পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o/o সেটাকে প্রকাশ করার যাথাযথ্যে বিজ্ঞান অল্পমাত্রও স্খলন ক্ষমা করে না । অল্প সাধ্যসত্ত্বেও যথাসম্ভব সতর্ক হয়েছি । বস্তুত আমি কত ব্য-বোধে লিখেছি কিন্তু কতব্য কেবল ছাত্রদের প্রতি নয় আমার নিজের প্রতিও । এই লেখার ভিতর দিয়ে আমার নিজেকে ও শিক্ষা দিয়ে চলতে হয়েছে । এই ছাত্রমনোভাবের সাধন হয়তো ছাত্রদের শিক্ষাসাধনার পক্ষে উপযোগী হোতেও পারে । আমার;কৈফিয়ৎটা তোমার কাছে একটু বড়ো করেই বলতে হচ্ছে, তাহলেই এই লেখাটি সম্বন্ধে আমার মনস্তত্ত্ব তোমার কাছে স্পষ্ট হোতে পারবে । বিশ্বজগৎ আপন অতি-ছোটোকে ঢাকা দিয়ে রাখল, অতি-বড়োকে ছোটো করে দিল, কিংবা নেপথ্যে সরিয়ে ফেলল। মানুষের সহজ শক্তির কাঠামোর মধ্যে ধরতে পারে নিজের চেহারাটাকে এমনি করে সাজিয়ে আমাদের কাছে ধরল। কিন্তু মানুষ আর যাই হোক সহজ মানুষ নয় । মানুষ একমাত্র জীব যে আপনার সহজ বোধকেই সন্দেহ করেছে, প্রতিবাদ করেছে, হার মানাতে পারলেই খুশি হয়েছে । মানুষ সহজ শক্তির সীমানা ছাড়াবার সাধনায় দুরকে করেছে নিকট, অদৃশুকে করেছে প্রত্যক্ষ, দুর্বোধকে দিয়েছে ভাষা। প্রকাশলোকের অন্তরে অাছে যে অপ্রকাশলোক, মানুষ সেই গহনে প্রবেশ করে বিশ্বব্যাপারের মূল রহস্য কেবলি অবারিত করছে। যে সাধনায় এটা সম্ভব হয়েছে তার সুযোগ ও শক্তি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষেরই