পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

,鬱 নাগপুজ স্বাহীর মুখের মধ্যে প্রৱেশ করাইলে যে অনির্দিষ্ট সীমায় দেহ इश्त्रि छाँश%नश्चिङ्ग भटमांगाथा क्रिशेक्न ७ अमदकट्णप्न ধিক্ষ উদয় হয় । ইজিপ্ট ও গ্রীসের ইতিহাসেও মান প্রকার নাগোপাখানি আছে। গরুড়ের সহিত নাগগণের যে যুদ্ধের কথা শুনা যায় এবং গরুড় যে নাগদমন করিয়াছিলেন, পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা তাহার এই ব্যাখ্যা করেন। গরুড় বিষ্ণু উপাসকের সৃষ্টান্ত স্বরূপ • এবং মাগগণ বলিতে শাক্যমুনির প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী ৰাক্তিগণ। গরুড় নাগজয় করিয়াছিলেন জর্থাৎ প্রবলতর ৰৈঞ্চৰথশ্ব হানতেজ বৌদ্ধধৰ্ম্মকে পরাভূত করিয়াছিল। মহাভারতাদি প্রাচীন গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, পরীক্ষিতের পুত্র জনমেজয় সপক্ষাঘজ্ঞ করেন। এই যজ্ঞে রাজা জনমেজয় প্রায় সমুদয় নাগ নিধন করিয়াছিলেন। বাস্তবিক দেখিতে গেলে, উক্ত ঐতিহাসিক ঘটনা তদানীন্তন একটা যথার্থ ঘটনার আভাস লইয়া বর্ণিত হইয়াছে। যখন জনমেজয় নাগপূজা রহিত করেন, সেই সময় স্থানীয় কুসংস্কার দূরীভূত হুইয়া বেদের সনাতন ধৰ্ম্ম সেই স্থান অধিকার করে। কাশ্মীরপ্রদেশে সৰ্ব্বপ্রথমে নাগপূজা ও মনসাপূজা প্রচলিত ছিল। আবুল ফজল বলিয়াছেন যে, খৃঃ পূর্ব ৩৫০।৪০০ শতাব্দীতে কাশ্মীর অঞ্চলের প্রায় সাত শত স্থানে নাগপূজা হইত। সমগ্র ভারতবর্ষ ব্যাপিয়া এই নাগপূজা প্রচলিত ছিল। কোথাও জীবিত গোখুরা সপের পূজা হয়, কোথাও বা খোদিত প্রতিমূৰ্ত্তির পূজা করিতে দেখা যায়। প্রায় প্রত্যেক গৃহেই মনসাদেবীর প্রতিরূপ মনসাগাছ আছে। অনেকে তাহারই পূজা করেন। কোন কোন স্থলে এরূপ প্রতিমূৰ্ত্তি আছে যে, একটা মাত্র সর্প ফণা বিস্তার করিয়া রহিয়াছে, কোথাও বা এরূপ দেখা যায় যে, অষ্টনাগ খোদিত আছে । অধিকাংশ স্থলে আবার ছুইটী সর্প একত্র দেখা যায়। দাক্ষিণাত্যে সর্বত্রই সৰ্পের আবাসে পূজার্থিগণ উপস্থিত হইয়া উহাতে সিন্মুত্রলেপন করে, চিনিমিশ্ৰিত গোধূম ও হরিদ্রাচুর্ণ দিয়া আঁকে এবং সুগন্ধি কুসুমের মাল গাখিয়া ইহার নিকটে ঝুলাইয়া রাখে । মহারাষ্ট্ররমণীগণ নাগপূজার্ধে অনেকে একত্র হইয়া নাগমন্দিরে গমন করেন এবং পরম্পর হস্তধারণ করিয়া গান করিতে করিতে পাঁচবার মন্দির প্রদক্ষিণপূর্বক অভীষ্ট বর প্রার্থনা করিয়া ভূমিষ্ট হইয় প্রণাম করেন। শ্রাবণ মাসে নাগপঞ্চমী বলিয়া একটা হিন্দুপৰ্ব্ব আছে। ঐ দিনে হিন্দুর সর্প অন্বেষণ করিতে ৰাছির হয় এবং সাপুড়েদের সাহায্যে সর্প ধরিয়া লইয়া আইসে। পরে ভক্তিপূর্বক তাহাকে পূজা করিয়া ছদ্ধ ও জড়ান্ত { ఉపిరి ) নাগপুঞ্জ - ত্রব্যাদি প্রদান করে । সেই দিন বোম্বাই প্রদেশের প্রত্যেক হিন্দু গৃহস্থই সৰ্পমুদ্ধি কাঠে কিংবা কাগজে অতি করিয়া দেওয়ালের উপরে স্থাপনপূর্বক অর্জন করিয়া থাকে। অজস্তার গুহামন্দিরে এরূপ নাগপূজার প্রাচীন নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যায়। ছত্রগ্রামের পশ্চিমের দেওয়ালে একটী কেউটে সাপের মুর্ভি অঙ্কিত আছে। সৰ্প সকল যাতায়াত করিবার সময় যেমন বক্রভাবে স্বায়, এই চিত্রটীও সেইরূপ। নাগোপাসকেরা রলে যে, এই সৰ্প লঙ্কাভিমুখে গমন করিতেছে এবং মগন তাহাদিগকে বলা যায় যে, লঙ্কায় যাইতে বহুদিন লাগিৰে, তখন তাহারা ইহার প্রতি বিদ্ধপ প্রকাশ করিয়া থাকে। কাগজে অঙ্কিত শিবলিঙ্গের উপর প্রায়ই সর্পমূৰ্ত্তি ক্ষণ ৰিস্তার করিয়া রহিয়াছে দেখিতে পাওয়া যায়। শিবমূৰ্ত্তি সচরাচর এই রকম গঠিত হয় যে, ব্যাঘ্রচর্মের উপর শিব বসিয়া আছেন এবং মস্তকে সৰ্প কণ্ঠদেশ জড়াইয়া রহিয়াছে। কথিত আছে, সমুদ্রমন্থনে যে বিষ উঠিয়াছিল মহাদেব তাহ পান করিয়া যন্ত্রণায় অস্থির হইয়া জালা নিবারণ করিবার জন্ত গলদেশে সৰ্প বেষ্টন করিয়াছিলেন। ভগবান বিষ্ণু যখন অনন্তশয্যায় শয়ন করিয়াছিলেন, তখন র্তাহার অদ্য অবতার না হওয়া পৰ্য্যস্ত সৰ্পগণ ফণা বিস্তার করিয়া তাহাকে ছায় প্রদান कद्भिग्नांछ्ठि । দক্ষিণভারতে মহিমুরের পশ্চিমাংশে সুব্রহ্মণ্যদেবীর এক মন্দির অাছে। এই মন্দির মধ্যে মুত্তিকানিৰ্ম্মিত একটা প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। অধিবাসিগণ নাগগণের উদ্দেশে উক্ত সুব্রহ্মণ্যের পূজা করিয়া থাকেন। বর্তমান সময়েও তথায় নাগপূজাপদ্ধতি পূৰ্ব্ববং অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে। ১৮৪১ খৃঃ অব্দে আহ্মদনগরে একদিন পেীর্ণমাসীনিশিতে কোন কুটীর হইতে পাচজোড়া সৰ্প বাহির হয়। আশ্চর্যের বিষয়, উক্ত ৫ জোড়া সৰ্পই যুগল অবস্থায় ছিল। এইরূপ নাগমিথুন দেখিয়া এক যুরোপীয় যুবক সাতিশয় কৌতুহলাক্রান্ত হইয় তাহার কোন বন্ধুর সহিত গল্প করিতেছিলেন। তখন র্তাহার বন্ধু বলিলেন, “মহাশয় ! আমিও একদিন ২টী সর্পকে যুগল অবস্থায় দেখিয়াছিলাম। এই সময় তাহারা লেজের উপর ভর দিয়া সোজা হইয়া দাড়ায়। ভারতবাসীরা ইহাকে সৰ্পের নাচ বলে । তাঁহাদের বিশ্বাস যে এরূপ নাগদর্শন সৌভাগ্যসূচক । সেই সময় যদি কেহ একখানি নববন্ধ সাপময়ের গাত্রোপরি নিক্ষেপ করিতে পারে, তাহা হইলে তাঙ্কার জসীম পুণ্য সঞ্চয় হয়। পরে সেই বস্ত্র গৃহে আনিয়া রাখিলে লক্ষ্মী চিরদিনের জন্ত তাহার গৃহে আবদ্ধ থাকেন।" . হিন্দুরা সাধারণতঃ সৰ্প বিনাশ করিতে চায় না। সৃপ