NG) o আদিকাণ্ড | ধাতু প্রাপ্ত হইল,এবং উহাদিগের মিশ্রণবশতঃ নানধাতুর উৎপত্তিহইল। গৰ্ত্ত নিক্ষেপ মাত্রে উহার প্রভায় প্রভান্বিত হইয়া পৰ্ব্বতসন্নিহিত যাবৎ বন সুবর্ণ প্রভ হইল। সেই অগ্নিসম-প্রভাবিশিষ্ট সুবর্ণের নাম কুমার (৪) । দেবগণ র্তাহীকে ক্ষীর পান করাইবার নিমিত্ত কৃত্তিকাদিগকে (৫) নিযুক্ত করিলেন । কৃত্তিকার তাহাকে আপনাদিগের পুত্র বলিয়া ক্ষীর পান করাইল , এবং দেবগণ র্তাহাকে কাৰ্ত্তিকেয়(৬) নামে অভিহিত করিলেন । ইনি মৃডানন হইয়। কৃত্তিকাদিগের ক্ষীর পান করিতেন। ইনি দেবসেনাপতিত্বে অভিষিক্ত হইয়া দৈত্য সৈন্যদিগকে পরাজিত করিলেন। (৭) তাৎপর্য্যtথ । ৪ । কৃত্তিকা—কৃতিচ্ছেদনে ধাতুঃ, তা প্রত্যয়েন কত্তা । কত্তfএব কৃত্তিকাঃ নিত্য বহু বচনান্তঃ । অর্থাৎ পারদ মিশ্রিত হবিতালের গুণ্ডিকা । ৫ । কাৰ্ত্তিকেয়ঃ —কৃত্তিকাজাতঃ গুণ্ডিক সংঘাত । 冲,叠 ৬। কুমারঃ—কুৎসিতোমারো কন্দপেীযস্যাৎ । ৭ । এই প্রকরণে সুবর্ণাদি ধাতু সকলের উৎপত্তি কথিত इईय़ा?छ । ब्रम्বীৰ্য্য পারদ এবং ভগবতীবীর্য হরিতলের চির সংঘটনে ঐ দুই ধাতু পরস্পরে অতি-মিশ্রিত হইয়া যায়। অনন্তর ভূগর্ভস্থ হইয়া সম্বদ্ধ হইলে শ্বেতবর্ণ হইয়া থাকে। তাহাতে বায়ুর সহিত অগ্নির প্রবেশ হইয়৷ তদনন্তর উহা আকাশগঙ্গাজলে নিক্ষিপ্ত হইলে এবং ঐ জল শুষ্ক প্রায় হইলে সুবর্ণাদির গুণ্ডিক সকল জন্মে। গুণ্ডিকা ছয় প্রকারের হয়। অত্যন্ত তাপে সুবর্ণ— তদপেক্ষ অল্পতাপে রৌপ্য, এবং সুবর্ণ রজতের তীক্ষতার নুনাতিরেকে তাম্র এবং লৌহ এবং ঐ ধাতুদিগের সংয়োগে রঙ্গ এবং সীসক জন্মে । ধাতু সকলের উৎপত্তি বিবরণ বলিবার উদেশ্য, শাস্ত্রে বর্ণিত অস্থর এবং কৰ্ম্মময় দেবতাদিগের পরস্পর বিভিন্ন প্রকৃতির সম্যকরূপে নির্দেশ করা । কৰ্ম্মময় দেবগণের ইহসংসারকে সংসাররূপে রক্ষা করাতেই অধিকার । এই জন্য তারকাদি সংসার নিস্তারক ভাব, তাহাদিগের শক্ৰ । হর। ঐ সকল ভাবকে নষ্ট করিবার নিমিত্তই যত্ন করেন । সুবর্ণাদি ধাতু, সকল প্রকার ধনের প্রতিরূপ। ধন সত্ত্বে সংসার বিলাসে কামনা বাহুল্য হয় । তৎপ্রযুক্ত সংসারের স্থিতি হয় । অকিঞ্চনতাই সংসার বিলাস-জয়ের
