পাতা:বিশ্বকোষ বিংশ খণ্ড.djvu/৬৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীহট [ ७०१ ] * चैहणे ঐস্থল (জী ) দক্ষিণাত্যেয় মঞ্জুর রাজধানীর সন্নিকটস্থ একটা । প্রসিদ্ধ শৈবতীর্থ ও মন্দির। স্কলাপুরাণান্তর্গত প্রস্থলমাহীস্থ্যে এখানকার বিশেষ বিবরণ বর্ণিত আছে। • ঐশ্রজ । ক্লী । শ্ৰীশ্চ প্ৰকৃত তয়ে সমাহার, ( পা als|১৯৬)। শ্ৰী ও প্রকের একত্র সমাবেশ । 尊 ঐস্বরূপ ( পুং ) শ্রীচৈতন্তের শিষ্যভেদ। ঐস্বরূপিণী (স্ত্রী) রাধা । ( পঞ্চরত্ন ৫leাe৯ ) স্ত্রীস্বামিন, » कांलौब्रह ब्रांछrछन । ( ब्रांजऊद्र* e॥se४) २ उपैंत्र পিতা । ( ভটি ২২৬৫ ) শ্ৰীহট্ট, পূৰ্ব্ববঙ্গ আসামের অন্তর্গত একটা জিলা r২৫° ১২′ এবং ২৩° ৪৮′ ৪২′ উত্তর অক্ষরেখায় এবং ৯২° ৩৭ ৪০" পূৰ্ব্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত। ইহার উত্তরসীমায় খাসিয়াও জয়ন্তী পাহাড়, . পূৰ্ব্বসীমার কাছাড়, দক্ষিণসীমায় পাৰ্ব্বতাত্রিপুরার স্বাধীন রাজ্য এবং বঙ্গের অন্তর্গত ত্রিপুরা জিলা, পশ্চিম সীমার ময়মনসিংহ । শ্ৰীহট্টের মধ্যে অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড় আছে। সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় পাহাড়টার উচ্চতা ১০ • • ফিট । এই জিলার কেন্সে ইটাপাহাড়শ্রেণী বিদ্যমান। শ্ৰীহট্টের নদনদীর মধ্যে বরাক নদই প্রধান । এই নদটী কাছাড় হইতে আসিয়া শ্রীহট্টে প্রবেশ করিয়াছে । শ্ৰীহটে ইহঁর দুই শাখা । हेशबू প্রধান শাখার নাম সুৰ্ম্ম এবং অপর শাখার নাম কুশিয়ার। এই দুই শাখা একত্র হইয়া মেঘনা নাম গ্রহণ করিয়া ধলেশ্বরীতে পতিত হইয়াছে । এই দুই নদীর জলপ্রবাহে শ্রীহট্টের বহুস্থানের উৰ্ব্বরতা বৃদ্ধি করিয়াছে। শ্ৰীহট্টে ধান্তের আবাদ অতি উত্তম । শ্রীহট্টে কয়লা পরিলক্ষিত হইয়াছে, কিন্তু এখনও কয়লার খনি আবিষ্কার হয় নাই। শ্রীহট্টের উত্তরপ্রাস্তের পাহাড়ে যথেষ্ট কলিচুণ আছে r কিন্তু খাসিয়া পৰ্ব্বতেই ইহার অফুরন্তু খনি । শ্রীহট্টের অরণ্যে জারুল, নাগেশ্বর, শাল ও পিঠাকর প্রভৃতি বহুল বড় বড় বৃক্ষ আছে । এই সকল বৃক্ষ দূরদেশে রপ্তানী হইয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত লাক্ষা, মোম ও মধু প্রভৃতিও যথেষ্ট উৎপন্ন হয়। কমলালেবুর জন্তও লীহট্ট বিখ্যাত । শ্রীহট্টের আগর আতর আরব্য ও তুরষ্কে রপ্তানী হইয় থাকে। শ্রীহট্টে হাতী ধরার খেদা আছে। ১৮৭৪ খৃষ্টান্ধে শ্ৰীহট্ট আসামের চিফ কমিশনারের শাসনাধীন হয়। প্রাচীন সময়ে শ্ৰীহট্ট গড়, লাউড় ও জয়স্তিয়া এই রাজ্যত্রয়ে বিভক্ত ছিল। কেহ কেহ বলেন, এই তিন প্রদেশ বহুপূৰ্ব্বে অসভ্যজাতীয় লোকদের অধুষিত ছিল। কিন্তু আদিশূরের পূর্ব হইতেই যখন বঙ্গে ব্রাহ্মণসমাগম হয়, সেই সময় হইত্তেই শ্রীহট্টে ব্রাহ্মণগণ যাইয়া উপনিবেশ স্থাপন করেন । wo [ বৈদিক দেখ। ] XX »ዓg চতুর্দশ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে মুসলমানের শ্রীহট্ট আক্রমণ করেন। এই সময়ে আফগানরাজ সামসুদ্দীন গৌড়ের শাসনকর্তা ছিলেন । ফকির শাহঞ্জলাল মুসলমানসৈন্য লইয়া সৰ্ব্বপ্রথমে চট্টগ্রামে উপস্থিত হন। এই সময়ে গৌরগোধিপ নামে একজন হিন্দু শ্ৰীহট্টের রাজা ছিলেন। কিন্তু শাহ জলালের প্রতাপে গৌরগোবিনকে পরাস্ত হইতে হয়। এখনও শাহ জলালের মসজিদ শ্রীহট্রে অতি প্রসিদ্ধ। এই সময়ে কেবল গড় মামক রাজ্যই মুসলমানদের শাসনাধীন হইয়াছিল। অকবরের সময় পর্যন্তও লাউড়ে হিন্দুশাসন অক্ষুণ্ণ ছিল। লাউড়ের হিন্দুরাজা গোবিনাকে আকবর বাদশাহ দিল্লীতে লইয়া গিয়া মুসলমানধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন বলিয়া শুনিতে পাওয়া যায়। খৃষ্টীয় ১৮শ শতাব্দীর প্রথমভাগে তাহার পৌত্র বাণিয়াচঙ্গে রাজধানী স্থাপন করেন । ১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে ইংরাজের বঙ্গের দেওয়ানী প্রাপ্ত হন । এই সময়েও জয়ন্তী স্বাধীন ছিল । ঢাকার নবাবের অধীন আমিনগণ দ্বারা অতঃপর শ্রীহট্ট জিলার অনেক স্থান শাসিত হক্ট'ন্ত । বৃটিশ গবর্ণমেণ্ট এখানে প্রথমে সীমান্তশাসননীতির প্রবর্তন করেন। প্রথমে ভূমির কর অতি অল্প ছিল । মুসলমানদিগকে জায়গীর দিয়া সৈনিক ভাবে রাখা হইত । শ্ৰীহট্টের প্রান্তসীমার অসভ্যলোকদের জন্য সৰ্ব্বদাই গোলযোগ ও অশাস্তি ঘটিত । এই নিমিত্ত এই অঞ্চলে সৈন্য রাখার সবিশেষ প্রয়োজন হইত। জয়ন্তীরাজ্যে নরবলি হইত বলিয়া বৃটিশগবমেন্টের ধারণ ছিল । ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে কয়েকট বুটশ প্রজাকে ধরিয়া লইয়া জয়ন্তীয়ার অধিবাসীরা কালীর নিকট বলি দেয়। এই অছিলায় বুটশগবমেন্ট জয়ন্ত্রীরাজ্য বাজেয়াপ্ত করিয়া স্বীয় শাসনাধীন করেন । রাজা ইক্সসিংহকে বাৎসরিক ৬• • •N টাকা করিয়া বৃত্তি দেওয়া হইত। তিনি ইহা লইয়া শাস্তিভাবে শ্রীহট্টে বাস করিতেন। ১৮৬১ খৃষ্টাৰো রাজা ইক্সসিংহের মৃত্যু হয় । ১৮৯২ খৃষ্টাব্দ হইতে ইনামভূমির রাজস্ব ভূম্যধিকারীদের সঙ্গে গবমেন্টের গোলযোগ চলে। ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে বঙ্গের Cझोछेँলাট বাহাদুর এই বিবাদ নিষ্পত্তি করিয়া দেন। শ্ৰীহট্রে হিন্দু অপেক্ষ মুসলমানদের সংখ্যাই বেশী। বৈঞ্চৰদিগের মধ্যে আবার বিশুদ্ধ বৈষ্ণব অপেক্ষ কিশোরীতজনসম্প্রদায় অধিক । শ্ৰীহট্টে যে সকল হিন্দুদেবমন্দির আছে, তন্মধ্যে জয়ন্তীপুরের পাহাড়ে রূপনাথমন্দির, ফালছুর পরগণার ফালজুরমন্দিরের দেবতার নিকট কোনও সময়ে নাকি নরবলি দেওয়া হইত। এই পাপেই নাকি জয়ন্তী বুটশশাসনাধীন হয় । জয়ন্তীপুরের জয়ন্তেশ্বরীর মন্দির, এ ছাড়া ঢাকা-দক্ষিণে শ্ৰীগৌরাঙ্গমহাপ্রভুর মন্দির ; ছাপৰাটে সিদ্ধেশ্বর, সপ্তগ্রামে নিৰ্ম্ময়ী শিব ও বাসুদেবমন্দির প্রসিদ্ধ ।