বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গগুরি প্রায় ত্রিকোণাকৃতি। মুখবিবরের পর খঙ্গের নিম্নে মুখের আয়তন কিছু সরু ও মুখের দুইপাশ্বের মাংস গোলাল। যবদ্বীপবাসীরা এই জাতীয় গাণ্ডারকে "বরক” ও মলয়বাসীরা “বদক” বলিয়া থাকে । ইহারা সাধারণতঃ লম্বে ৯ ফুট ও উচ্চে ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি হইয় থাকে। মুমাত্মাম্বীপের șit stą (R. Sumatrensis) fHRF ১ কুমাত্রীদ্বীপের, ७ चाक्षिकांज़ cयांब्रिणि, ২ কিট্রলোয়, এবং ৪ শ্বেত দ্বিখড়ীর মুখ। বিশিষ্ট । ভারতীয় ও ববদ্বীপের গাণ্ডারের মত ইহাদের ৩৬টী দাত । গাত্ৰচৰ্ম্ম বলীযুক্ত ও পিঙ্গলবর্ণ লোমে আচ্ছদিত। স্কন্ধ ও নিতম্বের উপর স্বল্প ভাঙ্গ দৃষ্ট হয়, অপর সকল স্থানই সরল। মস্তকট অপেক্ষাকৃত লম্বী, চক্ষু দুইটী ছোট ও কটা, উপরের ঠোঁট ছুচাল ও সন্মুখভাগে কিছু ঝোলান। কর্ণদ্বয় ছোট ও সরু, চারিধারে ঝালরের মত ছোট ছোট কাল লোম আছে । সম্মুখের খড়গট পশ্চাদ্ভাগে বক্র, ইহার পর চক্ষুদ্বয়ের নিম্নে চুড়াকৃতি আর একটা ছোট থঙ্গ দেখা বায়। আফ্রিকাদেশীয় গাণ্ডারের (R. Africanus) বর্ণ জরদাভ কপির্শ, মস্তক ও মুখবিবরের পার্শ্বে বেগুণের ছাবক, কুচকিদ্বয়ের বর্ণ কাটা মাংসের মত, চক্ষু কটা, খড়গম্বয় নীল কালশিরার রঙের মত । সম্মুথের খড়গ পশ্চাতের অপেক্ষা কিছু বড় ও ঈষদ বক্র । গলা ও মস্তকের সন্ধিস্থলে গোলাকার খাজ এবং লেজ ও কর্ণের অগ্রভাগে কৃষ্ণধর্ণ লোম আছে। অপরাপর দেশীয় গাণ্ডারের তুলনায় ইহার অলস, ও অল্পমাত্র থাইয়া থাকে, এমন কি দেখা গিয়াছে যে, বছতর গুল্মলতাদি সত্বেও ইহীরা আপন মনোমত দ্রব্য বাছিয়া থায় । ইহাদের কেবলমাত্র ২৮টা চৰ্ব্বণ দন্ত আছে, ছেদনদন্ত আদেী নাই । ইহার লম্বে ১০ ফুট ১১ ইঞ্চি । আফ্রিকাদেশে আরও তিনপ্রকার গাও'র আছে । প্রত্যেক জাতিরই দুইটা করিয়া থভৃগ হয়। ঐ খড়গ ভারত বর্ষীয় গাণ্ডারের খড়গ হইতে বৃহৎ । ইছাদের চৰ্ম্ম সরল ও তাজহীন, এবং দেখিবামাত্র একটা বৃহৎ শূকরকোর বলিয়৷ dदो५ इङ्ग । [ ও৩৪ ] शंख्8ॉन्न দক্ষিণ আফ্রিকার "বেরিলি” গাণ্ডার (R. Boornia) দেখিতে ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। ইহারা অতি চতুর ও দুৰ্দ্ধৰ্ষ, শিকারীরা ইহাদিগকে সিংহের অপেক্ষা স্বভাবতঃ বলশালী ও ভয়ঙ্কর বলিয়। মনে করে। 