শিবাঞ্জি ছইল। ঐ সুযোগে শিবাজি ও শম্ভাজি এক একটী পেটিকায় প্রবেশ করিলেন । দুই জন বলশালী মাবল উহা মস্তকে করিয়৷ প্তাহাদিগকে নগর প্রাচীর বাহিরে ধীরে ধীরে লইয়া চলিল । এখানে একটা নিস্তৃত স্থানে তাহারা সপুত্র শিবাজিকে পেটিক-মুক্ত করিল। তাছার এক কুম্ভকার গৃষ্ঠে পূৰ্ব্বপ্রেরিত কৰ্ম্মচারীর সভি মিলিত হইয়া মথুরাভিমুখে ছদ্মবেশে গমন করিতে লাগিলেন । এদিকে শিবাজির পলায়নের পর, হীরাজি ফৰ্বদ তাহার পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া পালঙ্কে শয়ান রছিলেন । সমস্ত রাত্রি অতিবাহিত হইয়া গেল । পরদিন দিৰা তৃতীয় প্রহর পর্য্যন্ত হীরাজি সেই ভাবেই মুখাৰ্বত অবস্থায় আছেন, একজন বালক তাহার গাত্রে হস্ত বুলাইতেছে। কাহারও কোন সন্দেহ নাই । তৃতীয় প্রহর অতীত হইলে হীরাজি স্বীয় পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া বাহিরে আসিলেন। প্রহরীগণ সাগ্রহে শিবাজির সুস্থ তার কথা জিজ্ঞাসা করিল, উত্তরে মীরাণী বললেন যে র্তাহার একটু একটু তন্ত্র আসিয়াছে, সেই অবকাশে তিনি একটা ঔষধের মূল সংগ্রহে যাইতেছেন, কেহ যেন ঘরে প্রবেশ করিয়া অথবা চীংকার করিয়া রাঙ্গার ঘুম না ভাঙ্গায়, এইরূপ আদেশ করিয়া তিনিও কারা ভৰনের বাহিরে আসিলেন এবং রামসিংহকে সমস্ত বলিয়া স্বদেশীতিমুখে যাত্র ফরিলেন। সেই রাত্রি এইরূপ নিঃসন্দেহেই অতিবাহিত হইল । পরদিন ৮৯টা বাজিয়া গেল, শিবাজির কক্ষে কোন শৰ নাই। প্রহরীগণ সন্দিগ্ধ হইয় গৃহদ্বারে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া দেখে যে গৃহে কেহ নাই। সমস্ত শূন্ত পড়িয়া রহিয়াছে । পোলাদ থ। শিবাজির পলায়নসংবাদে ভীত হইয়া সম্রাটুকে তৎক্ষণাৎ বিজ্ঞাপিত করিলেন। এ ঘটনা তাহার নিকট স্বপ্লবৎ বোধ হইতে লাগল। হস্তগত শত্রু পলাতক দেখিয় তাহার ক্রোধ দ্বিগুণ হইয়া উঠিল । তিনি পোলাদ খ ও গুপ্তচর বিভাগের অধ্যক্ষ তারবৎ খাকে পদচ্যুত করিলেন। রামসিংহের দরবার আসা বন্ধ হইল। শিবাজির পলায়নের পর যে সকল মহারাষ্ট্ৰীগণ ধরা পড়িল, তাহারা বিশেষ নির্ণয়তার সহিত নিপীড়িত হইতে লাগিলেন। সম্রাটের কোপবহ্নিতে তাহার বিশেষ ভাৰেই দ্বন্ধ হইয়াছিল। যাহা হউক, নিষ্কণ্টকে শিবাজি মথুরায় মোরোপন্ত পেশবের খালক মথুরাপ্রবাসী কৃষ্ণপিন্থের গৃহে জাসিয়া সকল কথা ৰাক্ত করিলেন। কৃঞ্চাঙ্গী শম্ভাজির রক্ষাভার গ্রহণ করিলেন এবং তাছাকে নিরাপদে রায়গড়ে পৌছাইয়া দিতে স্বীকৃত হইলেন । এদিকে শিবাজি, नैौग्नाछि नक्ष, ज्ञखेछि °ख gr۴ .