অভিষাহ। অভীষাহত্রি অভি-সহ-ঞ্জি স্বাবে চি-গিব . শত্রুঞ্জয় কারী। সহনকারী । [অভিমতিষাহ দেখ । অভিক্তি (ত্রি ) অভিষিচ্যতে স্ম অভি-সিচ ব্রু। বিধি পূর্বক স্নাপিত। প্রতিমা প্রতিষ্ঠার, রাজার রাজ্যভার পাষ্টবার সময়ে ইত্যাদি শুভকার্য্যে তীৰ্থজলাদি দ্বার। বিধিপূৰ্ব্বক স্নাপিত। স্নাত। অভিযুত (ত্রি) অভিযুয়তে স্ম অভি মৃত্ত। নিপীড়িত। কৃতাভিষব সোমাদি । যে সোম দ্বারা যজ্ঞ করা হইয়াছে। ( কী ) কাঞ্জিক। কঁাজি । অামানি । t অভিষেক (পুং ) অভিষেচনং অভি সিচ ভাবে ঘঞ । যথাবিপানে শান্তিয় নিমিত্ত সেচন । অধিকার প্রাপ্তির নিমিত্ত স্নান । স্নান। মস্থাদি দ্বারা মস্তকে জলসেক পূর্বক মার্জন । কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মেব শেষে শান্তি স্নান । যেমন, বিজয় দশমীর দিন শান্তিজল গ্রহণ । পুরশ্চরণের অন্তর্গত মন্থদ্বার মস্তকে জলও ক্ষে পরপ তৃতীয় কাৰ্য্য , ইষ্টমন্ত্র গ্রহণের সময়ে দশ প্রকার সংস্কারের মধ্যে পঞ্চম সংস্কার বিশেষ। যথা গৌতমীয়ে, জননং জীবন পশ্চাত্তাড়নং বোধনং তথা। তথাভিষেকে বিমলীকরণ প্যায়নে পুনঃ। তপণং দীপনং গুপ্তির্দশেতা মন্ত্রসংস্কিয়াঃ । জনন, জীবণ, তাড়ন, বোধন, অভিষেক,বিমলীকরণ, অপায়ন, তপণ, দীপন, গোপন, মস্ত্রের এই দশ প্রকার সংস্কার। মন্ত্রভিষেকের প্রণালী এই রূপ লিখিত আছে—স্বৰ্ণ কিম্ব। তামুদি পাত্রের উপরে প্রথমে স্বর ব্যঞ্জন ভেদে মন্ত্র গুলি কুকুমাদি দ্বারা লিখিবে পরে তাহার উপরে তালপত্রাদি রাখয় তাহাতে কুন্তু মাদি দ্বারা সারি সারি করিয়া মন্ত্র লিখিবে । শেষে,-অমুক বর্ণমভিবিঞ্চামি নমঃ’ ।--এই মন্ত্র শত বার কিম্বা বিশ বার অথবা আট ব্যর উচ্চারণ করিয়া কুঙ্কুম লিখিত মস্ত্রের প্রত্যেক বৰ্গকে অশ্বথ পল্লব দ্বারা অভিষেক কারবে । শক্তি মন্ত্রে দীক্ষা করিতে হইলে মধু দিয়া অভিষেক করতে হয়। বিষ্ণু মস্ত্রে কপূরযুক্ত জল প্রশস্ত। শিব মন্ত্রে ত্বত কিম্বা দুগ্ধ দেওয়! চাই । بابه শিবলিঙ্গ দি প্রতিষ্ঠা এবং দোলযাত্রাদি উৎসবেও অভিষেকের পদ্ধতি আছে। কিন্তু সকল ক্রিয়ার অভিষেকের দ্রব্য সমান নহে। দোলযাত্রার অভিষেক দ্রব্য এই গুলি,—শীতল জল, গোময়, গোমুত্র, দুগ্ধ, দধি, ঘৃত, কুশের জল, পথের জল, চৰ্ম্মনের জল, কুঙ্কুলের জল, ফলের জল, ফুলের জল, চন্দন এবং আমলকী একত্র বাটয় তাহার গ্রলেপন, এবং মুগান্ধ জল । এই সকল দ্রব্য দ্বার আট বার স্নান করাইবে। তাছার মধ্যে দ্বিতীয় বার স্নানের সময়ে অভিষেক দ্রব্যের সঙ্গে দুগ্ধ মিশাইবে। পঞ্চমবারের সময়ে ধৃত এবং আধুম বারের সময়ে তাহাতে মধু সংযোগ করা অবিস্তক । শৰে অন্যান্য ত্রব্যের সঙ্গে গন্ধোদক, তীৰ্থজল, গঙ্গাজল, বন্ধীক eল, সৰ্ব্বৌষধি জল, সহস্রধারা জল, ঘটের জল এই সকল ত্রব্য দিয়া অভিষেক করিবে । দুর্গাপূজার অভিষেকে এই সকল দ্রব্য গুলি ব্যবহৃত আছে,— আমলকী ধtটার সঙ্গে হরিয়া মিশ্রিত প্রলেপন, শুদ্ধ জল, শখের জল, গঙ্গাজল, গন্ধোদক, পঞ্চগব্য, কুশের