মোক্ষ মোক্ষ লটু মোক্ষরতি, ভূদি পক্ষে মোক্ষতি । লুঙ, অমুমোক্ষস্থাৎ, ভূদি অমোক্ষাৎ। - মোক্ষ (পুং) মোক্ষ্যতে দুঃখমনেন । মোক্ষকরণে ঘঞ, । মুক্তি । “ন মোক্ষে নভসঃ পৃষ্ঠে ন পাতালে ন ভূতলে । সৰ্ব্বাশাসংক্ষয়ে চেতঃক্ষয়ো মোক্ষ ইতি শ্রুতি: ॥* ( नाश९jनां० २॥७॥२e ) আকাশ পাতাল বা ভূতল প্রভৃতি কোনস্থলেই মোক্ষ নাই, কেবল আশা ক্ষয় হইলেই মোক্ষ হয় । জীব কেবল কৰ্ম্মের বন্ধনে বদ্ধ হইয়া আছে, এই কৰ্ম্ম ছেদ করিতে পারিলে ই তাহার মোক্ষ হয় । মোক্ষের বিষয় দর্শনশাস্ত্রে বিশেষরূপ আলোচিত হইয়াছে, অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে তদ্বিষয় এই স্থলে অভিহিত হইল ;– পরম পুরুষার্থের নাম মোক্ষ পুরুষাৰ্থ শব্যে পুরুষের প্রয়োজনকে বুঝায়, যাহ। পুরুষের অভিলষণীয়, তাহাই পুরুষাৰ্থ। পুরুষার্থকে চারিভাগে বিভাগ করা হইয়াছে। ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ বা অপবর্গ। তন্মধ্যে মোগ পরমপুরুষাৰ্থ । অদ্য ত্ৰিবিধ পুরুষাৰ্থ হ বিনাশা, মোক্ষ অবিনাশ । এইজ দ্য মোক্ষ পরমপুরুষাৰ্থ । মোক্ষ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অথের প্রতি লক্ষ্য করলে বন্ধনমোচনহ মোক্ষ বলিয়া প্রতাত হইয়। থাকে । বন্ধনশদে জীবাত্মারই বন্ধন বুঝিতে হইবে, এই বন্ধনের অর্থ সুখ-দুঃখ-ভোগ বা সংসার । জীবাত্মার সংসার বা বন্ধন অজ্ঞানমূলক। অর্থাৎ মিথ্যাজ্ঞান সংসারের হেতু, যতক্ষণ পর্য্যন্ত কারণ বিদ্যমান থাকে, ততক্ষণ কিছুতেই কাৰ্য্যের নিবৃত্তি হয় না। অতএব যে | পর্যন্ত মিথ্যাজ্ঞান সমূলে উন্মলিত না হয়, সে পর্য্যন্ত সংসারনিবৃত্তি বা মুক্তি হইতে পারে না । মুক্তি পরমপুরুষাৰ্থ, মুক্তির জন্য সকলের সমুৎসুক হওয়া উচিত। বদ্ধ থাকিবার জন্তু লোকের অভিলাষ হয় না । লোক বন্ধন ভাল বাসে না । বন্ধনমুক্তিই সকলের অভিলষণীয় । মিথ্যাজ্ঞান বন্ধনের হেতু । তত্ত্বজ্ঞান মিথ্যাজ্ঞানের সমুচ্ছেদক বা বিনাশক, ইহ সহজবোধ্য । তত্ত্বজ্ঞান ভিন্ন অস্তু কোন উপায়ে মিথ্যাজ্ঞানের উচ্ছেদ হইতে পারে না । মিথ্যাজ্ঞানের উচ্ছেদ না হইলে মুক্তি হয় না। অতএৰ তত্ত্বজ্ঞান মুক্তির কারণ। তত্ত্বজ্ঞান দুই প্রকার, পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ । যে মিথ্যাজ্ঞান প্রত্যক্ষ নহে তাছাই পরোম, পরোক্ষ তত্ত্বজ্ঞান দ্বারাহ তাহার উচ্ছেদ হয় । কিন্তু cব মিথ্যাজ্ঞান প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ তত্ত্বজ্ঞান স্বারা তাহার উচ্ছেদ হয় না, তাহার উচ্ছেদের জন্ত প্রত্যক্ষ তত্ত্বজ্ঞান আৰপ্তক। রজ্জতে সর্পভ্রম হইলে ইহা সৰ্প নহে, ইছ রজ্জ, অপর ব্যক্তি পুনঃপুনঃ এইরূপ বলিলেও