পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুনন্দন গিরি [ 5૭૯ ] রঘুনন্দ ভট্টাচায্য “কৃষ্ণাৰেশরসামুমোদমধুরে যঃ পঞ্চসংবৎসরাং, কৃত্ব জস্ত সুবি গ্রহং পরিবরেৎ শ্ৰীগোপীনাথাভিখং । যদত্তং শিশুলীলয়া সুমধুত্বং ক্ষীরং স আশীমুদ, মোহয়ং শ্রীরঘুনন্দনো বিজয়তে শ্ৰীখওভূখণ্ডকে ৷” ভক্তিতে রঘুনন্দন নিজ গৃহদেবতা গোপীনাথকে বাল্যে লড,ক ভক্ষণ করাইয়াছিলেন, এ প্রসঙ্গটা পদকল্পতরুতে উদ্ধবদাসের পদে সবিস্তার বর্ণিত হইয়াছে । রঘুনন্দন অতি সুপুরুষ ছিলেন, তাহার বর্ণ গুণম, তিনি প্রায়ই পীতবসন পরিধান করিতেন ; দীর্ঘকেশগুলি চুড়ার ছাদে বাধিতেন এবং দেবতার প্রসাদী ফুলমাল গলে পরিতে ভাল বাসিতেন ; এইরূপ বেশে সুসজ্জিত রঘুনন্দনকে দেখিয়। সকলেই বিমুগ্ধ হইত। রঘুনন্দনের রচিত “গৌরনামামৃতস্তোত্র” অতি সুন্দর ও সহজ সংস্কৃতে গ্রথিত, পাঠ করিডেই হৃদয় দ্রব হয়। রঘুননান দারপরিগ্রহ করিয়াছিলেন, তাছার পুত্রের নাম ঠাকুর কানাই । শ্ৰীনিবাসাচার্য্য ও ঠাকুর নরোত্তমের সময় রঘুনন্দন প্রৌঢ় বয়স্ক, তিনি তৎকালে সকলেরই মামলীয় ছিলেন, প্রতি প্রধান মহোৎসবাদিতে সৰ্ব্বাগ্রে সসম্মানে গৃহীত হইতেন । রঘুনন্দন (পুং) রঘুন রঘুবংশসস্তুতান ননায়ততি ননি-লু। ১ ঐরাম। (শব্দ রত্নাe ) রঘুনন্দন, বৰ্দ্ধমান প্রদেশের অন্তর্গত মাড়গ্রাম নিবাসী জনৈক পণ্ডিত । ইনি নিত্যানন বংশীয়, ইহঁর পিতার নাম কিশোরীমোহন গোস্বামী । ইনি ভাগবতসিদ্ধান্ত, ব্রজরমাপরিণয়, ছন্দোমঞ্জরাটীক প্রভৃতি অনেক সংস্কৃত গ্রন্থ প্রণয়ন করেন । [ প্রথমে রঘুনন্দন গোস্বামী দ্রষ্টব্য। ] রঘুনন্দন, ১ কৃষ্ণপূজাপদ্ধতি প্রণেতা। ২ ছাদোগ্যোপনিৎসংগ্ৰহরচয়িতা । ৩ স্বাদশষাত্রা প্রমাণ তত্ত্ব ও রাসঘাত্রাপদ্ধতি নামক গ্রন্থদ্বয় প্রণেতা । এই গ্রন্থদ্বয়ের ভাষা ও ভাব পৰ্য্যবেক্ষণ করিলে স্মৃতিতত্ত্বকার রঘুনন্দনের রচিত বলিয়াই বোধ ছয় । ৪ বুহুৎপৰ্ব্বমঙ্গল নামক জ্যোতিগ্রস্থরচয়িত । ৫ বিশুদ্ধিদৰ্পণ প্রণেতা । ৬ সংকল্পচন্ত্রিকারচয়িত । ইহঁার উপাধি ভট্টাচার্য । রঘুনন্দন আচাৰ্য্যশিরোমণি, কলাপতত্বাধব নামক ব্যাক ব্লণপ্রশ্ৰেতা । রঘুনন্দন গিরি, আসাম প্রদেশের প্রহট্ট জেলার অন্তর্গত একটা শৈলমালা। ত্রিপুরার পাৰ্ব্বত্য প্রদেশ হইতে ক্রমাগত • प्लेखद्राङिभू८५ दिसूऊ श्हें★icछ् । ২ চট্টলের অন্তর্গত একটা গিয়িশ্রেণী । রঘুনন্দন গোস্বামী, রামরসায়ন ও হীরাধামাধবোদয় নামক দুইখানি বাঙ্গাল কাৰ্যরচয়িতা। কিঞ্চিদধিক শতবর্ষ পূৰ্ব্বে তিনি বর্ধমান জেলার অন্তর্গত মাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাহার পিতা কিশোরীমোহন একজন প্রসিদ্ধ ভাগবত ছিলেন, उँीशग्न भाठांद्र मांभ छैषा ७ दिमाऊांब्र नांभ भ१भठी । निष्ठाনম্বপ্রভুর বংশে রঘুনন্দনের জন্ম হয়। বংশতালিকা এইরূপ — ১ নিত্যাননা, ২ বীরভদ্র, ৩ বল্লভ, ৪ রামগোবিন্দ, ৫ বিশ্বম্ভর, ৬ বলদেব, ৭ কিশোরীমোহন । রঘুনন্দন পিতার সর্বকনিষ্ঠ পুত্র, তাহার অগ্রজ অপর তিন পুত্রের নাম পাওয়া যায়। রামরসায়নে তিনি মহাকবি বাল্মীকি ও তুলসীদাসের অমুসরণ করিয়াছেন। কবি উত্তরকাণ্ডে করুণরসাশিত সীতা বর্জন, লক্ষ্মণ-বর্জন, সীতার পাতালপ্রবেশ প্রভৃতি অংশগুলি লিপিবদ্ধ করেন নাই। ঐ গ্ৰন্থখানি তিনি স্বীয় গৃহপ্রতিষ্ঠিত শ্রীরাধামাধববিগ্রহের নামে উৎসর্গ করেন । এই রাধামাধবকে স্মরণ করিয়া তিনি কৃষ্ণ ও রাধtলীলা-বিষয়ক বৃহদগ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন। রঘুনন্দনের অপর নাম ভাগবত। রঘুনন্দন ভট্টাচাৰ্য্য, নবদ্বীপবাসী বিখ্যাত স্মৃতিশাস্ত্রবিৎ । ইনি স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য বা স্মার্ক রঘুনন্দন নামে বাঙ্গালায় সৰ্ব্বত্র সুপরিচিত। ইহার পিতা হরিহর বঙ্গ্যে৷ ভট্টা, চার্য্য নবদ্বীপবাসী একজন স্মাৰ্ত্ত পণ্ডিত ছিলেন । তৎকৃত সময়-প্রদীপ নামক স্মৃতিগ্রস্থ প্রসিদ্ধ। হরিহর নবদ্বীপে স্মৃতির টোল স্থাপন করিয়া অধ্যাপনা করাইতেন । তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র রঘুনন্দন ও কনিষ্ঠ যদুনন্দন বাল্যকালে পিতার টোলেই বিদ্যাভ্যাস করিতেন। যদুনমান অতি অল্পবয়সেই কাধাগ্রাসে পতিত হন । রঘুনন্দন কোন সময়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহার ঠিক বিবরণ উদ্ধার করা স্ব কঠিন । আনুমানিক খৃষ্টীয় ১৬শ শতাদের প্রথম ভাগে তিনি নবদ্বীপে গ্রন্থভুত হন। তৎসংগৃহীত জ্যোতিস্তত্ব গ্রন্থের রবিসংক্রাস্তিগণনায় লিখিত হইয়াছে যে,-- “লবtঃশক্রহীনেন শ কাদাঙ্কেন পূরিত।” এভদ্বার। ১৪৮৯ শকে জ্যোতিস্তত্ত্ব-সঙ্কলনের কাল উপলব্ধি করা যায় । সাধারণের অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া জ্যোতিস্তত্বকে তাহার শেষ বয়সের গ্রন্থ বলিয়। কল্পনা করিলে তাহার জন্ম ১৪২৫ হইতে ১৪৩০ শকের কোন সময়ে ধরিয়া লইতে পারা যায় । অতএব ঐচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের প্রায় ২-২৫ বৎসর পরেই তিনি নবদ্বীপে অবতীর্ণ হুইয়াছিলেন । তৎকৃত একাদশীতত্ত্বে, বিষ্ণুপূজাপদ্ধতিত্বে ও অাহিকতত্বে হরিভক্তিবিলাসগ্রন্থের উল্লেখ আছে, মুতরাং রঘুনন্দনের