পাতা:বিশ্বনাথ রামায়ণ.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিকাণ্ড । 8에 হে শ্রীরাম ! গোতম ঋষি অতি পবিত্ৰকৰ্ম্ম ; তুমি তাহার আশ্রমে আগমন কর এবং অহল্যার নিস্তার কর । মুনিবাক্য শ্রবণানন্তর সলক্ষ্মণ শ্রীরাম বিশ্বামিত্রকে অগ্রে করিয়া আশ্রমে প্রবেশ করিলেন । অনস্তর তপস্যাদ্ধারা অত্যন্ত প্রভাবতী পরস্ত ধুমদ্বারা ব্যাপ্ত সৰ্ব্বাঙ্গ অগ্নিশিখার দ্যায় এবং হিমব্যাপ্ত অথবা স্বল্পমেঘ-ব্যাপ্ত পুচিন্দ্রের ন্যায় রূপবর্তী অহল্যাকে জল মধ্যে দেখিলেন। ইনি গেীতমশাপবশতঃ সকলেরই অদৃশ্য ছিলেন ; এক্ষণে শাপান্তকাল প্রাপ্ত হওয়াতে বিশ্বামিত্ৰাদি সকলের দৃষ্ট হইলেন। শ্রীরামলক্ষণ অহল্যার দুই পাদ গ্রহণ করিলে, অহল্য গৌতম বাক্য স্মরণ করত তাহাদিগকে আতিথ্যে গ্রহণ করিলেন, এবং যথাবিধি পাদ্যাদি প্রদানপূর্ববক ঐরামের পূজা করিলেন। সেইকালে গোতম আগত হইয়া অহল্যা সহযোগে সুখী হইলেন এবং ঐরামের সম্যক পূজা পূর্বক পুনৰ্ব্বার তপশ্চরণ করিতে লাগিলেন। শ্রীরাম তাহাদিগের পূজা গ্রহণাস্তে মিথিলাভিমুখে যাত্র। করিলেন । ( ১ ) : ' পরে সলক্ষ্মণ শ্রীরাম বিশ্বামিত্রকে অগ্রসর করিয়া ঈশানদিয়ুথে গমন পুৰ্ব্বক মিথিলা যজ্ঞভূমির সমীপবৰ্ত্তী হইলেন। পরে শ্রীরাম লক্ষ্মণ মহামুনিকে কহিলেন—মহাত্ম। জনক রাজার কি প্রশংসনীয় যজ্ঞ বিস্তার । নানা দেশবাসী বেদাধ্যায়ী ব্রাহ্মণদিগের আবাসস্থল সকল বহু শকটে ব্যাপ্ত হইয়া তাৎপর্য্যাথ। ১ । বিঘ্নকারী দেবগণ স্ত্রীর দ্বারা প্রলোভন এবং তাহাতে দুস্ক্রিয়া প্রবর্তন করিয়াও সাধকের ক্রোধাদি উদ্ভাবন দ্বারা তপোহানি করেন । দেবতারা ইন্দ্রকে মেষ-বৃষণ করিলেন—অর্থাৎ মেষে বা সৌর বৈশাখ মাসে বৃষ্টি অফল হয় না। -طويل অহল্যার অর্থাৎ অনুপৰ্ভুমির ঐরাম লক্ষ্মণ পর্শ হওয়াতে, অর্থাৎ তাহাতে পরমাত্মার অনুগ্রহ বশাৎ জীবের প্রবেশ হওয়াতে, তাহার অনুপত্ত্ব নিবৃত্তি হয়, অর্থাৎ তাহাতে দুৰ্ববৰ্ণ কাশ এবং জলজ পুষ্পাদি জন্মে এবং সেই সকল জন্মিলে উহার সহিত গোতম সঙ্গ হয়, অর্থাৎ উহাতে গোচারণ এবং হলকর্ষণাদি কাৰ্য্য চলে, তাহাই ঈশ্বরের উৎকৃষ্ট পুজা ।