পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/৫৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যব [ съ-a ) 馨 যব শূক্ষধান্ত (Barley ) । সংস্কৃত পৰ্য্যায়—সিতশুক, সিতশূত, মেধা, দিব্য, অক্ষত, কঙ্কুকী, ধান্তরাজ, তীক্ষণুক, তুরগপ্রিয়, শজু, মহেষ্ট, পবিত্রধান্ত। “গোভিৰ্যবং ন চকু ঘৎ ॥” (ঋক্ ১২৩ ১৫ ) ব্যথা যবমুদিপ্ত ভূমিং প্রতিবৎসল্পং পুনঃপুনঃ কৃষতি তদ্বৎ।' (সায়ণ ) R ( Hordeum vulgare ) Cyfrs röstet" sty ও গোধূমের মত। কিন্তু আভ্যন্তরিক বীজকোষজ পদার্থে উক্ত শস্যদ্বয় অপেক্ষ অনেকাংশে বিভিন্ন। বহু পুৰ্ব্বকাল হুইতে এই যবের ব্যবহার চলিয়া আসিতেছে। বৈদিক আর্য্যঋষিগণ ধান্ত ও গোধূমের ব্যবহার অবগত হইবার পূৰ্ব্বে যবশস্তের চুর্ণ খাদ্যদ্রব্যরূপে ব্যবহার করিতে শিক্ষা করিয়াছিলেন। ঋকৃসংহিতা ১২৩১৫, ১৬৬৩, ১।১১৭২১ প্রভৃতি মস্ত্রে ধৰেয় উল্লেখ পাওয়া যায় । শেষোক্ত মস্ত্রে লিখিত হইয়াছে যে, “হে অশ্বিন্ধয় । তোমরা আর্য্য মমুষ্যের জন্য লাঙ্গল দ্বারা ( চাষ করাইয়া ), যব বপন করাষ্টয়া, ও অল্পের জন্য বৃষ্টিবৰ্ষণ করিয়া, এবং বজ্ৰদ্ধার দম্যকে বধ করিয়া, তাহার প্রতি বিস্তীর্ণ জ্যোতিপ্রকাশ করিয়াছ।” এতদ্বার। অনুমান হয় যে, আর্য্যগণ সেই প্রাচীনতম যুগে উপভোগের নিমিত্ত ভূমিকৰ্ষণ দ্বারা যবোৎপাদন করিতেন। তদবধি এই ঘবচূর্ণ ( ছাতু ) খাদ্যদ্রব্যরূপে চলিয়া আসিতেছে। বিভিন্ন দেশে যব বিভিন্ন নামে পরিচিত। হিন্দী—যব, জাও, জাওয়া, মুজ ; বাঙ্গাল—যব, জে, জোও ; বেহার— যবখার ; ভোট-নাশ ; লাসা—স্বয়া ; নেপাল—তোষা ; উঃ পঃ প্রদেশ—ঘউ, ইন্দ্রযব, যুর্ক ; পঞ্জাব-থানজতি, নাহ, জব, চক, জে ( ছাই = যবক্ষার বা জবখার ) ; আফগান— যাওতুর্য, যাও ( H. hexastichum–ntsffH) ; দাক্ষিপাতা—ছাতু বা সাতু ; বোম্বাই—যব, সাতু ; মহারাষ্ট্র—যব, সাতু, জব ; গুর্জর—যে, জব, যুগ্ধ ; তামিল—বলি-অরিসি, বালি অরিমু ; তেলণ্ড–পাচ্ছাযব, যৰ, ধান্তভেদম, যবক, যবল, বলি-বিয়ুম ; কণাড়ী—যবেগোড়ী , ব্ৰহ্ম—মুখে ; জারব—-সামাল্লির ; পারস্ত—যাও ; তুর্কি—আপ । পৃথিবীর প্রায় সৰ্ব্বত্রই এই তৃণধান্ত জন্মিয় থাকে। উচ্চ পৰ্ব্বতশিখর হইতে সমতলক্ষেত্রাদিতে এই শস্ত প্রভূত পরিমাণে উৎপন্ন হইতে দেখা যায়। হিমালয় পৰ্ব্বতের ১১ হইতে ১৫ হাজার ফিট উচ্চস্থানে এমন কি, শীতপ্রধান লাপলাণ্ডের ৬৮.