পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৫৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. শেরশাহ এখানে একটী দুর্গনিৰ্ম্মাণ করান। র্তাহার পুত্র সেলিম শাহের নামানুসারে দুর্গ ও নগরের নামকরণ হয়। মুসলমান ঐতিহাসিকগণ এই স্থানকে “শেরপুর মুরুচা’ বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। এই স্থান তৎকালে মোগল রাজ্যের সীমান্ত দুর্গ বলিয়া পরিগণিত ছিল। মোগল সেনাপতি রাজা মানসিংহ এখানে একট প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। প্রবাদ, তিনি ঐ প্রাসাদে থাকিয় বঙ্গেশ্বর রাজা প্রতাপাদিত্যের বিরুদ্ধে সেনাচালনার বন্দোবস্ত করেন । ঢাকায় মুসলমান শাসনাধিকার প্রতিষ্ঠিত হইলে শেরপুরের एंो५g cछ|° इम्न । শেরপুর, বাঙ্গালার ময়মনসিংহ জেলান্থ একটা নগর । শীরীনদী হইতে ১ পোয় ও মীরঘ নদী হইতে অৰ্দ্ধক্রোশ দূরে, উক্ত নদীজ্বয়ের মধ্যবৰ্ত্তিদেশভাগে ইহা স্থাপিত। অক্ষা” ২৫° ৩ ৫৮%উঃ এবং দ্রাঘি’ ৯৪° ৩ ৬% পুং। এখানে নৌকাযোগে পাট, সরিষা ও চাউল প্রভৃতির বিস্তৃত কারবার আছে। স্থানীয় একজন জমি দারের উদ্যোগে এখানে বহুদিন হইতে চারুবার্তা নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা মুদ্রিত হইতেছে। শেরপুর, বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর খাদেশ জেলার অন্তর্গত একটা উপবিভাগ ও নগর। ১৩৭০ খৃষ্টাব্দে দিল্লীয় সম্রাট, ফিরোজ তোগলক খাদেশ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মালিক রাজাকে এই উপবিভাগ জায়গীর স্বরূপ প্রদান করেন। ১৭৮৫ খৃষ্টাৰো ইহা হোলকর রাজ্যের সীমাভুক্ত এবং ১৮১৮ খৃষ্টাব্দে ইহা হোলকর কর্তৃক ইংরাজকরে প্রদত্ত হয়। শেরপুর নগর অক্ষা” ২১* ২১ উঃ এবং দ্রাঘি” ৭৪° ৫৭ পূৰ্ব্বে অবস্থিত। ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে এই নগর বদ্যাপ্লাবিত হয় । শেরভ[ক] (পুং ) , আশ্ৰিতের মুখদাতা। ২ শরভের হায় হিংসাকারী রাক্ষসাধিপতি। “হে শেরম্ভক স্বাশ্রিতানাং মুখস্ত প্রাপক। শরভবৎ সৰ্ব্বেষাং হিংসকে বা শেরভঃ ধাতুধানাধিপতিঃ । অসে গ্রামণী; প্রধানভূতো যন্ত তৎ সচিবাদেঃ শেরভকঃ । ‘স এষাং গ্রামণী’ ইত কন্‌ প্রত্যয় ।” (অথৰ্ব্ব ২২৪১ সায়ণ) শেরশাহ, পূরবংশীয় একজন মুসলমান যোদ্ধা। ইহার প্রকৃত নাম ফরিদ। ই হার পিতা হসন পেশাবরের অন্তর্গত রোহনিবাসী ছিলেন । তিনি জৌনপুরের শাসনকৰ্ত্ত জমাল খার অধীনে ৫•• অশ্বারোহী সেন রক্ষা করিতেন। ঐ কাৰ্য্যের জন্ত জমাল খাঁ। তাছাকে সাসেরাম ও তাও প্রদেশ জায়গীর স্বরূপ প্রদান করেন। পঞ্জাবের অন্তর্গত হিস্সার নগরে শের শাহের छला श्ब्र, ®हे संश डिनि हिणाब्रनिबाणैौ रुशिम्न छेद्ध झ्हेंग्रांप्छ्म । ফরিদ বাল্যকালে কিছুদিন