রুষিয়া 犧 ১৬০৫ খৃষ্টাব্দে ২রা জানুয়ারী দোবরিনিচি রণক্ষেত্রে আধার ঘোরতর যুদ্ধ ঘটিল। এই যুদ্ধে দৃমিত্রি পরাজিত ছছলেন। তাছার পক্ষীয় সৈন্তগণ অনেকেই বনী ও রাজসৈন্তহস্তে নিহত হইল। কেবল কলাক পদাতিকগণের কৌশলে দৃমিত্রি পোলণ্ডে পলাইয়। গিয়া আত্মরক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। সেখানে গিয়াও তিনি নিশ্চিস্ত ছিলেন না । নানা কৌশলে ও নান। প্রলোভন দেথাইয়া বোরিলের কএকজন প্রধান সেনানায়ককে হাত করির ফেলিলেন । বিষপ্রয়োগ দ্বার। রুষপতিয় প্রাণনাশের চেষ্ট হয়, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারিগণের কৌশল ব্যর্থ হহল । ইহারই পর দৃমিত্রি বোরিস্কে জানাইলেন, ‘তুমি আমার রাজ্য জোর করিয়া দখল করিয়া বসিয়াছ, মঙ্গল চাছ ত সিংহাসন ছাড়িয়া দাও।” বাস্তবিক বোরিসের সময়ও শেষ হইয়া আসিয়াছিল। ১৬০৫ খৃষ্টাব্দে ১৩ই এপ্রেল, মন্ত্রিসভায় রুযপতি শেষবার সিংহাসনে বসিলেন । এই দিন তিনি অনেক সন্ত্রাস্ত বৈদেশিককে আদর অভ্যর্থনা করিলেন, পানভোজন ও যথেষ্ট আমোদ চলিল ! কিন্তু অকস্মাৎ রুষরাজের নাকমুখ দিয়া ঝলকে ঝলকে রক্ত উঠিতে লাগিল! অল্পক্ষণ মধ্যেই বেরিসের জীবলীল। শেষ হইল। অনেকের বিশ্বাস য়ে শত্রুর কৌশলে অকালে ( ৫৩ বর্ষ বয়সে ) রুধপতি কালকবলে পুতিত হইয়াছিলেন । বোরিস অসাধারণ কাৰ্য্যকারিতার জন্ত বিখ্যাত ছিলেন। পরবর্তী কালে মহামুভব পিতর ( Peter ) কুষিয়ায় যে সংস্কার প্রচলন করিয়াছিলেন, বোল্পিস্ তাছার ভিত্তিশিলা -পত্তন করিয়া যান। তিনি স্বদেশীয় অনেক যুবককে ইংলণ্ডে শিল্পবিজ্ঞানশিক্ষার জন্য প্রেরণ করিয়াছিলেন। তিনি রুবিয়ার ভূমিতে প্রজাস্বত্বসংস্থাপন করিয়া শ্রমজীবাদিগকে ক্রীতদাসত্বের সীদ হইতে অনেকটা উন্নতির পথে আনয়ন করিয়াছিলেন । " cदाब्रिट्नब्र श्रृङ्काइ नग्न भtोनशब्रर उँोशब्र गणश् पाख्-ि বৃন্দ তাহার ষোড়শ বর্ষীয় পুত্র ২য় থিওডোরকে সম্রাটু বলিয়া স্বীকার করিল। সুইন্ধি এবং মুষ্টিসুবিদ্ধি তরুণ জারকে সাহায্য করিবার জন্ত মন্ধে গমন করিলেন। বাসমানফ সৈন্তাধ্যক্ষতাগ্রহণ করিবার জন্য মস্কে প্রেরিত হইলেন ; কিন্তু থিওডোরের পক্ষে সিংহাসন লাভের আশা কম জানিয়। তিনি ৭ই মে দমিত্রিকে সম্রাট, বলিয়া ঘোষণা করিলেন এবং স্বয়ং রাজধানীর অভিমুখে অগ্রসর হইতে আদিষ্ট হইলেন। এদিকে থিওডোরের পক্ষভুক্ত ব্যক্তিগণ সৈন্ত লম্বন্ধ ক্রেমলিন দুর্গ রক্ষা করিতে লাগিলেন এবং তাছাৱা [ ৬৫৬ ] রুমিয়া অবিলম্বে মস্কেএর নিকটবর্তী ধনশালী বণিকৃবৃন্দপুর্ণ ক্রেমনেসেলে নামক এক নগর আক্রমণ করিতে সঙ্কল্প করিলেন। এই কাৰ্য্য সহজেই অনুষ্ঠিত হইল। নগরবাণী বণিকৃগণ মন্ধেী নগরে গমন করিয়া সকলকে দমিত্রিকে সম্রাটু বলিয়। ঘোষণা করিবার জন্ত আহবান করিল। থিওডোর ও তাছার জননী নিহত হইলেন এবং তঁহিদিগের মৃতদেহ নগর প্রাচীরের বহির্ভাগে সমাহিষ্ট হইল। বোরিসের দেহও সেই স্থানে বিদূরিত হইল। পেত্রিয়াস নামক একজন সুইডিস দূত এই সমস্ত ঘটনার স্বন্দর বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । তিনি বলেন, এইরূপ জনশ্রুতি প্রচারিত হইল যে, থিওডোর ও তজ্জননী দুঃখে আত্মহত্য করিয়াছেন। কিন্তু তাছাদিগের গলদেশে ফার্সির চিহ্ন স্পষ্টই পরিলক্ষিত হইয়াছিল। কোন কোন লেখক এবং রুষিয়ার প্রাচীন ঐতিহাসিক কুবাসফ, বলেন যে, বোরিসের লাবণ্যবতী দুহিতা জেনিয়া খুষ্টমঠে সন্ন্যাসিনী হইতে বাধ্য হইয়াছিলেন। সুয়েডিস দূত পেত্রিয়াস বলেন যে, তিনি বলপুৰ্ব্বক বিজেতার অঙ্কলক্ষ্মী হইয়াছিলেন। জাল দৃমিত্রি যখন দেখিলেন যে, সমস্ত বিঘ্ন বিদূরিত হইয়াছে, তখন ১৬০৫ খৃঃ ২০এ জুন রাজধানীতে যাত্রা করিলেন । তঁtহার যাত্র। যেরূপ আড়ম্বরপূর্ণ সমারোহে পরিপূর্ণ হইয়াছিল—তাহ বর্ণনাতীত। দৃমিত্রি প্রথমে বিজ্ঞতার সহিত প্রজাবর্গের প্রতি সদ্ব্যবহার করিয়াছিলেন এবং তাহার পিতা ইবানের পুৰ্ব্বকৃত ঋণাদিও পরিশোধ করিতে প্রতিজ্ঞা করিরাছিলেন। তিনি আনন্দসহকারে স্বীয় জননীকে গ্রহণ করিলেন । মাতাও তখন তাহাকে যথার্থ মিত্রি বলিয়া স্বীকার করিলেন, পরে কিন্তু তিনি উহা অস্বীকার করিয়াছিলেন। বোধ হয় তিনি মঠমধ্যবৰ্ত্তী সন্ন্যাসিদল হইতে উদ্ধার পাইবার আনন্দে প্রথমে স্বীকার করিয়াছিলেন । দুমিত্রি তাছার প্রচ্ছন্ন রোমকধৰ্ম্মমতের প্রতি অনুরাগবশতঃ প্রজাসাধারণে বিরাগভাজন হুইয়া পড়িতে লাগিলেন। পরবর্তী বৎসরে মুনিসজেকছুহিতা মেরিন (দৃমিত্রির পুৰ্ব্বপরিণীত ) মন্ধেীনগরে উপস্থিত হইলেন এবং ১৮ই মে তারিখে তাহদের উদ্ধাহক্রিয়া সম্পন্ন হইল। প্রচুর ফলাহারের আয়োজন হইল । কিন্তু ২৯শে তারিখে এক বিদ্রোহ উপস্থিত হইল। বসিলাই মুইস্কি,-দুমিত্রি যtহাকে প্রাণদণ্ড হইতে রক্ষণ করিয়াছিলেন—এই বিদ্রোহের অধিনায়ক ছিলেন। একদিন রাজিতে জার সৈন্তকলরবে নিদ্রোখিত হইয়া দেখিলেন যে, রাজপ্রাসাদ বিদ্রোহিলৈষ্ঠে পরিবেষ্টিত হইয়াছে।
পাতা:বিশ্বকোষ ষোড়শ খণ্ড.djvu/৬৫৮
অবয়ব