পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তক তfহার সহযোগী সন্ন্যাধিবৃন দেবকার্য্যে এইরূপ অবহেলা দেখিয়। অভিসম্পাত করে যে, তোর বংশধরগণ একমাত্র মলিন বস্ত্র ধৌত করিয়াই জীবন অস্তিবাহিত করিবে । তদবধি এই রঞ্জক গণ পরিধেয় মলিন বাস ধৌত করিয়া আসিতেছে । বাঙ্গালার ধোপাদিগের প্রায় ১৮ট স্বতন্ত্র বিভাগ আছে। পুৰ্ব্ববঙ্গে রামের ধোপা ও সীতার ধোপ নামে ছুইটী থাক দুষ্ট হয়। উছার পরস্পরে রাম ও সীতার বস্ত্র-ধেীতকারীর ংশধর বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকে। উছার পরম্পরে অtহারাদি করে বটে, কিন্তু অtদান প্রদান করে না। প্রবাদ এই রূপ যে, রামের ধোপার কেবল পুরুষের এবং সীতার ধোপার। কেবল স্ত্রীলোকের কাপড় কাচিত। সীতার ধোপার! ! গীতার রঙ্গোবাল ধৌত কল্পিত বলিয়া নয় পোণ সোণার । কড়ি পুরস্কার পাইত । এই লোভে পড়িয়া রামের ধোপারা ও চুরি করিয়া সীতায় রজোবাদ ধৌত করিয়া দেয়। তদবধি উভয় থাকই স্ত্রী ও পুরুযের কাপড় কাচিতে আরম্ভ করিয়াছে । মধ্যবঙ্গে ধোবার লাতিশা, আতিস, হাজার সমাজ ও নীতিসিন নামে চারিট থাক অাছে। হুগলীর ধোপাদিগের মধ্যে বড় সমাজ, ছোট সমাজ, ধোপা সমাজ ও রাঢ়ীয় সমাজ নামে চারিট বিভাগ দৃষ্ট হয়। ইহার পরম্পরে বিবাহদি করেন। অথবা কেহ কাহার ও অন্ন গ্রহণ করে না । নোয় থালি জেলায় ভুলুয়া,জুগিদিয়া ও সন্দ্বীপানামে কয়ট এবং মানভূমে বাঙ্গালী, গৌড়িয়া, মঘয়া ও থোট্ট নামে চারিট বিভাগ আছে । উড়িষ্যা বাণী ধোপাদিগের মধ্যে কোনরূপ শ্রেণী বিভাগ নাই । বাঙ্গালার ধোপাদিগের মধ্যে অালম্যান, কাশুপ ও শাণ্ডিল্য এবং উড়িয়া ধোপাদিগের মধ্যে নাগস গোত্র প্রচলিত আছে। সগোত্রে বিবাহ প্রচলিত নাই। ই ছাদের মধ্যে বাল্যবিবাহই বেশ হয়। যাহার কন্যাপণ দিতে অসমর্থ, তাহারাষ্ট কেবল আথোপার্জন করিয়া বয়স কালে বিবাহ করে । বহু বিবাহ প্রচলিত অাছে, বিধবাবিবাহ নিষিদ্ধ। স্ত্রীর চরিত্রে দোষ ঘটিলে স্বামী পঞ্চায়ৎকে জানাইয়া স্ত্রীকে ত্যাগ করিতে পারে। কিন্তু পঞ্চামৃতের নিদেশ অনুসারে স্বামীকে প্রায়শ্চিত্ত করিতে হয় । ঐ পরিত্যক্ত স্ত্রীলোককে আর কেহ বিবাহাদি করে না । পুৰ্ব্ববঙ্গের রামের ধোবা থাকের প্রত্যেক সমাজের পরিদর্শক স্বরূপ লাএক, পরামাণিক ও বারিক উপাধিধারী তিনজন করিয়া অধ্যক্ষ থাকে এবং অপর সাধারণে সামাজিক বলিয়। গণ্য। সামাজিকে সামাজিকে অথবা সমমর্য্যাদাবিশিষ্ট ব্যক্তিদিগের মধ্যে বিবাহদি সম্বন্ধ স্থাপিত হইলে কন্থাপণ e০ টাকা দিতে