অরদবি। ঘউরৰিব)। ইনিশাজোনের इचैोइ} পুত্র এবং জাহাঙ্গিরেয় পৌত্র। ইহঁার মাতার নাম মুলতান কুশিয়। মুসলমানী ১১ জেষ্কদ মাসে ১০২৮ ছিক্তিরাজ (১৬১৮ খৃঃ অন্ধে অক্টোবর মাসে ) অরঙ্গজিবের জন্ম হয়। র্তাহার প্রথম নাম মহ্মেত। বাল্যকালেই তিনি অসাধারণ বীরত্ব প্রকাশ করেন, তাই শাজেস্থান আদৱ করিয়া তাহাকে আউরঙ্গজিব অর্থাৎ সিংহাসনের আভরণ এই নাম দিয়াছিলেন । এতদ্ভিন্ন তিনি নিজে “আল-থাকা এই উপাধিও গ্রহণ করেন। আরও দুইটী নাম আছে। অরঙ্গজিব সে ছুইটী নামেও জনসমাজে প্রসিদ্ধ। একটী নাম মহীদিন অর্থাৎ ধৰ্ম্মের উদ্ধারকত্ব। আর একটা নাম আলমগীর অর্থাৎ বিশ্ববিজয়ী। ইনি ১৬৫৮ খৃঃ অন্ধে রাজা হন। ছেচল্লিশ বৎসর রাজত্বের পর প্রায় ৮৯ বৎসর বয়ঃক্রমে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৭৭৭ খৃঃ অব্দে ইহলোক পরিত্যাগ করেন। যে অরঙ্গজিবের নাম শুনিলে এখনও মুসলমানদের মহাপ্রাণী কঁাপিয় উঠে, হিন্দুদের চক্ষে কলধারা বহিতে থাকে ; আজি একশত সাতাত্তর বৎসর হইল তাহার নিম্পন প্রেতশরীর ইলোরার অধিত্যকায় ঘুমাইয়া আছে। শাজেছানের দুশ্চরিত্রের নিমিত্ত সাত বৎসর বয়সের সময়ে তিনি, স্বীয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দারা ও श्छा ५द१ कनिष्ठे जांउ भूत्वान ॐाशटलद्र श्रिडांभइ জাহাঙ্গিরের কাছে আবদ্ধ ছিলেন। শাজেহান পুনৰ্ব্বার পিতার প্রতি অসদ্ব্যবহার করিলে ইহঁাদের জীবন য়ক্ষা পাওয়া কঠিন হইত। জাহাঙ্গিরের মৃত্যুর পর দশ বৎসর বয়ঃক্রমে আরঙ্গজিব পিতার কাছে আগরায় ফিরিয়া আসেন। | ১৬৩৩ খৃঃ অঙ্গে ধোদেলার রাজা জগৎসিংহের সঙ্গে শাজেহানের বিরোধ ঘটে। সে সময়ে অরঙ্গজিবের বয়ঃক্রম চৌদ্ধ বৎসরের অধিক নয়। যে শোণিতপিপাসার তিনি চিরকাল ক্ষুধার্ত সিংহের স্তায় ঘূৰিয়া বেড়াইয়াছিলেন, আপনার ভ্রাতৃগণকেও অব্যাহতি দেন নাই, এই খানে সেই দারুণ পশুবৃত্তির সূত্র পাত। আরঙ্গজিব, মালবের সুবা নসেরিতের সঙ্গে বোজেলায় গেলেম । একাদিক্ৰমে দুই বৎসর যুদ্ধ হইল। , জগৎসিংহ দেখিলেন আর রক্ষা নাই, দিন দিন সমস্ত গৈড় ক্ষয় হইয়া পড়িতেছে। অবশেষে তিনি অশ্বারোহণে কয়েক জন অম্বুচরের সঙ্গে নৰ্ম্মদ পারে একটা বনের [488 J अञ्चलजिव -ഈ অশ্বগৃষ্ঠে তাহারা