৩৮ ডিগ্রী উত্তাপবিশিষ্ট স্থানে, কাস্পীয় সাগরতীরে, আরবের সিনাইপৰ্ব্বতের সাজুদেশে, পার্সিপোলিস নগরীর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে, সিউকোরণ ও বকুর মধ্যবৰ্ত্তী চিৰ্তা ও অবস্থাপিয়ার বিজন মরুদ্বেশে, চীন, মিসর, আইজলও প্রভৃতি शूद्रां* ७ श्रांप्मद्रिकांग्र हारन शरम शरबग्न 5न इग्र । Protechneider এর উপাখ্যান পাঠে জানা যায় যে, চীনসম্রাটু সেন্মুঙ্গের রাজত্ব কালে ( ২৭•• খৃঃ পূঃ) চীনয়াজ্যে যবের 5tz EFE fo safetz ( Theophrastus) ffsn zof: যবের বিষয় অবগত ছিলেন। খৃষ্টধৰ্ম্মগ্রন্থ বাইবেলেও স্থানে স্থানে যবের উল্লেখ দেখা যায়। রাজা সলোমানের রাজ্যকালে ( ১১৫ খৃঃ পূঃ) যব প্রধান আহাৰ্য্য মধ্যে পরিগণিত ছিল। প্রাচীন মিশরীয় কীৰ্ত্তিস্তম্ভসমূহের মধ্যেও (থিওফ্রাষ্টাসের বিদিত ) H. hexastichum শ্রেণীর যবের নিদর্শন আছে। খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৬ষ্ঠ শতাৰে মুদ্রাঙ্কিত ইতালীর দক্ষিণস্থ মেটাপণ্টে নগরীর পদকেও ষড় গুচ্ছ যবচিহ্ন ছিল । এই সমস্ত আলোচনা করিয়া পাশ্চাত্য উদ্ভিদবিদগণ অনুমান করেন যে, প্রাচীনতমযুগে যে বহু যবধান্ত কর্ধিত হইত, তাহ। H. hexastichum a H. distichum C***'& ι φάτιta সময়ে H. vulgare শ্রেণীর যে যব উৎপাদন হইতেছে, তাহ। উক্ত শ্রেণীদ্বয় হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । কোন সময়ে এই শ্রেণীর বীজ ভারতে আনীত হইয়াছিল, তাহার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না । এই বীজ ভারতের উত্তর হইতে আর্য্যগণ কর্তৃক ভারতে আনীত হুইয়া থাকিবে ; তাই আমরা ইন্দ্রকে যবপঙ্ককারী প্রভৃতি প্রশংসাবাক্যে ঋগ্বেদে পূজাৰ্ছ দেখিতে পাই । আর্য্যজাতির অাদরের বস্তু বলিয়া আবহমান কাল হিন্দুর প্রত্যেক ক্রিয়াকৰ্ম্মে ঐ যবের ব্যবস্থার চলিয়া আসিতেছে। বর্তমান কালে এই যব গোধূমবৎ চুর্ণ করিয় তাহাতে রুট প্রস্তুত হইয়া থাকে। তৃষ্ট যবের ছাতু খাদ্যরূপে ব্যবহৃত । বিলাত হইতে টিনকোটায় পুরিয়া যে যুবচুর্ণ ( Powdered Barley ) «fristã sɔ, srej stri fię Ffasi রোগীদিগের পথ্যরূপে ব্যবহৃত হইয়া থাকে । যুরোপের প্রসিদ্ধ রবিনসন কোম্পানীর “বালিপাউডার” সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট জিনিষ । ইংলণ্ডের ভৈষজ্যতত্ত্বে (Pharmacopala of England ) এই যবশস্তের খোসা ছাড়াহয় তাহার প্রমাভ্যস্তরিক শাল হইতে একপ্রকার দল প্রস্তুত করিবার won fifts onto, ex "to itsä” (Pearl Barley qi Hordeum decortecatum ) RTCN qitz 1 až orąoবালি প্রস্তুত সম্বন্ধে Church সাহেব এইরূপ লিথিয়াছেন,— যুরোপীয় এবং প্রধানতঃ ইংলণ্ডের যবশস্তগুলিকে বিভিন্ন ७थकोtद्र श्रब्रिकृठ कब्रिग्रा छिन्न सिग्न cथगैब्र दालिं यञ्चष्ठ छुट्ठग्री থাকে। কঠিন ববের গাত্র আবশুর্কীয় পরিমাণানুসারে মার্জন করিতে যাতায় ( Millstone ) প্রস্তর দুই খানিকে