হয়। কোন সামাজিক ধদি বারিক, পরাभाभिक अ१द शां4८कब्र कछ विवांश् फtङ्ग, ऊांश श्रेंष्ट २० ० ] রঞ্জক T - তাহাকে যথাক্রমে ৫১২ ৫২ ৫৩ টাকা পণ দিতে হয় এবং কোন লাএক যদি পরামাণিক, বারিক বা সামাজিকের কন্যাবিবাহ করে, তাহ হইলে সেই ব্যক্তি স্বীয় মর্য্যাদামুসারে পর পর ৪৯, ৪৮, ও ৪৭ টাকা পণ দিবে। পাতায় ধোবাদিগের সামাজিক বাধন ঐরূপ সুদৃঢ় নহে, তাহাদের মধ্যে ‘প্রধান’ ও ‘পরামাণিক উপাধিধারী দুই ব্যক্তিই সমাজে সন্মানিত। মুর্শিদাবাদ ও মধ্যবঙ্গের অন্তান্ত জেলায় ধোবাদিগের মধ্যে পরামাণিক, বারিক ও মণ্ডল নামক তিনজনই সমাজের পরিচালক। বিবাহাদি কার্য্যে ইহাদেরই পরামর্শ গ্রহণ করিতে হয় । উড়িষ্যাবাসী ধোবাদিগের জাতির অনেক প্রভেদ আছে । নাগস প্রচলিত থাকায় এবং নাগ জাতিকে আপনাদের পুরুষ বলিয়। গণনা করায় পাশ্চাত্য ই হাদিগকে আদিম জাতির প্রভাবাপন্ন মান করেন । ইহাদের মধ্যে সগোত্রে বিবাহ নিষিদ্ধ। বাল্য ও যৌবনবিবাহ প্রচলিত আছে । বহু বিবাহে কোন বাধা নাই। সাঙ্গ প্রথায় বিধবাগণ বিবাহ করিতে পারে। ঐ সময়ে গ্রাম্য-পঞ্চায়তের নিকট উপস্থিত হইয়। ইহাদিগকে একটা সুপারি দ্বিখণ্ড করিয়া ফেলিতে হয় । তাহাতে পুৰ্ব্বস্বামীর পরিবারবর্গের সস্থিত ঐ রমণীর সম্বন্ধ বিচ্ছেদ ঘটিল বুঝা যায়। ঐ দিন দ্বিতীয় স্বামী তাহার মনেনীত বিধবাপত্নীকে সুন্দর বেশভূষায় সজ্জিত করিয়া তাeার বৈধব্য-মোচন জানাইয়া সামাজিক সকলকেই একটা ভোজ দিয়া থাকে। উড়ে ধোবাদিগের মধ্যে বিধবা বিবাছ চলন থাকিলেও স্বামি-পরিত্যক্ত অসচ্চরিত্র। রমণীগণের পুনর্বিবাহ নিষিদ্ধ। যদি ঐ রমণী স্বজাতীয় কোন পুরুষের সহিত আসঙ্গলিপসয় রত থাকে, তাহ হইলে সামান্ত প্রায়শ্চিত্ত করিয়া স্বামী তাহার পত্নীকে গ্ৰহণ করিতে পারে ; কিন্তু যদি ঐ উপপতি অদ্যজাতীয় হয়, তাহা হইলে ঐ রমণীকে সমাজ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দেওয়া হইয় থাকে । ইহাদের মধ্যে অধিকাংশই বৈষ্ণব ও অল্প মাত্র শাক্ত । ইহার বিশেষ সম্মানের সহিত বিশ্বকৰ্ম্মার পুজা সম্পন্ন করিয়া থাকে। দেবপুজাড়ধে সকল বর্ণব্ৰাহ্মণ ইহাদের যাজকতা করে, তাছার ধোবার ব্রাহ্মণ বলিয়া সমাজে পরিচিত। নিম্নশ্রেণীর সাধারণ হিন্দুর মত ইহাদিগকে শবদাছ ও শ্রাদ্ধাদি ক্রিয় সম্পন্ন করিতে দেখা যায়। পুৰ্ব্ববঙ্গে বিবাহোৎসবে নাপিতের সহিত ধোবারও ব্যবহার দেখা যায়। বিবাহের দিলে কন্যাকে স্বান করাইবার সহিত বtঙ্গtলtয় ধোব। প্রভৃতি গোত্র পুৰ্ব্ব জাতিতত্ত্ববেত্তার। বলিয়। অমু