পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brやう বিশ্ব-পরিচয় মাত্রা । এত অত্যন্ত বেশি ঠাণ্ডায় বৃহস্পতির জোলে৷ বাম্প থাকতেই পারে না । তার বায়ুমণ্ডল থেকে দুটো গ্যাসের কিনারা পাওয়া গেল। একটা হচ্ছে অ্যামোনিয়া, নিশাদলে যার তীব্ৰগন্ধে চমক লাগায়, আর একটা আলেয়া গ্যাস, মাঠের মধ্যে পথিকদের পথ ভোলাবার জন্যে যার নাম আছে । নানাপ্রকার যুক্তি মিলিয়ে আপাতত স্থির হয়েছে যে, বৃহস্পতির দেহ কঠিন, প্রায় পৃথিবীর সমান ঘন। বৃহস্পতির ভিতরকার পাথুরে জঠরটার প্রসার বাইশ হাজার মাইল ; এর উপরে বরফের স্তর জমে রয়েছে ষোলোহাজার মাইল । এই বরফপুঞ্জের উপরে আছে ৬০০০ মাইল বায়ুস্তর। এত বড়ে৷ রাশ-করা বাতাসের প্রবল চাপে হাইড্রোজেনও তরল হয়ে যায়। অতএব এই গ্রহে ঘটেছে কঠিন বরফস্তরের উপরে তরল গ্যাসের সমুদ্র । আর তার বায়ুমণ্ডলের উধ্ব স্তর তরল এমোনিয়া বিন্দুতে তৈরি । বৃহস্পতি অতিকায় গ্রহ, ওর ব্যাস প্রায় নববই হাজার মাইল, আয়তনে পৃথিবীর চেয়ে তেরোশোগুণ বড়ে । সূর্য প্রদক্ষিণ করতে বৃহস্পতির লাগে প্রায় বারো বৎসর। দূরে থাকাতে ওর কক্ষপথ পৃথিবী থেকে অনেক বড়ো হয়েছে সন্দেহ নেই কিন্তু ও চলেও যথেষ্ট মন্দ গমনে । পুথিবী যেখানে উনিশ মাইল চলে এক সেকেণ্ডে, ও চলে আট মাইল মাত্র । কিন্তু ওর স্বাবতন অর্থাৎ নিজের মেরুদণ্ডের চারদিকে ঘোরা খুবই দ্রুত বেগে । অত বড়ো বিপুল দেহটাকে পাক খাওয়াতে ওর লাগে দশ ঘণ্ট। আমাদের