'কিটুলোরা” (R Keition) জাতীর গাওtয় সৰ্ব্বাপেক্ষা ভয়ানক ও বলিষ্ঠ । ইহাদের খড়গ দুইটই সমান, সন্মুখেরট পশ্চাতে হেলান ও পশ্চাতেরটী সম্মুখের দিকে বেঁকান । ইহাদের গাত্রবর্ণ জরদ ও পিঙ্গলমিশ্রিত ফ্যাকাশে রঙের । উপরের ঠোঁটের অগ্রতাগ ছ’চাল ও কিছু ঝুলান । ঠোঁট ছুচাল বলিয়া ইহার ছোট লতা গুল্ম ও বৃক্ষাদির কচি কচি পাতা বাছিয়া খাইতে পারে। অন্যান্ত গাওরের অপেক্ষা ইহাদের ঘাড় বেশী লম্বা। জঙ্ঘার ভিতরদিকে কাল কাল দাগ, নাসিকার উপর এবং চক্ষুর চারিপাশ্বে ছোট ছোট গৰ্ত্ত আছে। ইহাদের স্রাণেক্রিয় অতিশয় স্বল্প। এমন কি ক্রোশাধিক দূর হইতেও ইহার স্ত্রাণদ্বারা শত্রুর আগমন জানিতে পারে । এই জন্ত গাণ্ডার আক্রমণকালে শিকারাদিগকে বায়ুর গতির বিপরীতদিকে গমন করিতে হয়। শক্রকে নিকটবৰ্ত্তী দেখিয়া ইহার পলায়ন করে না । বরং তাছাকে বিনাশ না করিয়া ক্ষান্ত হয় না । ইহাদের চক্ষু অতি ক্ষুদ্র এবং স্থূলকায় প্রযুক্ত দ্রুতগমনকালে হঠাৎ পার্শ্বে দেথিতে পায় না । এই গাও'র দ্বারা আক্রান্ত হইলে হঠাৎ একপাশ্বে ফিরিয়া ঐ গাণ্ডার ফিরিবার পূৰ্ব্বেই তাহাকে গুলিদ্বারা আঘাত করা যুক্তিসিদ্ধ। ইহার লম্বে ১১ ফুট ; ইঞ্চি ও উচ্চে ৫ ফুট হইয়া থাকে। শ্বেত খড়গী (R, Simus) দেখিতে কতকটা জরদমিশ্রিত ধুসর ও পিঙ্গল। কাণ ও লেজের গোড়ায় কাল কাল শক্ত চুল আছে। মুখ কতকটা গোরুর মত। নাসিকার উপর দুটা খড়গ, অগ্রভাগের খড়গপশ্চাতের অপেক্ষা চার গুণ বড় । চক্ষু জরদাভ পিঙ্গল, শরীর লম্বে ১২ ফুট ১ ইঞ্চি ও স্কন্ধ পৰ্য্যন্ত উচ্চতায় ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি । আফ্রিকাদেশীয় গাণ্ডারের মধ্যে এই জাতিই সৰ্ব্বাপেক্ষ বৃহৎ । ইহার অতিশয় নিরীহ, কেবলমাত্র ঘাস খাইয়া জীবন ধারণ কয়ে। যে স্থানে প্রচুর পরিমাণে ঘাস জন্মে, ইহার সেই স্থানে থাকিতে ভালবাসে। মধ্য আফ্রিকার বেচুয়ানা জাতি ইহাদিগকে “মোহুহ” বলে। তাহদের মধ্যে প্রবাদ এইরূপ যে, মোচুহুই ভাহীদের দেশের আদি জীব এবং তাহাঁদের পুৰ্ব্বপুরুষগণের সস্থিত এক গুহা হইতে বহির্গত হইয়া জালিয়াছে। এতদ্ব্যতীত ইহাদের উৎপত্তি সম্বন্ধে কিটুলোয় হইতে প্রভেদও দেখাইয়া থাকে। এসিয়ার দ্বিখড়ী গাণ্ডারের খড়গ সহজে পাওয়া