লবণক্ষার প্রার্থনায় রামচন্দ্র তাহাকেই লধণবধার্থে প্রেরণ করেন। “লৰণের হস্তে শূল থাকিলে দেবদানবাদি যে কেহ যুদ্ধাৰ্থ তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইবে, সেই ভক্ষ্মীভূত হইয়া যাইবে শক্রয় ইহা অবগত চুইয়াং যখন তাহার হস্তে শূল ছিল না, সেই সময় তাহার সহিত যুদ্ধ করিয়া তাহাকে নিহত করেন। শক্রমের ছন্তে লবণ নিহত হইলে দেবগণ তাহার ভূয়সী প্রশংসা ও তদীয় মন্ডকোপরি পুষ্পবৃষ্টি করিয়াছিলেন। পরে দেবগণ তৎসমীপে উপস্থিত হইয় তাহাকে বর প্রার্থনা করিতে বলেন, তখন শক্রয় দেবগণের নিকট এই বর প্রার্থনা করেন, “দেববিনিৰ্ম্মিত এই লবণাসুরের মনোহারিণী মধুপুরী (মথুরা) অবিলম্বে জনসমূহে পরিপূর্ণ হউক” দেবগণ তাহাই হইবে, এই বর দিয়া প্রস্থান করেন। পরে শক্রম এই নগরীতে দ্বাদশবর্ষকাল অবস্থিতি করিয়া অযোধ্যা নগরীতে প্রত্যাবৃত্ত হন। ( রামায়ণ অযোধ্যাকা- ৭৩-৮৪ অ• ) ২ রাক্ষসবিশেষ । ( মেদিনী ) ৩ সমুদ্রবিশেষ, লবণ-সমুদ্র। এই সমুদ্রের উৎপত্তিবিবরণ ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্ত-পুরাণে এইরূপ আছে,— প্রীকৃষ্ণের ঔরসে বিরজার গর্ভে সপ্তপুত্র হয়। বিরজা এই সপ্তপুত্রের সহিত অবস্থিতি করিতেছিলেন, একদা বিরজা শৃঙ্গারে আসক্তচিত্ত হইয়া শ্ৰীহরির সহিত পুনরায় বিহার করিতেছিলেন, এমন সময় তাহার কনিষ্ঠপুত্র অপর ভ্রাতৃগণ কর্তৃক পীড়িত হইয়া ভয়ে তথায় জননীর ক্রোড়ে আগমন করিল। হরি নিজপুত্রকে ভীত দেখিয়া বিরজাকে ত্যাগ করিলেন। বিরজা পুত্রকে ক্রোড়ে করিয়া তাহাকে সাম্বন করিতে লাগিলেন, ইত্যবসরে ঐকৃষ্ণ বিরজাকে ত্যাগ করিয়া শ্ৰীমতী রাধিকার নিকট গমন করিলেন, বিরজা পুত্রকে সাস্বন করিয়া প্রিয়তম হরিকে নিকটে দেখিতে পাইলেন না, তখন বিরজ শৃঙ্গারে অতৃপ্তমনা হইয়া অতিশয় রোদন করিতে লাগিলেন এবং পুত্রের প্রতি অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া তাহাকে শাপ দিলেন যে, তুমি লবণ সমুদ্র হইবে, কোন প্রাণী আর তোমার জলপান করিবে না, অপর পুত্ৰগণ ইক্ষু প্রভৃতি সমুদ্র হইবে। বিরজার শাপে তাহার কনিষ্ঠ পুত্র লবণ সমুদ্র হইয়াছিল। বিরজার সপ্তপুত্র সপ্তদ্বীপে সপ্তসমূত্রে পরিণত হইয়াছিল । (ব্রহ্মবৈবর্তপু শ্ৰীকৃষ্ণজন্মখ- ও অ- ) (গ্রি লবণেন সংস্কৃষ্টঃ লবণ-ঠক (লবণাৎ ॐबू । न 81s २8) ছুতি কোলুৰু ঘৰ লবণে রসোংস্তান্সিন্নিতি অর্শ আল্পচ। ৪ লবণরলযুক্ত। এ লাবণ্যযুক্ত। লবণ, চটলের অন্তর্গত একটা গওগ্রাম। (ভবিষ্যত্রহ্মখণ্ড ১৫৪৫) অৰণকিংশুকা (স্ত্রী) মহাজোতিয়তী । ( ब्रांखनि” ) লবণক্ষার (পুং) লবণস্য ক্ষায়: লোপার ক্ষরি। ( ब्रांजमि*) asti [ ১৭৯ ; 擎 熱 লবণধেনু 鱷 մաলবণখনি (পুং ) লবণাকর, লক্ষণের খনি, যেস্থান হইতে লবশের উৎপত্তি হয় । লবণজল (ত্রি ) লবণং জলং যস্য। ১ লবণপযুত্র। (জী) লৰণং জলং । ২ লবণাক্ত জল, লোণাঞ্জল। ৩ লবণমিশ্রিত্ত জল । লবণজলধি (পুং ) লবণসমুদ্র। ( ভাগবত ৫।