পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఢాa চক্র ও মীন চিহ্ন দেখিয়া বিপায়সাগরে নিমগ্ন হন। মিশ্র একজন বিশ্বাসী ভক্ত ছিলেন । তিনি অনুমান করিলেন যে, দরে বালগোপাল দেববিগ্রহ রহিয়াছেন, বোধ হয় তাহার পদচিহ্ন। এই সময়ে শচীদেবী বালককে স্তনপান করাইতে ছিলেন, তিনি পুত্রের পদতলে হঠাৎ ঐ সকল চিহ্ন দেখিতে পাইয়া অবাক হইলেন এবং জগন্নাথকে ডাকিয়া দেখাইলেন। ইহা ছাড়া বংশীবাদন ও মাতাপিতাকে চতুভূজ মূৰ্ত্তিপ্রদর্শন প্রভৃতি আরও কতকগুলি অস্তুত धृझेनां श्रांtइ । * শুভদিন দেখিয়া বালকের নাম বিশ্বম্ভর রাখা হইল। চূড়ামণিদাস বলেন যে, চৈতন্তের জন্মনক্ষত্র রোহিণী ও জন্মরাশি বৃষ এই কারণে গণক রাশি অনুসারে ইহার নাম বিশ্বম্ভর রাখিয়ছিল (১) । কিন্তু একথা সম্পূর্ণই ভ্রান্তিমূলক, চৈতন্তু রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেন নাই, তাহ হইলে সেইদিন কখনই চন্দ্রগ্রহণ হইতে পারিত না । বালকের জন্ম হইতেই জগন্নাথের অদৃষ্ট ফিরিয়া গেল । তিনি ১৪•৮ শকে শ্রাবণমাসে হস্তানক্ষত্রে ও বৃহস্পতি বারে বেশ ধূম ধাম করিয়া চৈতন্তের অন্নপ্রাশন করাইলেন । ইহাতে নবদ্বীপবাসী সকলেই উৎসাহিত হইল (২) । নিমাই বালককালে অপেক্ষাকৃত চালাক ও ক্রোধপরতন্ত্র ছিলেন, যখন যাহা বলিতেন তাহা করিতে না পারিলে আর রক্ষা ছিলনা, কাদিয়া আকুল হইতেন ; বাড়ীর সকলকেই | উৎপাত করিয়া তুলিতেন, কিন্তু ইহাতেও তাহার একটুকু অলৌকিততা ছিল যে, যদি কেহ মধুরস্বরে হরিনাম করিত, তবে অার কাদিতে পারিতেন না । হরিনাম শুনিবামাত্র কচি কচি হাত পা গুলি সঞ্চালন করিয়া যেন হৃদরের উৎসাহ ! প্রকাশ করিতেন । এইরূপে দিন গত হইতে লাগিল, চন্দ্রকলার দ্যায় গৌরচন্দ্র ও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাইয়া, পিতামাতা ও ভক্তগণের আনন্দবৰ্দ্ধন করিতে লাগিলেন। ১৪০৯ শকের এই বৈশাখ নিমাইয়ের চুড়াকরণ হইল (৩)। নিমাই বালককালে বড়ই চপল ছিলেন । একদিন শচীদেবী তাহাকে খই ও s دده j (४ ) “ण१८क कश्जि ब्राभि (बार्जिनौ८ऊ शूरु । 豪 विररूब नाभ हे शब्र गजय नमून !' ( ठूज़ामनि-tsङश्रघ्नबिड ) ( २ ) *७ठ ७नि त्रिजगन्न थtनtन्ह भूब्रिड । जैर्णक अभिङ्ग! fझल कब्रिtङ्ग एड्सि क्ल ? निक्ल प्रिक्ष झैँ झ्स्रो भकु सैक्ल६ tष्ट्र ! चबनब्रालन क ब्राश्tष ब ५:जtद्र ॥” (हूछाभ१िमान tsठछछब्रि' ) { এ ) “বৈশাখের পা দিনে এ চুড়াকরণ । कtठ सcनद्र नtt५ छद्मङिषिब गूछन १” ( ठूछाभ:१६s