বেহারের শাসনকর্তা মহম্মদ লোহানীর সেনাবিভাগে কৰ্ম্ম করেন। ঐ সময়ে তিনি একদিন স্বীয় শেরশাহ ভুজবলে একটা ব্যাঘ্রকে (মতান্তরে সিংহকে ) তরবারি দ্বারা দ্বিখণ্ডিত করার স্বীয় প্রতিপালকের নিকট হইতে শের ধ। উপাধি প্রাপ্ত হন। মোগল বাদশাহ হুমায়ুন শাছ যখন বেহার আক্রমণ করেন (১৫৩৯ খৃঃ ২৬এ জুন) শের র্থ তখন তাহাকে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়াছিলেন। অতঃপর শের খা, সম্রাটের পশ্চাদ্ধাবিত হইয়া ১৫৪৯ খৃষ্টাব্দে ১৭ই মে, কনৌজ রণক্ষেত্রে তাছাকে সসৈন্তে পরাভূত করিলে, মোগলপতি উপায়ান্তর না দেখিয়া ক্রমাগত উত্তরপশ্চিম ভারতাভিমুথে অগ্রসর হন। ঐ সময়ে শের খাও সদলে তাহার পশ্চাদমুসরণ করিয়া আগ্রা হইতে লাহোর ও খুসাব যাত্রা করেন। হুমায়ুন শাহ এই সময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়। খুসাব, পরিত্যাগ করিয়া সিন্ধুনদ অতিক্রমপুৰ্ব্বক ভারতরাজ্য ত্যাগ করিতে বাধ্য হন । শের থ"। এই বিজয়ে উল্লসিত হইয়া মোগলের পরিত্যক্ত দিল্লী সিংহাসন অধিকার করিয়া বসিলেন । ১৫৪২ খৃষ্টাব্দের ২৫এ জানুয়ারী তিনি শেরশাহ নাম ধারণ করিয়া ভারতসাম্রাজ্যের অধীশ্বর হন। তাহার রাজ্যাধিকার হইতেই ভারতে পূৰ্ববংশের প্রতিষ্ঠা ঘটে। [ ভারতবর্ষ শৰে শূর রাজবংশ দেখ। ] র্তাহার রাজ্যকালের পঞ্চম বর্ষে তিনি সদলে কালঞ্জর দুর্গ অধিকারে অগ্রসর হন। তৎকালে ঐ দুর্গ ভারতের যাবতীয় ফুর্গের মধ্যে অজেয় বলিয়া পরিগণিত ছিল। দুর্গাক্রমণের সময়ে তাহার সেনাদল দুর্গপ্রাচীর ভগ্ন করিবার জন্য ভীষণ অস্ত্রসমূহ লইয়া দুর্গ সমীপে প্রতিষ্ঠা করেন। শের খার আদেশে কামানবাহী সেনাদল কামানে অগ্নি সংযোগ করিল। অকস্মাৎ একটা গোল কামান হইতে বাহির হইতে না হইতেই ফাটিয়া গেল। তাহার মধ্য হইতে নির্গত উত্তপ্ত লোহকণায় নিকটস্থ বহু সেনার প্রাণ নষ্ট হইল। একটা অগ্নিস্ফূলিঙ্গ সেই সময়ে নিকটবর্তী বারুদখানায় আসিয়া পড়ায় চতুর্দিকৃ প্ৰজলিত হইয়া পড়িল । অনেক সৈন্ত মারা পড়িল, শেরশাহ সেই সময়ে তথায় দণ্ডায়মান ছিলেন। বারুদের অগ্নিতে র্তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ দগ্ধ হইল। সম্রাট, যাতনায় অস্থির। তখন তাহাকে যুদ্ধের অদূরে, আল হইল। তিনি সেই মৃত প্রায় অবস্থাতেই সেনাদলকে উৎসাহবাক্যে দুর্গাক্রমণে উত্তেজিত করিতে লাগিলেন। সন্ধ্যার প্রাক্তালে কালঙ্গর দুর্গ শেরশাহের হস্তগত হইল। এই সংবাদ তাহার নিকট উপস্থিত হইলে তিনি হৃদয়ের আগ্রহে ঈশ্বরের নামে চীৎকার করিয়া উঠেন। তাছার অব্যবহিত পরেই তাহার প্রাণবায়ু বহির্গত হয়। (১৫৪৫ খৃঃ ২৪ মে। ) তাহার মৃত্যুর পর তাহার দেহ লাসেরমে আনীত হয়। তিনি জীবদ্দশায় পৈতৃক সম্পত্ত্বি মধ্যে স্বীয় কৰয় প্রস্তুত