ভ্রান্ত [ ৪১৯ ] ব্যক্তির সপত্রম তৎক্ষণাৎ নিবৃত্ত হুইবে না ; কেম না, ভ্রাত্ত ব্যক্তির সর্পভ্রম প্রত্যক্ষাত্মক। আম্ভের উক্তিমূলক যে তত্ত্বজ্ঞান ছয়, উছ। পরোক্ষ তত্ত্বজ্ঞান। পরোক্ষ তত্বজ্ঞান অপরোক্ষ ভ্রমের নিবর্তক হয় না। ইছা রজ্জ্ব, এইরূপ প্রত্যক্ষাত্মক তত্বজ্ঞান যতক্ষণ ন হইবে, ততক্ষণ তাহার সর্পভ্রম কিছুতেই বিদূরিত হইবে না, সে রজ্জর সমীপবর্তী হইতে সাহল করিবে না। দিকৃমোহ প্রভৃত্তি স্থলে ৪ এইরূপ দেখিতে পাওয়৷ যায় । অতএব সিদ্ধ হইতেছে যে, প্রত্যক্ষ মিথ্যাজ্ঞান পরোক্ষ তত্বজ্ঞান স্থার নিধুত্ব হইবে না। প্রত্যক্ষ মিথ্যজ্ঞানের নিবৃত্তির জগু ও ত্যক্ষ তত্বজ্ঞানের আবগুক । দেহাদিতে আত্মবুদ্ধি প্রভৃতি সংসারের হেতু । উs KBBBB DDBBB S BBt TBggt DBK KBBBB আত্ম তত্ত্ব জ্ঞান সম্পাদন করিতে হইবে । শাস্ত্র এবং মাচা র্য্যের উপদেশানুসারে যে আত্ম তত্বজ্ঞান হয়, তাছ। পরোগ, প্রত্যক্ষ্মণ গ্লুক নহে৭ এইজন্স শাস্ত্রাধ্যয়নে বা গুরুর উপদেশে আত্ম তত্ত্ব জানিতে পারিলে ও তদ্বারা দেহাদিতে আত্মবুদ্ধির নিবৃত্তি হয় না, আত্মতত্ত্ব-সাগশংকারের অপেক্ষ থাকে । আত্মতত্ত্ব-সাক্ষাৎকারের, নানাবিধ উপায় শাস্ত্রে বিহিত হই য়াছে। শ্রবণ, মননু ও নিদিধ্যাসনই আত্মসাক্ষাৎকারের প্রধান উপায় । শ্রবণ শব্দের অর্থ অদ্বিতীয়ব্রহ্মে বেদান্ত বাক্যের তাৎপর্য্যের অবধারণ । মনন শব্দে যুক্তি - দ্বারা শ্রুতু্যক্ত অর্থের সম্ভাবিতত্বের অনুসন্ধান। অর্থাৎ শ্রুতি যাহ। বলিয়াছেন, তাহ সম্ভবপর, যুক্তি দ্বারা এইরূপ অবধারণ করার নাম মনন । নিদিধ্যাসন অর্থে শাস্ত্রে শ্রত এবং যুক্তি দ্বারা সস্তাবিত বিষয়ের নিরস্তর চিস্ত।। “আয়ু বা অরে। দ্রষ্টব্য: শ্রোতব্যে মন্তব্য: নিদিধ্যা সিতব্যঃ । ( শ্রুতি ) - “শ্রোতব্যঃ শ্রুতিবাক্যেভ্যঃ মন্তব্যশ্চোপপত্তিভিঃ। মহা চ সততং ধোয়: এতে দর্শনহে তব: ॥” (বিজ্ঞানভিক্ষু) এই সকল বিষয় আদরপুৰ্ব্বক অবিচ্ছেদে দীর্ঘকাল অনুষ্ঠিত হইলে আত্মতত্ত্ব-সাক্ষাৎকার হহুয়া থাকে । দীর্ঘকাল শ্রবণাদির অনুশীলন তীব্র বিষয়বৈরাগ্য ভিন্ন হইতে পারে না। নিত্যানিত্যবস্তুবিবেক অর্থাং চহ নিত্যবস্তু, ইহা অনিত্য বস্তু,ইছার সম্যক্ জ্ঞান, ইছামুত্রভোগবিরাগ, অর্থাৎ বৈরাগ্য, শমদমাদিসম্পত্তি ও মুমুক্ষুত্ব এতাদৃশ সাধন চতুষ্টঙ্কসম্পন্ন পুরুষ বন্ধজিজ্ঞাগার অধিকারী বলিয়া কথিত । কিন্তু इंशष्टनम्न भ८ष निङjiनिष्ठादशबिcषक :वब्रांcशाब्र ८इफू ५१९ শমদমাদি বৈরাগ্যের,কাৰ্য্য । সুতরাং বৈরাগ্য মুখ্য সাধনরূপে পরিগণিত হওয়া উচিত । একমাত্র বৈরাগ্যই ব্ৰহ্ম
পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/৪১৭
অবয়ব