পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রাজবল্লভ সেন [ ১৭৩৪ খৃষ্টাব্দে মুর্শিদকুলী খাঁ ঢাকার নাএবনাজিম হইলে যশোবস্ত রায় তাহার দেওয়ান হন। এই যশোবষ্ণের অনুগ্রহে রাজবল্লভ লtওরার একজন মোহরের কৰ্ম্ম লাভ করেন । তৎপরে সৈয়দরঙ্গী খার পুত্র মুরাদ ঢাকার নাএবস্থবাদার হইলে, র্তাহার ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হইয়। যশোবস্তু রায় কৰ্ম্মত্যাগ করেন। সরফরাজ খাঁর রাজত্বাবসানে যখন আলীবর্দী থ নবাব ছন, সেই সময়, নিবাইল মহম্মদ ঢাকার নfএব নবাব হন, কিন্তু তিনি মুর্শিদাবাদে থাকিয়াই স্বীয় প্রতিনিধি হুসেন কুলী দ্বারা শাসনকাৰ্য্য সম্পন্ন করিতেন। এই মুরাদ আলীর অমুওহে রাজবল্লভ পেস্কারের পদে উন্নীত হন । এই সময় ঢাকায় হুসেলকুলী খার প্রভাব বিস্তৃত হয় এবং তাছার প্রিয়পাত্র গোকুলচাদ পেস্কার ( Collectorgeneral and Commissary Dacca ) হন। কিন্তু গোকুলচাদ স্বীয় প্রভু হোসেনকুলীর উপর অসন্তুষ্ট হইয়। আলীবর্দীর নিকট অভিযোগ করিলে হোসেনকুলী পদচ্যুত হন। শেষে আলীবর্দীর জ্যেষ্ঠভনয় নিবাইস মহম্মদের পত্নী ঘসেটি বেগমের সহায়তায় ও ভালবাসার হোসেনকুলী আবার স্বীয় পদ লাভ করেন । তিনি ছিপাবনিকালের দায়িত্বে ফেলিক্ষ্মী গোকুলচাদের সর্বনাশ করিয়৷ তৎপদে রাজবল্লভকে নিযুক্ত করেন । হুসেনকুলী রাজবল্লডের প্রতিভার পরিচয় পাইয়। তাহাকে আপন সহকারী পদে নিযুক্ত করিয়া মুর্শিদাবাদ হইতে রাজোপাধি মানাইয়া দেন। ইহার কিছুদিন পরে নবাব আলীবর্দী আপনার অস্তিমকাল নিকটবৰ্ত্তী ভাবিয়া প্রিয় দৌহিত্র ও পোষ্যপুত্ৰ ' সিরাজউদ্দৌলাকে রাজ্যের উত্তরাধিকারী স্থির করিলেন । এদিকে ঘসেটিবেগম আপন পোষ্যপুত্র আক্রম্‌উদ্দৌলাকে মসনদে বসাইবার জন্ত সচেষ্ট থাকিলেন । সিরাজউদ্দৌলার আদেশে ঘাসেটিবেগমের প্রিয় হুসেনকুলী খণর হত্যাকাগু সাধিত হইলে রাজবল্লভ নিবাইস মহম্মদের দেওয়ান হইলেন। নিবাইস মহম্মদ অধিকাংশ সময় মুর্শিদবাদে অবস্থান করিতেন, সুতরাং ঐ সময়ে তাহার সহকারী রাজবল্লভই ঢাকায় এক প্রকার সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব হইয়া উঠিলেন। এস্থলে প্রয়োজন বোধে একটী কথা লিখিতেছি—আর্মি বলেন, রাজবল্লভ নিবাহসের পত্নী ঘাসেটবেগমের সহিত অবৈধ প্রণয়ে লিপ্ত ছিলেন, তাহা কখনই হইতে পারে না। সাএর মুক্তাক্ষরীণকার হুসেনকুলী সম্বন্ধেই ঐরুপ দোষারোপ করিয়াছেন । हे९ब्रtण भैद्धिशनिक५ णिषिब्रांएछन ८५, ब्रांजयल्लङ निव of the province of ৪০৩ ] রাজা রাজবল্লভ সেন ইসের প্রতিনিধি বা নাএবশ্বরূপে ঢাকায় যথেষ্ট প্রজাপীড়ন ও বিদেশীয় ৰশিষ্ণুদিগের উপর জুলুম আরম্ভ করিলেন (১৭৫৪খঃ)। তিনি ইংরাজ ও ফরাসী বণিকৃদিগের নিকট হইতে জুলুম করিয়া ৪৩•• টাকা আদায় করেন। অল্পদিন মধ্যে র্তাহার এতদূর প্রভুত্ব বিস্তৃত হইয়াছিল যে, তাহার পুত্র কৃষ্ণদাসকে সাধারণে “নবাব" বলিয়া সম্বোধন করিতেন । এ সময়ে মীর আবুষ্ঠালেব কৃষ্ণদাসের নাএবম্বরূপে বিদেশীয় বণিকুদিগের উপর যথেষ্ট উৎপীড়ন করেন। তাছার আদেশে একজন সম্রাস্ত ওলন্দাজ বণিক কারারুদ্ধ হইয়াছিল। নিবাইসের মৃত্যুর পর রাজবল্লভ ঘসেটিবেগমের সর্ববিষয়ে পরামর্শদাতা ছিলেন। এ কারণ র্তাহাকে মুর্শিদাবাদে থাকিতে হইয়াছিল। বেগমের পক্ষ হইতে খুদ্ধের আয়োজন চলিতেছিল। যখন বেগমসাহেব দেখিলেন, আলীবদ্দীর আর জীবনের আশা নাই, তখন তিনি মুর্শিদাবাদ ছাড়িয়া স্বদল ও দশসহস্র সৈন্তসহ নগরের একক্রোশ দক্ষিণে মতিঝিলের বাগানে ছাউনী করিলেন । উদ্যোগ দেখিয়া লোকে বলিতে লাগিল যে, বেগম সাহেবেরই জয় হুইবে । রাজবল্লভ যুদ্ধবিস্কা জানিতেন, জয় পরাজয় সম্পূর্ণ অনিশ্চিত তাহ বুঝিতেন। তিনি লোকের কথায় কাণ দিলেন না। যুদ্ধে পরাজয় হইলে তঁtহার সমস্ত সম্পত্তি সিরাজ-উদ্দৌলার হস্তগত হইবে, ইহা বুঝিতে পারিয়৷ তিনি আপন মধ্যম পুত্র কৃষ্ণদাসকে অনুমতি করিলেন যে, তুমি সমস্ত সম্পত্তিসহ কলিকাতায় ধাইয়া ড্রেক সাহেবের আশ্রয়ে থাক । কৃঞ্চদাস জগন্নাথদর্শনে যাওয়ার ছলে কলিকাত যাত্রা করিলেন। সে সময় ইংরেজের সামান্ত ব্যবসায়ী মাত্র ছিলেন। দুর্গ প্রস্তুত করিতে বা সৈন্ত রাখিতে র্তfহাদের অধিকার ছিল না। দাক্ষিণাত্যে ফরাসীগবণর ডিউল্পে প্রদেশীয় রাজা বা সুবাদারদিগের আত্মক লহ অবলম্বন করিয়া তাহাদের রাজ্যাধিকারের যে প্রয়াস পাইতেছিলেন, সে সময় ইংরেজ বণিকেরাও সেই মঞ্জে দীক্ষিত হইয়াছিলেন। বাঙ্গালার মুবাদারের গৃহবিচ্ছেদ উপস্থিত দেখিয়া ইংরাজের কোনও এক পক্ষাবলম্বনে প্রয়াসী ছিলেন। এমন সময় রাজবল্লভ কাশিমবাজারের কুঠীর অধ্যক্ষ ওয়াটুস সাহেবকে অনুরোধ করিলেন যে, আপনি আমার পুত্রকে কলিকাতায় আশ্রয় দেওয়ার জঙ্ক ড়ে,কু সাহেবকে লিখুন। ঘসেটিবেগমের পক্ষই যে প্রবল হইতেছিল এই বিষয় ওয়াটুস্ সাহেব অবগত ছিলেন । তিনি অবিলম্বে রাজবল্লভের প্রস্তাবে সন্মত হইলেন এবং ড়ে,ক সাহেবকে তদনুযায়ী পত্র লিখিলেন।

  • Solecuvn irou the Itecords Govt. of India.