রকৃতি অন্য পুরুষের নিকটে গেলে কাহার মনে বিদ্বেষ জন্মে না । মাউলরা দাড়ী গোপ রাখে লণ্ড । আউলেচাদ । ইনি প্রথমে কর্তাভজার স্বষ্টি করেন। আউলে চাদের প্রকৃত ইতিহাস কিছুই জানিবার উপায় নাই, নানা জনে নানা প্রকার গল্প করি য় থাকেন । কেহ কেহ বলেন, একবার কোথা হইতে একজন সন্ন্যাসী আসিয়াছিলেন । র্তাহার পায়ে খড়ম, গায়ে কাথ, কটিতে কৌপীন পর । তিনি খড়ম পায়ে দিয়া একট। বড় তেঁতুল গাছের উপরে উঠিয়া বসিয়া থাকিতেন। ইচ্ছা হইলে কখন গাছ হইতে নামিতেন, নতুবা [ \o J অ'উলেচণদ களுது. দিবারাত্র সেই গাছেই বাস করিতেন । পরে কোন গৃহস্থের একটী বালকের মৃত্যু হয়। তাহার জননী পুত্ৰশোকে কাতর হইয়া কাদিতে কঁাদিতে সস্তানের মৃতদেহ সেই তেঁতুলতল দিয়া লইয়া যাইতেছিলেন । সন্ন্যাসী সদয় হইয়। মৃত শিশুকে বাচাইয়া দেন। সেই পর্য্যস্ত আউলের দৈবশক্তি প্রকাশ হইয়। পড়িল । কেহ কেহ অন্ত প্রকার গল্প করেন। উলাগ্রামে নাকি মহাদেব নামে এক বারুই ছিল । এক দিন সে আপনার বরজে পান তুলিতে গিয়াছে ; পান তুলিভে তুলিতে বরজের ভিতরে আট বৎসরের একটা বালককে দেখিতে পাইল । ১৬১৬ শকের ফাস্তুন মাসের প্রথম শুক্রৰারে নাকি ঐ বালককে পাওয়া যায়। ৰালকট কে, কাহার সন্তান, নাম কি, তাহার নিবাস কোথায়— এ সকল পরিচয় কেহই বলিতে পারিল না, বালক নিজেও আপনার কিছুই পরিচয় দিল না । মহাদেব তাহাকে আপনার ঘরে লইয়া গিয়া পুত্রেয় মত প্রতিপালন করিতে লাগিল। এবং তাহার নাম পূর্ণচন্দ্র রাখিয়া দিল । কথিত আছে, পূর্ণচন্দ্র প্রায় বার বৎসর কাল বারুইরের ঘরে বাস করিয়াছিলেন । বার বৎসর পরে তিনি এক গন্ধবণিকের বাটীতে গিয়া দুই বৎসর থাকেন । সেখান হইতে এক জমি জারের ঘরে দেড় বৎসর বাস করেন । তাহার পর পুৰ্ব্ববাঙ্গালায় গিয় দেড় বৎসর ছিলেন । পরিশেষে নানা স্থানে ভ্রমণ করিয়া সাতাইশ বৎসর বয়সের সময়ে তিনি বেজরা গ্রামে উপস্থিত হন । সেখানে হটু ঘোষ প্রথমে র্তাহার শিষ্য হইলেন। অতঃপর ঘোষপাড়ার রামশরণ পালও তাছার উপদেশ পাইয়। কর্তাভজা মত প্রচার করিতে লাগিলেম । আজও দোলের সময়ে তথtয় মহা সমরোহে মেলা হইয়া থাকে । কেহ কেহ বলেন যে, ছিয়াত্তরে মন্বন্তরের সময়ে ( ১১৭৬ সালে ) রামশরণ পাল সুখসাগরের বাজারে চাউল খরিদ করিতে গিয়াছিলেন । সেখানে আউলে চাদের সঙ্গে তাছার সাক্ষাৎ হয় । আউলেচাদ, রামশরণের বাটীতে আসিয়া তাহাকে উপদেশ দিতে লাগিলেন । আবার আর একটা গল্প শুনিতে পাওয়া যায় । রামশরণপাল আপনার ক্ষেতে লাঙ্গল দিতেছিল। অtউলেচাদ সেইখানে অগসিয়া উপস্থিত হন । পরে রামশরণের সঙ্গে তাহার বাটীতে আসিয়া তাহাকে ধৰ্ম্ম বিষয়ে উপদেশ করিতে লাগিলেন ।