জল, পঞ্চামৃত, শিশিরের জল, মধু, ফুলের জল, ইক্ষুরস সাগরের জল, সৰ্ব্বৌষধি মহৌষধি জল, পঞ্চকষায় জল, অষ্ট মৃত্তিকা, ফলের জল, উষ্ণ জল, সহস্রধার। জল, বৃষ্টি মশাকিনী সরস্বতী-সাগর-পদ্মবেলুমিশ্রিত-নিঝ র-সৰ্ব্বতীর্থ শুদ্ধজল, এই আট প্রকার জলপূর্ণ অঃ কলসী। এই আট প্রকার কলসার জলে স্বাণ করাইবার সময়ে আট প্রকার বাদ্য বাঞ্জাইবার ও রাগালাপ করিবার বিধি আছে। বৃহন্নন্দিকেশ্বর, দেবীপুরাণ এবং কালিকাপুরাণে ভিন্ন ভন্ন বাদ্য ও রাগরাগিণীর নাম দেখা যায়। বৃহন্নৰ্ম্মিকেশ্বরের মতে এই সকল রাগ রাগিণীতে গান করা চাই— ১ মালসী, ২ দেবকী, ৩ লায়াড়ী, ৪ দেশাল, ও ধামুখী, ৬ ভৈরবী, ৭ গুজ্জরী, ৮ বসন্ত । দেবীপুরাণের মতে,-১ বারাড়ী, ২ মালবগৌড়, ৩ মালব, ৪ দেশলৈ, ৫ মালসী, ৬ ভৈরবী, বসন্ত, ৮ কোড়া। কালিকাপুরাণ মতে,—১ মালব, ২ ললিত, ৩ বিড়াবা, 8 ভৈরবী, ৫ কোড়, ৬ বারাড়ী, ৭ বসন্ত, ৮ ধাতুম্বী। বাদ্যের বিবয়ে এই রূপ লিখিত আছে। বৃহন্মদিকেশ্বর মতে,-- ১ মঙ্গলোৎসব, ২ ভুবনবিজয়, ৩ বিজয়, ৪ রাজাভিষেক, ও মধুরী, ৬ করতাল, বংশী, • পঞ্চশব্দ। দেবীপুরাণ মতে,--১ ইন্দ্রবিজয় ২ মঙ্গলবিজয়, ৩ দেবোৎসব, ৪ ঘনতাল, ৫ মধুক৪, ৬ ঢঙ্কা, ৭ শখ, ৮ মৃদঙ্গ। কালিকাপুরণ মতে,– বিজয়,২ দুলুঙি, দুলুভি, বংশী, • ইন্দ্রাভিবেক, ৬ শঙ্খ, ৭ পঞ্চশব্দ, ৮ বিজয় । রাঙ্গাভিষেকের নিমিও এই কয়েকটা দ্রব্য কথিত হইয়াছে,— মৃগbশ্বাস্তাণ অলঙ্কৃত স্বর্ণভদ্রাসন, গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গম স্থানের জল, সমস্ত পুণ্যনদার জল, পুর্ব মুখ নদীর জল, পশ্চিম মুখ নদীর জল, তিযামুখ নদীর জল, সকল সমুদ্রের জল, ক্ষরিবৃক্ষ প্রবাল পদ্ম নীল পদ্ম প্রভৃতি মিশ্রিত কাঞ্চন কুস্তপূর্ণ জল, কুচক, রোচনা, ঘৃত, মধু, দুগ্ধ, দধি, পুণ্যতাৰ্থ মৃত্তিকা, পুণ্যতাৰ্থ জল, মঙ্গলপ্রবা, মণিদণ্ডযুক্ত শ্বেতচামরব্যঞ্জন, মালভূষিত খেতচ্ছত্র, খেতবৃষ, শ্বেতাম্ব, বৃহৎ হস্তী, উত্তম অলঙ্কারভু যত অঃ কন্যা,সকল প্রকায় বাদ্য, মসজ্জিত বঙ্গা। অভিষেকের পুর্ব দিনে গণেশ ও মাতৃকাদের পূজা করিয়া নালী কাৰ্য্য সম্পন্ন করিবে । রাজা এবং রাণ উপবাস করিয়া থাকিধেম । পর দিনে পুরোহিত, অমাতা এবং সামগুদিগকে লইয়। স্নানাদির পরে মণি কাঞ্চন পৃথিবী পুষ্প প্রভৃতি স্পর্শ করা হইলে স্থাজ ও রাণীকে ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম আচ্ছাদিত আসনে বসাইযেন । তাহার পর অগ্নিস্থাপন কারয়া পলাশাদি সমিং স্বারা যুতের আস্থাত দিবেন। শেষে ঋত্বিগগণ, অমাত্য প্রভৃতি সকলকে লহয়। অঃ কন্যা পরিবৃত্ত রামীসহ রাজাকে অভিষেক করিকেন । অভিযেক করা হইলে সকলে রাজা ও রাণীর কপালে কুকুম অগুরু করেী প্রভৃতির তিলক দিবেন। অভিষেক্ত (ত্রি) অভিঞ্চিত অভিষিচন্থচ, অভিষেক কৰ্ত্ত (স্ত্রা) উীপ অভিষেক্তা। অভিষেক্য (ত্রি) অভিবেক মর্হ্যম্ অভিলিচ-গ্যুৎ কুম্।
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৪৮৭
অবয়ব