পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 বিশ্বনাথ রামায়ণ । ইক্ষাকু হইতে অলঘুষ নামী গন্ধৰ্ব্বতে বিশাল নামক পুত্র জন্মেন। তিনি এই প্রদেশে বিশালাপুরী প্রকাশ করেন। বিশালাবাসী রাজগণ দীর্ঘায়ুঃ এবং মহাত্মা ও বীর্য্যবান ও সুধাৰ্ম্মিক। এই স্থানে এক নিশা সুখে যাপন করিয়া পরদিন পূৰ্ব্বাহ্লে জনক রাজার সহিত সাক্ষাৎ করা উচিত। বিশালার রাজা সুমতি, বিশ্বামিত্র মহর্ষি নিকট প্রাপ্ত হইয়াছেন গুনিয়া উপাধ্যায় এবং বান্ধববর্গের সহিত আগমনপূৰ্ব্বক বিশ্বামিত্রের অত্যুৎকৃষ্ট পূজা করিয়া কৃতাঞ্জলিপুট হইয়া মঙ্গল জিজ্ঞাসানন্তর কহিলেন—ভগবন ! অদ্য আমার রাজ্য মধ্যে আপনাকে দর্শনগোচর করায় অামি আপনার অনুগৃহীত হইয়া ধন্য হইলাম, পরে নানা কথাস্তে বলিলেন—ভগবন ! এই দুই সুকুমার সাক্ষাং দেবপরাক্রমী, ইহঁরা ধীর অথচ দ্রুত-স্বচ্ছন্দ-গতিবিশিষ্ট, পদ্মদলের ন্যায় আয়ত চক্ষু, খড়গ, তৃণ, ধনুধারী, সাক্ষাৎ অশ্বিনীকুমারের ন্যায়, উপস্থিত যৌবনাবস্থ, দেবলোক হইতে কোন ইচ্ছাবশতঃ পৃথিবী-লোকপ্রাপ্ত দুই দেবতার ন্যায়, কোন কারণে, কি প্রকারে এই দেশে পদচারে আগত হইয়। যেমন চন্দ্র, স্থর্যা, আকাশকে শোভিত করেন, তদ্রুপ পৃথি তাৎপৰ্য্যাথ। । উহার দৈত্যত্বের ব্যাঘাত হইল। উহার সংসার নাশক ধৰ্ম্ম হইল না। উহার লোক-পালনত্ব বর্ণনে দেবত্ব কথিত হইল। উনপঞ্চাশৎ খণ্ডে খণ্ডিত হইলেও যে মৃত হইল না, তাহাতে তপশ্চরণেয় ফল কথিত হইল । * ফলতঃ বায়ুতে দেবত্ব এবং দৈত্যত্ব উভয় ধৰ্ম্মই বিদ্যমান। উহা ইন্দ্র কর্তৃক বিভাজিত, সুতরাং রোদনশীল এবং চঞ্চল এবং চাঞ্চল্য প্রযুক্ত অস্থির তাজনক, স্বতরাং সমাধির ব্যাঘাতক। ইহাতেই বায়ুর দেবত্ব –কিন্তু প্রণয়ামম্বারা উহাকে দমন করিয়া স্থির করিতে পারিলে, যোগসিদ্ধি হওয়াতে বায়ুর দৈত্যত্বও নিৰ্দ্ধারিত হয়। .এই প্রকরণ হইতে উল্লিখিত ফলিতাৰ্থ ভিন্ন, বাহ ব্ৰহ্মাও সম্বন্ধে অধিকতর উপলব্ধি এই হয় যে, দিতি বা আকাশ হইতে বায়ুর জন্ম এবং সেই আকাশের মধ্যে মেঘবত্ম বা ইন্দ্রের পথ হওয়াতেই মরুদবত্ম বা বায়ুপথ বিভিন্ন হইয়া সপ্ত সপ্তধ হইয়া গিয়ছে । এক একটা বাতস্কন্ধ, এক একটী আকাশ-ভাগ বিশেষ ।