অনেক দূর জাসিয়াছিলেন ; . আছার নাই, নিত্রী নাই। তাই গাছে ঘোড়া বাধিয়া সকলে খুলার উপরেই গুইলেন। নিদ্ৰা আসিল । সেই । বনের চারিদিকে অসভ্য লোকেৰু ৰাস । তাহার কুটীরে থাকে, মৃগয়া করিয়া বেড়ায় ; পশুচৰ্ম্ম পরে, বনের ফল মূল ও মদ্য মাংস খায়,—তাহাদের রাজভোগ, রাজৈশ্বৰ্য্য মাই। বনের ভিতরে ঘোড়ার ডাক শুনিয়া সকলে দেখিতে আসিল । আসিয়া দেখে, গাছে কয়েকটা ঘোড়া বাধা, তাহাদের পিঠে বহুমূল্য সোণা রূপার সাজ। মাটীতেও কয়েক জন সুপুরুষ গুইয়া ঘুমাইতেছেন। তাহাদেরও সৰ্ব্বাঙ্গ মণিমাণিক্যে ভূষিত। নীচলোকের নীচপ্রবৃত্তি,—মনে লোভ আসিয়া জুটিল। লোভেই পাপ ; তাহার নিদ্রাবস্থাতেই জগৎসিংহ ও তাহার অনুচরদিগকে বিনষ্ট করিল। কিন্তু পাপের ধন ভোগে আসিল না । অরঙ্গজিব এবং মসেরিত গিয়া সেই দমু্যদিগকে বধ করিলেন । জগৎসিংহের ভাণ্ডারে সোণা রূপ হীরা মুক্তার ত্রিশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ছিল। অরঙ্গজিব সেই সম্পত্তি লইয়। গিয়া পিতার পাদপদ্মে ধরিয়া দিলেন । জগতে বিজয়-ডঙ্কা বাজিল। অরঙ্গজিব যুদ্ধে পদাপণ করিলেই সৌভাগ্যলক্ষ্মী আগে আগে পতাক। ধরিয়া চলিতেন। উজবেক এবং পারস্তেরা সে সময়ের প্রসিদ্ধ রণপণ্ডিত জাতি। অরঙ্গজিব তাহাদিগকে ংগ্রামে পরাস্ত করিলেন। পুত্রের অসাধারণ সাহস ও রণনৈপুণ্য দেখিয়া শাজেহানের আলাদের সীমা থাকিল না। কিন্তু দারা জ্যেষ্ঠ পুত্র। জ্যেষ্ঠ পুত্রই রাজ্যের অধিকারী। অতএব সম্রাট দারাকে অতিক্রম করিয়া অন্তকে রাজপদে অভিষিক্ত করিতে পারিবেন না, অরঙ্গজিব তাহা মনে মনে জানিতেন। তদ্ভিন্ন দারার প্রতিও তাহার আন্তরিক স্নেহ ছিল । সে কারণ অরঙ্গজিব এই স্থির করিলেন যে, বিশেষ কৌশল না করিলে তাহার ভাগ্যে রাজসিংহাসন ঘটিয়া উঠা ফুষ্কর। তাই বাল্যকাল হইতে তিনি কপট ধাৰ্ম্মিক সাজিয়া থাকিতেন। কিন্তু দারার প্রতি তাছার विाइस मिन बि दांज्जिहउ शाशिल । निश्कtछे থাকিলে চক্ষুশূল হয়, তজষ্ঠ সামান্ত একটা ছল পাইয়া পিতার অনুমতিক্রমে তিনি দাক্ষিণাত্য প্রদেশের শাশনকর্তী হইয়া গেলেন । এই খানে গোলকদার রাজার সেনানায়ক মিছা আপনার প্রস্তুকে পত্যিাগ ,
পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৫৪৮
অবয়ব