পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবকৃষ্ণ [ ৬১৬ ] নবকৃষ্ণ গাছ পরগণার কানুনগো-পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ইহার ছয় পুত্র হয়, তন্মধ্যে চতুর্থ পুত্র সহস্রাক্ষ মজুমদার নবাব মহব্বত জঙ্গের সমসাময়িক । তিনি নবাব কর্তৃক তাহার পৈত্রিক কৰ্ম্মে অর্থাৎ মুড়াগাছ পরগণায় কানুনগে-পদে নিযুক্ত হন। পঞ্চম রাজেন্দ্রনাথ মজুমদার সরকার উপাধি পাইয়া কামারগোল গ্রামে বাস করেন। কনিষ্ঠ রুক্মিণীকান্ত মজুমদার অনেকগুলি জ্ঞাতিকে লইয়া মুড়াগাছার অন্তর্গত পঞ্চগ্রামে বাস করেন। ইনি নবাবের নিকট কৰ্ম্মপ্রার্থ হইলে নবাব তাহাকে , মুড়াগাছ। পরগণার অপ্রাপ্তব্যবহার ক্ষত্ৰিয় জমীদার কেশবরাম রায়চৌধুরীর তত্ত্বাবধায়ক পদে নিযুক্ত করেন এবং ব্যবহষ্ঠা উপাধি দান করেন। এই ব্যবহর্জা রুক্মিণীকান্ত মজুমদারের পর তাহার জেষ্ঠপুত্র রামেশ্বর ব্যবহর্জা উক্ত পৈত্রিক কার্য্যে নিযুক্ত হন, কিন্তু তাহার তত্ত্বাবধানে নবাবসরকারে রাজস্ব বাকী পড়ায় জমীদার কেশবরাম তাহাকে নিজালয়ে কারারুদ্ধ করিয়া রাখেন। রামেশ্বর ব্যবহর্ভার ছয় পুত্র, তন্মধ্যে দ্বিতীয় রামচরণ দেব মুরশিদাবাদে গিয়া তখনকার রায়রায়ার নিকট পরিচিত হইয়া মুড়াগাছার রাজস্ব বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা আরও বেশী দিবেন বলিয়া উহার ভার প্রার্থনা করেন। রায়রায় তাহাকে উক্ত পরগণার উদেদারী ( কমিশনার ) পদে নিযুক্ত করেন। এই পদে নিযুক্ত হইয়াই তিনি পিতাকে কারামুক্ত ও বৈরনিৰ্য্যাতনাৰ্থ কেশবরামকে কারারুদ্ধ করেন। কিন্তু কিছুদিন পরে কেশবরাম মুক্তি পাইলে, রামচরণ র্তাহার ভয়েই হউক বা অন্ত কারণেই হউক, মুড়াগাছার বাস উঠাইয়া গঙ্গ+ তীরে গোবিন্দপুর গ্রামে আসিয়া বাস করেন। এই গোবিন্দপুরই মুতাকুটীর গড় গোবিন্দপুর। এই স্থানে বাস-স্থাপনের পর রামচরণ নবাবের নিকট পুনরায় উপস্থিত হইয়া কৰ্ম্ম প্রার্থনা করিলে, তিনি রামচরণকে হিজলী, তমোলুক, মহিষাদল প্রভৃতি স্থানের নিমকমহলের করসংগ্রাহক পদে নিযুক্ত করেন। এই কার্য্যে রামচরণ বিচক্ষণতা প্রকাশ করিয়া সুখ্যাতি লাভ করিলে নবাব মহব্বতজঙ্গ তাহাকে কটকের সুবাদারের দেওয়ানী প্রদান করিলেন। আর্কটের নবাবের ভ্রাতা মনিরউদ্দীন খা । সহোদরের সহিত বিবাদ করিয়া মুরশিদাবাদের নবাবের নিকট আশ্রয় লয়েন। নবাব আলীবর্দী খাঁ তাহাকে যথেষ্ট সম্মানের সহিত আশ্রয় দেন। এই সময় উড়িষ্যায় বর্গীর হাঙ্গামা হয়। নবাব মনিরউদ্দীনকে কটকের মুবাদার পদে নিযুক্ত করিয়া বগীদমনে উৎকলে পাঠাইয়া দেন। এই মুবাদারের সঙ্গেই রামচরণ দেওয়ান হইয় গমন করেন। নুবাদার মেদিনীপুরের সীমা ছাড়াইয়া মখন কটকাভিমুখে অগ্রসর হইলেন, তখন তাহার সহিত লোকজন বেশী ছিল ন, সৈন্তের