ङझल्लब्रि*) চৈতন্যচন্দ্র সন্দেশ থাইতে দিয়া গৃহকাৰ্য্যে গেলেন । কিন্তু বালক খাণ্ড দ্রব্য ফেলিয়া মাটী খাইতে লাগিল । শচী তাহ দেখিতে পাইয়া মাটী কড়িয়া লইলেন ও মাটী থাইবার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । বালক মিমাই তাহার উত্তরে , দার্শনিক কথা বলিয়া মাতাকে অবাক্ করিয়া দিলেন। বিশ্বম্ভর কহিলেন, ‘মা বিবেচনা করিয়া দেখ সকলেই মাটীর বিকার। খই, সঙ্গোশ প্রভৃতি আহারীয় দ্রব্য সকলেই মাটা হইতে উৎপন্ন । তবে মাটী থাইতেছি বলিয়া চুঃখিত হইতেছ কেন ? শচী ঠাকুরাণীও বড় কম ছিলেন না । তিনিও তর্কে বালককে পরাজয় করিলেন। আর একদিন একজন ব্রাহ্মণ জগন্নাথের গৃহে অতিথি হইলেন । তিনি বালগোপাল মন্ত্রে নাকি দীক্ষিত ছিলেন ; পাক সমাপ্ত করিয়া যাই নিজ ইষ্টদেবকে নিবেদন করিলেন, অমনি দুর্দান্ত নিমাই কোথা হইতে আসিয়া স্ত,পীকৃত অয়ের একগ্রাস খাইয়া ফেলিল। জগস্নাথ ও শচী দূর হইতে দেখিতে পাইয়া হায় হায় করিয়৷ দৌড়িয়া আসিলেন এবং অনেক অনুনয় বিনয়ের পর ব্রাহ্মণ দ্বিতীয়বার পাক করিতে সন্মত হইলেন । এদিকে নিমাইকে বাড়ী হইতে বিদায় দেওয়া হইল। সেবারেও নাকি আশ্ন প্রস্তুত হইলে নিমাই আসিয়া এক গ্রাস অগ্রভাগ লইয়াছিলেন। এইরূপে তিনবারের বার গৌরাঙ্গ প্ৰভু যোগনিদ্রায় পিতামাতা প্রভৃতি সকলকে মুগ্ধ করিয়া গোপালবেশে ব্রাহ্মণকে দেখা দিয়া উদ্ধার করেন । কোন দিন নানা অলঙ্কারে ভূষিত হইয়া বালক বিশ্বম্ভর গঙ্গাতীরে বেড়াইতে যান । দুইজন প্রসিদ্ধ চোর অলঙ্কারের লোভে তাহাকে মিঠাই ও সন্দেশ এবং বাড়ীতে পৌছাইয়া দিবার প্রলোভন দেখাইয়া লইয়া যায়। পরে উভয়ে বিষ্ণুমায়ায় মুগ্ধ হইয়া গন্তব্য স্থানের পথ ভুলিয়া যায়, শেষে ঘূরিতে ঘুরিতে জগন্নাথের বাড়ীতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল। নিমাইয়ের কোন অনিষ্ট ঘটিল না, সকলে জানিয়া শুনিয়া অবাক হইল। গোড়া ভক্তগণ কংসপ্রেরিত অস্বরের ন্যায় ঐ দুইজন চোরকে বর্ণনা করিতে লাগিলেন। জগদীশ ভাগবত ও হিরণ্য পণ্ডিত নামে দুই ব্যক্তি ছিলেন । র্তাহীদের সহিত মিশ্র জগন্নাথের বেশ সদৃভাব ছিল। উভয়ে একাদশীর দিনে নানা প্রকার উপাদেয় সামগ্ৰী আনিয়া কৃষ্ণপূজার আয়োজন করিয়াছিলেন। নিমাইয়ের খাইতে ইচ্ছা হইল। তিনি ব্যাধির ছলনা করিয়া কাদিতে লাগিলেন ও বলিয়া বসিলেন যে, ঐ সব নৈবেদ্য থাইতে না দিলে তাহার পীড়া ভাল হইবে না। নিমাইয়ের রোদনে বাটীর সকলে এত ব্যাকুল হইয়া পড়িলেন যে ঐ কথা প্রতিৰেী