১৭৯৯) লবণজলনিধি (পুং ) লবণসমুদ্র । ( রামায়ণ ৫।৩১৬২ ) লবণতা (স্ত্রী) লৰণস্য ভাব তল-টাপ, । লবণের ভাষ বা ধৰ্ম্ম, লবণত, লবণাক্ত, লবণরলযুক্ত। লবণতৃণ (# ) লবণরসবিশিষ্ট তৃণ। ভূণৰিশেষ। চলিত লোণ ঘাল। সংস্কৃত পৰ্য্যায়—লোমতৃণ, তৃণাম, পটুতূণক, অল্পকাণ্ড । গুণ-অন্ন, ক্যায়, স্তন্যুগুনাশক, অম্লবৃদ্ধিকর। ( রাজনি• ) লবণতোয় (ত্রি ) লবণজল, লবণসমুদ্র । (রামা ৫।৭২১) লবণত্রয় ( ক্লী) লবণস্য বরং । ত্রিবিধলৰণ, সৈন্ধব, বিট, সচল । লবণত্ব (স্নী) লবণধৰ্ম্মান্বিত। লোণ । লবণদ্বয় (ফ্লী ) ছিৰিধ লবণ, সচল ও সৈন্ধব । লবণনিত্য (ত্রি ) প্রতিদিন লবণরসাস্বাক্ষনশীল । ( শব্দচ" ) ; লবণধেনু (স্ত্রী) লবণনিৰ্ম্মিত ধেঙ্ক । ঘানার্থ লবণাদিনিৰ্ম্মিত ধেনু বরাহপুরাণে এই ধেনুদানের বিধান এইরূপ আছে-মহীতল প্রথমে গোময়াদি দ্বার উত্তমরূপে লেপন করিয়া তাহার উপর কুশচর্ণ আস্তরণ করিতে হইবে, ঐ চণের উপর যোড়শপ্রস্থ পরিমাণ লবণের দ্বার একটী কল্পিত ধেমু প্রস্তুত করিবে । চারিপ্রস্থ দ্বারা ইহার বৎস প্রস্বত করিতে হয়, ইক্ষুদও দ্বারা এই ধেমুর পাদ, সুবর্ণদ্বারা মুখ ও । শৃঙ্গ, রৌপ্যদ্বারা খুর, গুড়ধারা মুখ, ফলময় দন্ত সকল, শর্কর স্বারা জিহবা, গন্ধদ্রব্যে ঘ্রাণ, রত্নদ্বারা নেত্রস্বয়, পত্রদ্বারা কর্ণদ্বয়, নৰনীত স্বারা স্তন, স্বত্রদ্ধারা পুচ্ছ, তাম্রময় পৃষ্ঠ, কুশময় রোম, কাংস্যের দ্বারা দোহনীপাত্র করিবে; পরে এই ধেনুকে ঘন্টাভরণ ভূষিত করিতে হয়। তদনন্তর সুগন্ধ পুষ্পাদি দ্বারা বখাবিধানে পূজা করিয়া এই ধেয়কে যুগবন্ত্রদ্বারা আচ্ছাদন করিয়া ব্রাহ্মণকে দান করিখে। সংক্রাস্তি, গ্রহণ, ব্যতীপাতাদিযোগ ও উত্তমকালে ধান করা বিধেয় । যথাবিজ্ঞানে ধেমু দান করিয়া ইহার দক্ষিণ সুবর্ণ দিতে হয় । জানান্তে এই মন্ত্র পাঠ করিবে “পূৰ্ব্বোক্তেন বিধানেন স্বশক্ত কনকেন তু। ইমাং গৃহাণ ভো বিপ্র রুদ্ররূপে নমোহস্ত তে । রসজ্ঞা সৰ্ব্বভূতানাং সৰ্ব্বদেবনমস্কতা । কামং কামছথে কাম ক্ষরিধেমো নমোহা তে “ (বরাহপু• শ্বেতোপা লৰণধেনুমাe ) বখাবিধানে এই লৰণধেস্থ দান করিলে ইহলোৰে বিবিধস্কুখ ও অন্তকালে রুজলোকে গতি হইয়া থাকে , , ,
পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তদশ খণ্ড.djvu/১৮৩
অবয়ব