۴۹ s۹۹۹ করিয়া গৈরিকবলন = نقق} at۹۹ چ XX [ 8१७ ] শিবাঞ্জি , ও রুদ্রাক্ষধারণপূর্বক সন্ন্যাসীর বেশে প্রয়াগধামে ধারা করিলেন। এখানে ত্রিবেণীতে স্নান করিয়া তাহারা পুণ্যময় বারাণসী পুরীতে আগমন করেন। বিশ্বেশ্বৱাদি দেবমূৰ্ত্তি দর্শন ও গঙ্গাস্নান করিয়া তিনি বিষ্ণুপাদপদ্মে পিণ্ডদানার্থ গয়াধামে আসিলেন। পরে এখান হইতে বঙ্গদেশে গঙ্গাসাগর-সঙ্গম BBBB BDDL DD B BBBB DD S DDDD gBB BBD ७ सृथtनभएछ *iांन cष्ठांछन न पंरिकॉन्न ऊँॉक्षाँग्न श्रृंश्लोव्र निङtत्यु অবসর হইয় পড়ে। এই কারণে তিনি কিছুকাল বিশ্রাম করিয়া এখান হইতে পুরুষোত্তমধামে আসিয়া শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথ মুক্তি দর্শন করিয়া গোণ্ডবনার মধ্য দিয়া ভাগানগর ( বর্তমান হায়দরাবাদ ) অতিক্রমপুৰ্ব্বক মহারাষ্ট্র রাজ্যে উপনীত হন। মহারাষ্ট্র দিয়া গমনকালে শিবাজি একদিন মধ্যাহ সময়ে এক দরিদ্রের বাটতে অতিথি ছন । গৃহস্বামিনী বৃন্দ । তিনি সন্ন্যাসীরূপী মহারাষ্ট্রনেতাগণের যথাবিচিত সৎকার করিয়া গমনকালে শিবাজিকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, বাব ! আমরা দরিদ্র, ইহার উপর কিছুদিন পূৰ্ব্বে সৈন্তগণের উৎপীড়নে সৰ্ব্বস্বাস্তু হইয়াছি। সুতরাং এ অবস্থায় অতিথিসেবা অসম্ভব, তজন্ত আপনার ক্রট মার্জনা করিবেন। শিবাজি লৈষ্ঠের উপদ্রবের কথা শুনিয়া বলিলেন, “ককার সৈন্ত ?” তখন বৃদ্ধ উত্তর করিল, মহারাজ না থাকাতে, মহারাজের নিয়ম পদদলিত করিয়া ভৈলঙ্গরাও পরিচালিত মরাঠা-সৈন্ত আমদিগকে অযথা পীড়ন করিয়াছে । এই ঘটনা শিবাজিকে বিশেষ আলোড়িত করিল । তিনি গমনকালে বৃদ্ধার নাম ধাম লইয়া গেলেন। বলা বাহুল্য, তিনি রায়গড়ে উপনীত হইয়াই বুদ্ধার ভরণপোষণার্থ বহু অর্থ প্রেরণ করেন । নান। ক্লেশ ও বিপজ্জাল অতিক্রম করিয়া ও নানাস্থানের আচার-ব্যবহার অবগত হইয়া শিবাজি নীরজি পন্ত দত্তাজি পস্ত ও রাঘবজি মরাঠার সহিত ১৫৮৮ শকে ( ১৬৬৬ খৃঃ ) পরাভব সম্বৎসরে অগ্রহায়ণ মাসে কৃষ্ণপক্ষে দশমী তিথিতে রায়গড়ের ভারদেশে উপনীত হইলেন। তিনি আসিয়াই মাতা জিজাবাইর চরণে প্ৰণাম করেন। জিজাবাই প্রথমে সন্ন্যাসীর আচরণে বাক্শক্তি ইনের স্তায় দণ্ডায়মান রছিলেন, পরে পরিচয় পাইয়া আনন্দসলিলে নিমগ্ন হইলেন। - নাগড়ে আসিয়াই শিবাজি তাহদের নিৰ্ব্বিয়ে পৌঁছান সংবাদ মথুরায় কৃষ্ণাজি পস্তকে প্রেরণ করিলেন। তখন কৃঞ্চঞ্জি অপর ভ্রাতৃদ্বয় ও স্ত্রীর সহিত বালক শম্ভাঙ্গিকে গোপনে লইয় শিবাজি সকাশে উপস্থিত হন। মহারাজ শিবা জ এই কার্যের as রুফজিকে “বিশ্বাসরাও” উপাধি, লক্ষ স্বর্ণমুদ্র ও ৰাধিক দশ হাজার টাকা আয়ের সম্পত্তি দান করেন এবং তাছায়া সকলেই XY8
পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৪৫৫
অবয়ব