পশ্চাতে পড়িয়াছিল। এই সময়ে জঙ্গল ಕ್ಲೌ পিণ্ডারী-দস্থ্য বহির্গত হইয়া সুবাদারকে আক্রমণ করে। সুবাদার ও দেওয়ান রামচরণ অনেকক্ষণ আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধ করিয়াছিলেন, কিন্তু শেষে উভয়েই নিহত হন। উৎকলে বর্গার হাঙ্গামার সময় আলীবর্দী খাঁ একবার স্বীয় সেনাপতি মীরজাফরকে তদমনে নিযুক্ত করেন, কিন্তু তিনি আমোদ প্রমোদে এত উন্মত্ত ছিলেন যে দস্থাদিগের আগমন শুনিয়াই বৰ্দ্ধমানে পলায়ন করেন, তৎপরে আতাউল্লা খাঁ নিযুক্ত হন। এই দুই নিয়োগের কথা ব্যতীত ইতিহাসে মনিরউদ্দীন খার নিয়োগ সম্বন্ধে কোন উল্লেখ না থাকায় অনেকে তাহার দেওয়ানীতে নিযুক্ত রামচরণের যুদ্ধাদি সম্বন্ধে মহা সন্দেহ করেন। যাহা হউক রামচরণ ব্যবহর্ভার মৃত্যু হইলে তাহার পরিবারবর্গের ভরণপোষণের মহাকষ্ট হয়। তিনি তিনটী শিশুপুত্র ও পাচটী বালিকা কন্যা রাখিয়া পরলোকগত হন। এই সময়েই আবার গোবিন্দপুরের বাটী গঙ্গার ভাঙ্গনে ভাঙ্গিয়া যায়। রামচরণের পত্নী বালকবালিকা লইয়া সুতানুটীর মধ্যে শোভাবাজারে আসিয়া বাস করেন। এ সময় ইহাদের অবস্থা এত মন হইয়াছিল যে, আপনার মৌলিক হইয়াও সামাজিক প্রথা লঙ্ঘন করিয়া অর্থাভাবে কনিষ্ঠা কন্যাটকে মৌলিক কারস্থের হস্তে অপর্ণ করিতে বাধ্য হইয়াছিল। যাহা হউক রামচরণের বিধবা এত ক্লেশেও পুত্র তিনটকে উর্দু, ফার্স প্রভৃতিতে কতবিদ্য করিতে কোনরূপ ক্রটি করেন নাই। শেষে জ্যেষ্ঠ রামসুন্দর বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া পঞ্চকোট নামক স্থানের দেওয়ান হইলেন। ইহা দ্বারা সাংসারিক অসচ্ছলতা দূর হইল। মধ্যম মাণিক্যচন্দ্রও জ্যেষ্ঠের কৰ্ম্মস্থানে গমন করিলেন । ১১৭৯ হিজরীতে র্তাহার দিল্লীর বাদশার অনুগ্রহ লাভ করিয়া রায় উপাধি ও হাজারী মনসবদারের পদ লাভ করেন। ইহাদের কণিষ্ঠই নবকৃষ্ণ দেব বাহাদুর। ইনি অনুমানিক ১১৩৯ সালে ( প্রায় ১৭৩২ খৃষ্টাব্দে ) মুড়াগাছার পৈতৃক বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি জননীর

  • কেহ কেহ বলেন, গোবিন্দপুরের বাড়ীতেই তাহার জন্ম इग्न কিন্তু মুড়াগাছার জ্ঞাতিগণ সকলেই নিঃসঙ্কোচে বলিয়া থাকেন, তথtয় রামচরণের বাড়ীতেই নবকৃষ্ণের জন্ম হয়। উহার স্তাহার সুতিকাগারটা এখনও নির্দেশ করিয়া থাকেন। জন্মের পঞ্চম অথবা সুতিকার শেষ দ্বিনে প্রস্তুতির ক্ষৌরনিয়ম আছে। নাপিত নখচ্ছেদন করিলে পর প্রস্থতি স্নান বা জলযোগাদি করিতে পারেন । মুড়াগাছার নাপিত সেদিন কাৰ্য্যামুরোধে যথাক্ষালে উপস্থিত হইতে পারে নাই। প্রস্তুতি নাপিত

আসিবার পূৰ্ব্বেই ক্ষুধায় ব্যাকুল হুইয়া জলযোগ করেন। তৎপয়ে তাহার नक्षकाः इह ।। ७३ नूठन बादशाब्र ॐाशब्र ७ छैशत्र पांमैौद्र नभग হইয়াছিল। তদবধি এই প্রথা এই বংশে চলিয়া আসিতেছে।